পেছনে না তাকিয়ে একলা পথে চলছে চীন

সেপ্টেম্বরে চীনের রপ্তানি প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৯ দশমিক ৯ শতাংশ।
ছবি: রয়টার্স

করোনা মহামারির কারণে সৃষ্ট সংকট সবচেয়ে দ্রুত কাটিয়ে উঠছে চীন। পুনরুদ্ধারের দৌড়ে এখন পর্যন্ত জয়ী বলা যাচ্ছে তাদেরই। দেশটির সাম্প্রতিক বাণিজ্য পরিসংখ্যানও সে কথা বলছে। সেপ্টেম্বরে চীনের রপ্তানি প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৯ দশমিক ৯ শতাংশ। সেই সঙ্গে আমদানি প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১৩ দশমিক ২ শতাংশ, যা বাণিজ্য উদ্বৃত্তের পরিমাণও বাড়িয়েছে। আগস্টে যা ছিল ৩৭ বিলিয়ন ডলার, সেপ্টেম্বরে তা হয়েছে ৫৯ বিলিয়ন ডলার।

বিবিসি অনলাইনের এক প্রতিবেদনে এ কথা জানানো হয়।

শুরু থেকে এখন পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের করোনা পরিস্থিতিই নিয়ন্ত্রণে আসেনি।
ছবি: রয়টার্স

করোনা সংকটে অর্থনৈতিকভাবে ভুগছে বিশ্বের বড় অর্থনীতিগুলো। শুরু থেকে এখন পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের করোনা পরিস্থিতিই নিয়ন্ত্রণে আসেনি। যুক্তরাজ্যের বেকারত্বের হার সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে। জুন-আগস্ট সময়ে বেকারত্বের হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪ দশমিক ৫ শতাংশ। আগের ত্রৈমাসিক যা ছিল ৪ দশমিক ১ শতাংশ। আগস্টে জাপানের অর্থনীতি রেকর্ড হারে সংকুচিত হয়েছে।

করোনা প্রতিরোধে নেওয়া লকডাউন পদক্ষেপের কারণে অনেক দেশকেই ব্যয় সংকোচনের নীতি নিতে হচ্ছে। সে বিবেচনায় তরতর করে পুনরুদ্ধারের পথে এগিয়ে চলেছে চীন। চলতি বছরে পরাশক্তিগুলোর মধ্যে কেবল চীনই ইতিবাচক প্রবৃদ্ধির ধারায় থাকবে—এমন পূর্বাভাসই দেওয়া হচ্ছে।

ছবি: রয়টার্স

করোনোভাইরাস প্রাদুর্ভাবের প্রথম শিকার চীন। গত বছরের শেষের দিকে দেশটিতে প্রথম সংক্রমণের খবর পাওয়া যায়। কঠোর লকডাউন কর্মসূচি নেই দেশটি। চলতি বছরের প্রথম তিন মাসে ব্যাপক সংকুচিত হয় অর্থনীতি। তবে জুলাইতে আবার ঘুরে দাঁড়ায় অর্থনীতি।

বিশ্লেষকেরা বলছেন যে ব্যবসায়িক পুনরুদ্ধারই মূল কারণ এই ঘুরে দাঁড়ানোর পেছনে। ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জামসহ, হোম ইলেকট্রনিক পণ্য, মেডিকেল ডিভাইস এবং টেক্সটাইল পণ্যের ব্যাপক আন্তর্জাতিক চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায় অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়ায়। তবে বিশ্লেষকেরা এও সতর্ক করেছেন, ধীরে ধীরে এসবের চাহিদা কিছুটা কমতে পারে।

সেপ্টেম্বরের শেষ অবধি অন্য দেশের সঙ্গে চীনের সম্মিলিত আমদানি ও রপ্তানির পরিমাণ ২৩ দশমিক ১২ ট্রিলিয়ন ইউয়ানে পৌঁছেছে।

এদিকে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) বিশ্ব অর্থনীতির জন্য জুনে যে পূর্বাভাস দিয়েছিল, তার চেয়ে কিছুটা কম তীব্র মন্দার পূর্বাভাস দিচ্ছে। গতকাল মঙ্গলবার প্রকাশিত আইএমএফ ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক আউটলুক এ তথ্য প্রকাশ করা হয়।

আইএমএফ বলছে, যুক্তরাষ্ট্র, ভারত, জার্মানি, জাপান, যুক্তরাজ্যে ঋণাত্মক বা মাইনাস প্রবৃদ্ধি হতে পারে। কেবল চীনের প্রবৃদ্ধি ১ দশমিক ৯ শতাংশ হতে পারে। সংস্থাটি আরও বলছে, সারা বিশ্বের গড় জিডিপি প্রবৃদ্ধি মাইনাস ৪ দশমিক ৪ শতাংশ হওয়ার পূর্বাভাস দিয়েছে দাতা সংস্থাটি।

আরও পড়ুন