মাইক্রোসফট প্রায় এক হাজার কর্মী ছাঁটাই করেছে
প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান মাইক্রোসফট আবারও কর্মী ছাঁটাই করেছে। এবার প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন বিভাগ থেকে প্রায় এক হাজার কর্মী ছাঁটাই করেছে বলে মার্কিন গণমাধ্যম এক্সিওসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
গত জুলাইয়ের পর থেকে এ নিয়ে মাইক্রোসফট তৃতীয় দফায় কর্মী ছাঁটাই করল। গত জুলাইয়ে পুনর্বিন্যাসের অংশ হিসেবে মাইক্রোসফট তাদের ১ লাখ ৮০ হাজার কর্মীর মধ্যে ১ শতাংশ কর্মীকে ছাঁটাই করে। এতে সে সময় প্রতিষ্ঠানটির ১ হাজার ৮০০ কর্মী চাকরিচ্যুত হন। গত জুলাইয়ে প্রথম দফা কর্মী ছাঁটাইয়ের পর আগস্টে মাইক্রোসফট তাদের গ্রাহককেন্দ্রিক গবেষণা ও উন্নয়ন প্রকল্প থেকে আরও ২০০ কর্মীকে ছাঁটাই করে।
সম্প্রতি কর্মী ছাঁটাইয়ের পর মাইক্রোসফট এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘আজ আমরা অল্পসংখ্যক কর্মী ছাঁটাই করছি। অন্য প্রতিষ্ঠানগুলোর মতো আমরাও আমাদের ব্যবসার অগ্রাধিকারগুলো নিয়মিত মূল্যায়ন করি। সেই মূল্যায়ন অনুযায়ী প্রতিষ্ঠানের কাঠামোগত সমন্বয় করি।’
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কঠোর বৈশ্বিক পরিবেশ, মন্দার আশঙ্কার এই সময়ে এসে মাইক্রোসফট তৃতীয়বারের মতো কর্মী ছাঁটাই করল। ঠিক কতজন কর্মীকে ছাঁটাই করা হয়েছে, তা বলতে অস্বীকার করেছে মাইক্রোসফট। তবে সংখ্যাটি এক হাজারের কাছাকাছি। সারা বিশ্বে থাকা মাইক্রোসফটের বিভিন্ন স্তরের কর্মীদের ছাঁটাই করা হয়েছে।
মাইক্রোসফটের ছাঁটাই হওয়া কর্মীরা টুইটার, ব্লাইন্ডসহ সামাজিক যোগাযোগের প্ল্যাটফর্মগুলোয় তাঁদের ছাঁটাই করার বিষয়টি নিয়ে পোস্ট করেছেন। প্রযুক্তিকর্মীদের কাছে ব্লাইন্ড অ্যাপ বেশ জনপ্রিয়। এই প্ল্যাটফর্মে বেনামে পোস্ট করা যায়। তবে এর জন্য কোনো কোম্পানির সঠিক একটি ই-মেইল ঠিকানার দরকার হয়।
বিজ্ঞাপন থেকে আয় কমে যাওয়া ও মন্দার আশঙ্কা বিশ্বের প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করছে। অনেক প্রতিষ্ঠানই কর্মী ছাঁটাই করছে ও নতুন কর্মী নিয়োগ বন্ধ করে দিয়েছে।
ডেটা কমপ্লাইড সংস্থা ক্রাঞ্চবেজের তথ্য বলছে, গত জুলাই পর্যন্ত মাইক্রোসফট ও মেটার মতো বড় প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলো প্রায় ৩২ হাজার কর্মী ছাঁটাই করেছে। এর মধ্যে রাইড শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম উবার, স্ট্রিমিং জায়ান্ট নেটফ্লিক্স, বেশ কয়েকটি ক্রিপ্টোকারেন্সি এক্সচেঞ্জ এবং ঋণদানকারী প্রতিষ্ঠানও রয়েছে।
চলতি মাসের শুরুর দিকে বিশ্বের সবচেয়ে বড় সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম মেটা প্ল্যাটফর্মের ফেসবুক অন্তত ১২ হাজার কর্মী ছাঁটাইয়ের ঘোষণা দেয়। বিজ্ঞাপন থেকে আয় কমে যাওয়ায় এমন সিদ্ধান্ত নেয় ফেসবুক।