পিএসসির সদস্য হিসেবে শপথ নিলেন প্রদীপ কুমার
বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) নতুন সদস্য হিসেবে শপথ নিয়েছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক প্রদীপ কুমার পাণ্ডে। আজ বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টায় সুপ্রিম কোর্টের জাজেস লাউঞ্জে তাঁকে শপথবাক্য পাঠ করান প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান।
শপথ অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল মো. গোলাম রব্বানী। শপথ অনুষ্ঠানে আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম, পিএসসির চেয়ারম্যান মো. সোহরাব হোসাইন, পিএসসির সদস্য ও হাইকোর্ট বিভাগের রেজিস্ট্রার মুন্সি মশিয়ার রহমান, আপিল বিভাগের রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ সাইফুর রহমান ও সুপ্রিম কোর্টের স্পেশাল অফিসার মো. মোয়াজ্জেম হোসাইনসহ অন্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে রাষ্ট্রপতি সংবিধানের ১৩৮(১) অনুচ্ছেদে প্রদত্ত ক্ষমতাবলে অধ্যাপক প্রদীপ কুমারকে অন্যান্য প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনের সঙ্গে কর্ম-সম্পর্ক পরিত্যাগের শর্তে পিএসসির সদস্য নিয়োগ দিয়েছেন বলে ১৯ মার্চ জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সংবিধানের ১৩৯ (১) অনুচ্ছেদ অনুসারে তিনি দায়িত্ব গ্রহণের তারিখ থেকে পাঁচ বছর বা তাঁর বয়স ৬৫ বছর পূর্ণ হওয়া, এর মধ্যে যেটি আগে ঘটে, সে সময় পর্যন্ত পিএসসির সদস্য পদে দায়িত্ব পালন করবেন।
অধ্যাপক প্রদীপ কুমার পাণ্ডে বর্তমানে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের প্রশাসক পদে দায়িত্বরত। এর আগে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
প্রদীপ কুমার পাণ্ডে ১৯৮৯ সালে এসএসসি পাস করেন। ১৯৯১ সালে এইচএসসি পরীক্ষায় রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডে মেধা তালিকায় প্রথম স্থান অধিকার করেন। ১৯৯৪ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ থেকে স্নাতক ও ১৯৯৫ সালে একই বিভাগ থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। স্নাতক ও স্নাতকোত্তরে তিনি প্রথম শ্রেণিতে প্রথম স্থান অর্জন করেন।
এরপর ২০০০ সালে একই বিভাগে প্রভাষক হিসেবে যোগদান করেন প্রদীপ কুমার পাণ্ডে। ২০০৩ সালে সহকারী অধ্যাপক, ২০১১ সালে সহযোগী অধ্যাপক এবং ২০১৮ সালে অধ্যাপক পদে পদোন্নতি লাভ করেন।
অধ্যাপক প্রদীপ পাণ্ডে ২০০৬ সালে নরওয়ে সরকারের বৃত্তির আওতায় অসলো বিশ্ববিদ্যালয়ে সামার কোর্সে অংশ নেন। ২০১০ সালে যুক্তরাজ্যের শেফিল্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে জার্নালিজম স্টাডিজে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন।
তিনি ২০১৫-১৮ সাল পর্যন্ত বিভাগীয় সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। রাবি মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মূল্যবোধে বিশ্বাসী প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজের নির্বাচিত সদস্য হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি।
অধ্যাপনার পাশাপাশি তিনি বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউট (পিআইবি), ইউনিসেফ, ইউএনডিপি, এশিয়া ফাউন্ডেশন, আর্টিকেল নাইনটিনের রিসোর্স পারসন ও যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ হিসেবে কাজ করেছেন। তিনি বিভিন্ন দেশি-বিদেশি সম্মেলনে অংশ নিয়েছেন। বিভিন্ন জার্নালে তাঁর অর্ধশতাধিক প্রকাশনা রয়েছে।