করোনার কারণে যুক্তরাজ্যে শিশু দারিদ্র্য ও বৈষম্য বাড়ছে

করোনভাইরাস মহামারি যুক্তরাজ্যে শিশু দারিদ্র্য এবং বৈষম্য পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকে নিয়ে যাচ্ছে

করোনভাইরাস মহামারি যুক্তরাজ্যে শিশু দারিদ্র্য এবং বৈষম্য পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকে নিয়ে যাচ্ছে বলে মনে করছে উন্নত দেশগুলোর সংগঠন অর্গানাইজেশন ফর ইকোনমিক কো-অপারেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (ওইসিডি)। সম্প্রতি প্রকাশিত সংস্থাটির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, করোনা মহামারির কারণে দুর্বল উৎপাদনশীলতা এবং আঞ্চলিক বৈষম্য আরও বৃদ্ধি পেতে পারে। সেই সঙ্গে যুক্তরাজ্যের ক্ষেত্রে আরেকটি বড় ঝুঁকি হলো চুক্তিবিহীন ব্রেক্সিট।

থিঙ্কট্যাংকটি সতর্ক করেছে যে চুক্তিবিহীন ব্রেক্সিটের কারণে বাণিজ্য ও কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে আরও একটি বড় নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। তারা বলছে, যুক্তরাজ্য ‘দীর্ঘায়িত’ ব্যাঘাতের মুখোমুখি এবং একটি সংকটময় মুহূর্তে রয়েছে।

আরও পড়ুন

তবে এত সব ঝুঁকির কথা বললেও দেশটির বিষয়ে প্রবৃদ্ধি পূর্বাভাস সংশোধন করেছে ওইসিডি। জুনে সংস্থাটি জানায়, চলতি বছর যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি সাড়ে ১১ শতাংশ সংকুচিত হবে। এখন তারা বলছে, এই সংকোচন হবে ১০ দশমিক ১ শতাংশ। তবে আগামী বছরও এই অর্থনীতি সংকুচিত হবে। অর্থাৎ অর্থনৈতিক ঝুঁকি দীর্ঘায়িত হবে। আগামী বছর ৭ দশমিক ৬ শতাংশ সংকুচিত হতে পারে, সেই সঙ্গে বেকারত্বের হার সাড়ে ৪ শতাংশ থেকে বেড়ে ৭ দশমিক ১ শতাংশ হতে পারে।

৩৭ সদস্যদেশ নিয়ে গঠিত আন্তদেশীয় অর্থনৈতিক সংস্থা হলো ওইসিডি। তারা মনে করে, করোনার সংক্রমণ প্রতিরোধে কঠোর লকডাউন পদক্ষেপ সঠিক সিদ্ধান্ত ছিল যুক্তরাজ্যের জন্য। তবে এই পদক্ষেপ অনেক উল্লেখযোগ্য খাতকে একেবারে থামিয়ে দিয়েছে।

আসলে করোনার সংক্রমণের বড় আঘাত পড়েছে যুক্তরাজ্যের ওপর। এ বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে জি-৭ ভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি সংকুচিত হয়েছে দেশটির অর্থনীতি। ওইসিডি মনে করছে, করোনার সঙ্গে সঙ্গে ব্রেক্সিটের নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে যুক্তরাজ্যের অর্থনীতিতে।

৩৭ সদস্যদেশ নিয়ে গঠিত আন্তদেশীয় অর্থনৈতিক সংস্থা হলো ওইসিডি। তারা মনে করে, করোনার সংক্রমণ প্রতিরোধে কঠোর লকডাউন পদক্ষেপ সঠিক সিদ্ধান্ত ছিল যুক্তরাজ্যের জন্য। তবে এই পদক্ষেপ অনেক উল্লেখযোগ্য খাতকে একেবারে থামিয়ে দিয়েছে। এখন যদিও লকডাউন শিথিল হয়েছে, তারপরও তা দেশটির ক্রিয়াকলাপ এবং চাকরির ক্ষেত্রে দীর্ঘমেয়াদি ব্যাঘাত ঘটিয়েছে, যা আগেই থাকা দুর্বল উৎপাদনশীলতা সমস্যা, বৈষম্য, শিশু দারিদ্র্য এবং আঞ্চলিক বৈষম্যকে আরও বাড়িয়ে তুলেছে। তারা মনে করছে, মহামারি নিয়ন্ত্রণের জন্য এখন যেকোনো নতুন ব্যবস্থা অর্থনীতিতে কী প্রভাব ফেলবে, তা সাবধানে নির্ণয় করতে হবে।