বিভিন্ন দেশের সার্ট থেকে গত ২৬ আগস্ট আমরা জানতে পারি, নতুন একটি হ্যাকার গ্রুপ ব্যাংক থেকে টাকা চুরির চেষ্টা করছে। গ্রুপটি উত্তর কোরিয়ার। এরপরই তা বাংলাদেশ ব্যাংককে অবহিত করে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানাই। মেইল পাঠিয়ে কিংবা লেনদেনের সময় হ্যাকিং হতে পারে। এটিএম বুথ ব্যবহারের সময়ও তারা হ্যাকিং করতে পারে। দেশে এমন মেলওয়্যারের অস্তিত্ব মিলেছে, ফলে সতর্কতা আরও বাড়ানো হয়। সঙ্গে সঙ্গে সব ব্যাংককে প্রতিরোধ ব্যবস্থা জোরদার করতে বলা হয়েছে।
ইউরোপ ও আমেরিকার ব্যাংকগুলো সতর্কতা আরোপ করেছে। বাংলাদেশের ব্যাংকগুলোও রাতে এটিএম বন্ধ রাখা ও অনলাইন লেনদেন তদারকিসহ নানা ব্যবস্থা নিয়েছে। বড় অঙ্কের লেনদেনেও সতর্ক ব্যাংকগুলো। ই-মেইল ব্যবহারেও ব্যাংকগুলোকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। কারণ, করোনাকালে কোনো আর্থিক চুরির ঘটনা ঘটলে খুব খারাপ হবে। কবে এই সতর্কতা তুলে নেওয়া হবে, আগামী সোমবার তা জানা যাবে।
ব্যাংকগুলোকে সতর্ক থাকতে হবে। পাশাপাশি গ্রাহকদেরও ব্যাংকসেবা ব্যবহারে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। প্রতিটি ব্যাংকের নিজস্ব সার্ট টিমকে সক্রিয় হতে হবে। সাইবার হামলা মোকাবিলায় অন্য দেশ যে ব্যবস্থা নিচ্ছে, তা অনুসরণ করতে হবে।
তারেক এম বরকতউল্লাহ: প্রকল্প পরিচালক, কম্পিউটার ইনসিডেন্ড রেসপন্স টিম (সার্ট)