১৩ বছর পর ভাইভার ডাক পাওয়া প্রার্থীর জন্য বিশেষ বোর্ড পিএসসির

বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন
ফাইল ছবি

২৯তম বিসিএস থেকে ১৩ বছর পর ভাইভার ডাক পাওয়া দেবদাস বিশ্বাসের ভাইভা নিতে বিশেষ বোর্ড গঠন করেছে সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। ওই বোর্ডেই ২৫ ফেব্রুয়ারি নেওয়া হবে দেবদাস বিশ্বাসের সাক্ষাৎকার। পিএসসির একটি সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে পিএসসির ক্যাডার শাখার একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে প্রথম আলোকে বলেন, ‘দেবদাস বিশ্বাসের ভাইভা নিতে বিশেষ বোর্ড গঠন করেছি আমরা। পরীক্ষা ২৫ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে। সব ধরনের নিয়ম মেনেই তাঁর ভাইভা নেওয়া হবে। যথাসময়ে ফলাফলও প্রকাশিত হবে।’ তবে দেবদাস বিশ্বাসের মুঠোফোন নম্বর বা তিনি এখন কী করেন—এ বিষয়ে জানতে চাইলে ওই কর্মকর্তা সেসব তথ্য প্রকাশে রাজি হননি।

২০০৯ সালে ২৯তম বিসিএসে আবেদন করেছিলেন দেবদাস বিশ্বাস। লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণও হয়েছিলেন। কিন্তু ২০১০ সালে মৌখিক পরীক্ষার সময় টাকা জমা দেওয়ার রসিদ সঙ্গে না আনায় বাতিল হয় তাঁর মৌখিক পরীক্ষা। এ বিষয়ে ২০১১ সালে আদালতে রিট করেন তিনি। দীর্ঘ প্রায় ১৩ বছর পর আইনি লড়াই শেষে আবার সরকারি কর্ম কমিশনে (পিএসসি) মৌখিক পরীক্ষার জন্য ডাক পেয়েছেন তিনি।

আরও পড়ুন

গত বৃহস্পতিবার পিএসসির এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, হাইকোর্টের রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে ২৯তম বিসিএসে লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থী দেবদাস বিশ্বাসের (রেজিস্ট্রেশন নম্বর ০০১৫৭৫) মৌখিক পরীক্ষা ২৫ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে। ওই দিন বেলা ১১টায় রাজধানীর আগারগাঁওয়ে পিএসসির প্রধান কার্যালয়ে দেবদাস বিশ্বাসের মৌখিক পরীক্ষা নেওয়া হবে।

কমিশনের পাঠানো সাক্ষাৎকারপত্র এবং সাক্ষাৎকারপত্রে উল্লেখ করা কাগজপত্রসহ নির্ধারিত তারিখ ও সময়ে দেবদাস বিশ্বাসকে মৌখিক পরীক্ষার বোর্ডে উপস্থিত হওয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। নির্ধারিত তারিখ ও সময়ে মৌখিক পরীক্ষার বোর্ডে উপস্থিত না হলে তাঁর মৌখিক পরীক্ষা আর গ্রহণ করা হবে না এবং তাঁর প্রার্থিতা বাতিল হবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে পিএসসির পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (ক্যাডার) আনন্দ কুমার বিশ্বাস গত বৃহস্পতিবার রাত আটটার দিকে প্রথম আলোকে বলেন, ২৯তম বিসিএসের প্রার্থী দেবদাস বিশ্বাস যখন মৌখিক পরীক্ষা দেন, সে সময় মৌখিক পরীক্ষার বোর্ডে টাকা জমা দেওয়ার রশিদ সঙ্গে আনার নিয়ম ছিল। কিন্তু রসিদ সঙ্গে না আনায় দেবদাস বিশ্বাসকে অযোগ্য ঘোষণা করা হয়েছিল। তিনি আদালতে রিট করেছিলেন। এখন আদালতের চূড়ান্ত রায়ের কপি হাতে পাওয়ার পর আবার তাঁকে মৌখিক পরীক্ষার জন্য ডাকা হয়েছে।

আরও পড়ুন

২০০৯ সালে ২৯তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছিল। আবেদন করেছিলেন ১ লাখ ২৩ হাজার ৯৪৯ প্রার্থী। প্রিলিমিনারি, লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা শেষে ২০১১ সালে চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশ করা হয়। এতে ১ হাজার ৭২২ জনকে বিভিন্ন ক্যাডারে সুপারিশ করা হয়েছিল।