মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিলের পরিপত্র অবৈধ ঘোষণার রায়ের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন
সরকারি দপ্তর, স্বায়ত্তশাসিত বা আধা স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান ও বিভিন্ন করপোরেশনের চাকরিতে সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে (৯ম থেকে ১৩তম গ্রেড) মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিলসংক্রান্ত পরিপত্র অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের রায়ের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে কোটা সংস্কার আন্দোলন-২০১৮ নামের সংগঠন।
আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজধানীর পুরানা পল্টনে এ সংবাদ সম্মেলন করা হয়। লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন কোটা সংস্কার আন্দোলন-২০১৮–এর যুগ্ম আহ্বায়ক মো. রাশেদ খাঁন। এ ছাড়া বক্তব্য দেন কোটা সংস্কার আন্দোলনের আরেক যুগ্ম আহ্বায়ক নুরুল হক নুর। এ সময় উপস্থিত ছিলেন কোটা সংস্কার আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক শাকিল উজ্জামান,আব্দুজ জাহের ও মঞ্জুর মোরশেদ।
লিখিত বক্তব্যে মো. রাশেদ খাঁন বলেন, ২০১৮ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি থেকে সরকারি, আধা সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের নিয়োগে অযৌক্তিক কোটা ব্যবস্থার সংস্কারের দাবিতে সারা দেশে শিক্ষার্থীদের স্বতঃস্ফূর্ত ধারাবাহিক আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে সে বছর ৪ অক্টোবর সরকারের সিদ্ধান্তে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সরকারি দপ্তর, স্বায়ত্তশাসিত বা আধা স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান ও বিভিন্ন করপোরেশনের চাকরিতে সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে সরকারের বিদ্যমান কোটাপদ্ধতি সংশোধন করে পরিপত্র জারি করে। সে সময় পরিপত্রে উল্লেখ করা হয়, ৯ম গ্রেড (পূর্বতন প্রথম শ্রেণি) ও ১০ম-১৩তম গ্রেডের (পূর্বতন দ্বিতীয় শ্রেণি) পদে সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ দেওয়া হবে এবং ৯ম গ্রেড (পূর্বতন প্রথম শ্রেণি) ও ১০ম-১৩তম গ্রেডের (পূর্বতন দ্বিতীয় শ্রেণি) পদে সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে বিদ্যমান কোটাপদ্ধতি বাতিল করা হলো।
শিক্ষার্থীদের ধারাবাহিক আন্দোলনের যৌক্তিকতা বিবেচনায় সরকার তৎকালীন মন্ত্রিপরিষদ সচিবের নেতৃত্বে সাত সদস্যের কমিটি গঠনের মাধ্যমে ও কমিটির সদস্যের পর্যালোচনার ভিত্তিতে এ সিদ্ধান্ত নেয়। তাহলে কেন ২০১৮ সালের মীমাংসিত বিষয় নিয়ে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে। কোটা সংস্কার আন্দোলন শেষে সাধারণ শিক্ষার্থীরা পড়ার টেবিলে ফিরে গেছেন। এখন বিসিএসসহ সব প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির চাকরিতে মেধাবীরা সুযোগ পাচ্ছেন। অনতিবিলম্বে হাইকোর্টের এ রায় আপিল বিভাগের মাধ্যমে রাষ্ট্রপক্ষকে স্থগিত করার উদ্যোগ গ্রহণের দাবি জানাচ্ছি।