কর মেলার বদলে কর কার্যালয়ে চালু করা হচ্ছে সেবাকেন্দ্র

এ বছর কর মেলা হচ্ছে না। তাই দুশ্চিন্তায় আছেন বহু করদাতা। কারণ এত দিন ঝক্কিঝামেলা ছাড়া মেলায় বার্ষিক আয়কর বিবরণী জমা দিতেন তাঁরা। মেলা না হলেও সাধারণ করদাতাদের জন্য কিছুটা স্বস্তির খবর দিল জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। করদাতারা যাতে নির্বিঘ্নে রিটার্ন দিতে পারেন, সে জন্য প্রতিটি কর অঞ্চলে সেবাকেন্দ্র চালু করা হচ্ছে। এসব সেবাকেন্দ্রে ওয়ানস্টপ সেবা চালুর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটি কর অঞ্চলে এই সেবাকেন্দ্র চালু হয়ে গেছে।

এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম গতকাল বৃহস্পতিবার সব কর কমিশনারকে সঙ্গে বৈঠক করেন। সেখানে তিনি নির্দেশনা দিয়েছেন, করদাতারা যাতে নিজ নিজ কর অঞ্চলে গিয়ে সহজে রিটার্ন দাখিল করতে পারেন, সে জন্য প্রতিটি কর অঞ্চলে দ্রুত সেবাকেন্দ্র চালুর।
একজন করদাতা কর মেলায় গিয়ে রিটার্ন জমা দিতে যে ধরনের সেবা পান, কর কার্যালয়েও প্রায় সে ধরনের সেবা পাবেন। রিটার্ন ফরম পূরণ থেকে শুরু করে জমা পর্যন্ত সব সহায়তা মিলবে। পুরোপুরি ওয়ানস্টপ সেবার মতো রিটার্ন জমা দেওয়া যাবে। এ ছাড়া ইলেকট্রনিক কর শনাক্তকরণ নম্বর (ইটিআইএন) গ্রহণসহ সব কর পরামর্শ দেওয়া হবে।

কর অঞ্চলের সেবাকেন্দ্রে যাতে করদাতারা যথাযথ সেবা পান, এনবিআর চেয়ারম্যান সেই নির্দেশনা দিয়েছেন। সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে যাতে এসব সেবা দেওয়া যায়, সেদিকে খেয়াল রাখা হবে।
হাফিজ আহমেদ, সদস্য, এনবিআর

জানতে চাইলে এনবিআরের সদস্য হাফিজ আহমেদ মোরশেদ প্রথম আলোকে বলেন, কর অঞ্চলের সেবাকেন্দ্রে যাতে করদাতারা যথাযথ সেবা পান, এনবিআর চেয়ারম্যান সেই নির্দেশনা দিয়েছেন। সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে যাতে এসব সেবা দেওয়া যায়, সেদিকে খেয়াল রাখা হবে।
কর মেলার জন্য প্রতিবছর অপেক্ষায় থাকেন সাধারণ করদাতারা। গত ১০ বছরে এনবিআর আয়োজিত কর মেলা করদাতাদের কাছে বেশ জনপ্রিয় হয়েছে। কিন্তু এবার করোনার কারণে জনসমাগম এড়াতে কর মেলার বদলে কর কার্যালয়ে সেবাকেন্দ্র চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে এনবিআর। এরই মধ্যে ঢাকার কর অঞ্চল-২, কর অঞ্চল–১৩ ছাড়া কয়েকটি কর অঞ্চলে সেবাকেন্দ্র চালু করা হয়েছে। এসব কর অঞ্চলে আলাদা কক্ষে এই সেবাকেন্দ্র করা হয়েছে। আগামী ৩০ নভেম্বর বার্ষিক রিটার্ন দেওয়ার সময় শেষ হবে।

আরও পড়ুন

বর্তমানে প্রায় ৪২ লাখ টিআইএনধারী আছেন। তাঁদের মধ্যে প্রতিবছর গড়ে ২২ লাখ টিআইএনধারী বার্ষিক রিটার্ন দিয়ে থাকেন। তবে এ বছর থেকে কিছু শর্তে ছাড় দিয়ে প্রায় সব টিআইএনধারীর রিটার্ন জমা দেওয়া বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।