৪৪তম বিসিএসের ৯ হাজারের বেশি খাতা তৃতীয় পরীক্ষকের কাছে

বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন
ফাইল ছবি

৪৪তম বিসিএসে প্রথম ও দ্বিতীয় পরীক্ষকের খাতা দেখা শেষ। এখন ৯ হাজারের কিছু বেশি খাতা দেখা শুরু করেছেন তৃতীয় পরীক্ষক। গত সপ্তাহ থেকে সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি) তৃতীয় পরীক্ষককে খাতা দেওয়া শুরু করেছে। এ খাতা দেখার সময়ও বেঁধে দিয়েছে পিএসসি। পিএসসির একাধিক সূত্র প্রথম আলোকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে পিএসসির পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক শাখার এক কর্মকর্তা প্রথম আলোকে বলেন, গত সপ্তাহ থেকে ৪৪তম বিসিএসের খাতা তৃতীয় পরীক্ষকের কাছে পাঠানো হয়েছে। তাঁদের এসব খাতা দেখতে ১০ থেকে ১৫ দিন সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে। যাঁদের খাতা কিছুটা কম, তাঁদের ১০ দিন আর যাঁরা বেশি খাতা পেয়েছেন, তাঁদের ১৫ দিনের মধ্যে খাতা দেখা শেষ করার তাগিদ দেওয়া হয়েছে।

পিএসসি সূত্র জানায়, বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর তা প্রথম পরীক্ষকদের দেখার জন্য দেওয়া হয়েছিল। তাঁদের এই খাতা দেখতে সময়ও বেঁধে দেওয়া হয়। এখন প্রথম পরীক্ষকেরা সেই খাতা জমা দিয়ে দ্বিতীয় পরীক্ষক হিসেবে খাতা দেখেছেন। এরপর তাঁরা যখন দ্বিতীয় পরীক্ষক হিসেবে খাতা জমা দেন, তখন তা যাচাই করা হয়েছে। এই দুই খাতার মধ্যে ২০ শতাংশ বা এর অধিক নম্বরের পার্থক্য থাকলে তা নিয়ম অনুসারে তৃতীয় পরীক্ষককে দিয়ে দেখিয়ে চূড়ান্ত করা হয়।

আরও পড়ুন

এ বিষয়ে জানতে চাইলে পিএসসির পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (ক্যাডার) আনন্দ কুমার বিশ্বাস প্রথম আলোকে বলেন, ৪৪তম বিসিএসের খাতা তৃতীয় পরীক্ষকের কাছে যাওয়া শুরু হয়েছে। দ্রুত খাতা দেখে নম্বর চূড়ান্তের চেষ্টা করা হচ্ছে।

পিএসসির একটি সূত্র প্রথম আলোকে জানায়, ৪১তম বিসিএসের ফল প্রকাশ দেরি হওয়ার জন্য একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে পিএসসি। ফল দিতে দেরির কারণ হিসেবে তদন্ত কমিটি ৩১৮ পরীক্ষকের গাফিলতি বা দায়িত্বে অবহেলার প্রমাণ পায়। পরীক্ষকদের এমন অবহেলা কীভাবে কমানো যায়, সে জন্য তদন্ত কমিটি বেশ কিছু সুপারিশ করে। সেই সুপারিশের অংশ হিসেবে পিএসসি বেশ কিছু উদ্যোগ গ্রহণ করে। পিএসসির নানা উদ্যোগের কারণে তৃতীয় পরীক্ষকের কাছে খাতা যাওয়ার হার কমেছে। ৪১তম বিসিএসে ১৫ হাজার, ৪৩তম বিসিএসে ১০ হাজার ও ৪৪তম বিসিএসে ৯ হাজারের কিছু বেশি খাতা তৃতীয় পরীক্ষকের কাছে গেছে। এতে দেখা যাচ্ছে, তৃতীয় পরীক্ষকের কাছে খাতা যাওয়ার হার কমেছে।

৪৪তম বিসিএস পরীক্ষায় মোট ৩ লাখ ৫০ হাজার ৭১৬ চাকরিপ্রার্থী আবেদন করেছিলেন। ২০২১ সালের ৩০ ডিসেম্বর ৪৪তম বিসিএসের অনলাইন আবেদন শুরু হয়। আবেদনের শেষ সময় ছিল ৩১ জানুয়ারি। পরে তা বাড়িয়ে ২ মার্চ নির্ধারণ করে পিএসসি। এরপর ২০২২ সালের ২৭ মে প্রিলিমিনারি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার ২৫ দিনের মধ্যে ফল প্রকাশের মাধ্যমে রেকর্ড করে পিএসসি। প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় ১৫ হাজার ৭০৮ পরীক্ষার্থী পাস করেন।

৪৪তম বিসিএসের খাতা তৃতীয় পরীক্ষকের কাছে যাওয়া শুরু হয়েছে। দ্রুত খাতা দেখে নম্বর চূড়ান্তের চেষ্টা করা হচ্ছে।
আনন্দ কুমার বিশ্বাস, পিএসসির পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (ক্যাডার)

৪৪তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এই বিসিএসে বিভিন্ন ক্যাডারে ১ হাজার ৭১০ কর্মকর্তা নেওয়া হবে। এর মধ্যে প্রশাসন ক্যাডারে ২৫০ জন, পুলিশ ক্যাডারে ৫০, পররাষ্ট্র ক্যাডারে ১০, আনসার ক্যাডারে ১৪, নিরীক্ষা ও হিসাবে ৩০, কর ক্যাডারে ১১, সমবায়ে ৮, রেলওয়ে পরিবহন ও বাণিজ্যিকে ৭, তথ্যে ১০, ডাকে ২৩, বাণিজ্যে ৬, পরিবার পরিকল্পনায় ২৭, খাদ্যে ৩, টেকনিক্যাল ক্যাডারে ৪৮৫ ও শিক্ষা ক্যাডারে ৭৭৬ জন নেওয়া হবে।

আরও পড়ুন