বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের ১০ বছর পর চাকরির পরীক্ষা নিচ্ছে শিল্পকলা একাডেমি

বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি চারটি পদে জনবল নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের ১০ বছর পর চাকরির পরীক্ষা নেওয়ার তারিখ ঘোষণা করেছে। কাল শুক্রবার পদগুলোর লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

২০১২ সালের ২১ মে ক্যালিগ্রাফিস্ট, মাইক্রোফোন অপারেটর, সাঁটমুদ্রাক্ষরিক কাম কম্পিউটার অপারেটর ও সহকারী পেইন্টার পদে জনবল নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছিল বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি। সে সময় যাঁরা আবেদন করেছিলেন, তাঁদের অনেকের এখন চাকরির বয়স নেই।

শুধু এই চার পদেই নয়, ২০১৫ সালে প্রকাশিত উচ্চমান সহকারী পদের পরীক্ষাও সাত বছর পর কাল নেওয়া হবে।

৬ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির ১৯টি পদে আবেদনকারী প্রার্থীদের মধ্য থেকে প্রাথমিকভাবে যোগ্য প্রার্থীদের লিখিত পরীক্ষার তারিখ ও সময়সূচি প্রকাশ করা হয়। এই ১৯ পদের মধ্যে ৫টি পদে জনবল নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছিল ২০১২ ও ২০১৫ সালে।

আরও পড়ুন

বাকি পদগুলোয় জনবল নিয়োগের জন্য ২০২২ সালে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছিল। কিছু কিছু পদে পুনরায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিও প্রকাশ করেছিল শিল্পকলা একাডেমি।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সচিব সালাহউদ্দিন আহাম্মদ প্রথম আলোকে বলেন, কিছু পদে নিয়োগের বিষয়ে আদালতে মামলা চলমান ছিল। মামলার কারণে এসব পদে এত দিনে পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব হয়নি। ২০১২ ও ২০১৫ সালের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে যাঁরা আবেদন করেছিলেন, চাকরির ক্ষেত্রে তাঁদের বয়স আদালতের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বিবেচনা করা হবে।

আরও পড়ুন

২০১২ ও ২০১৫ সালে প্রকাশিত নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির পদগুলো বাদে বাকি পদগুলো হলো ডিমার অপারেটর, হিসাবরক্ষণ সহকারী, উচ্চমান সহকারী কাম হিসাবরক্ষক, ডিসপ্লে অ্যাসিস্ট্যান্ট, অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক, ড্রাইভার, কার্পেন্টার, ইলেকট্রিশিয়ান, প্রহরী, মালি, প্রদর্শনী প্রহরী, প্রপসম্যান ও অফিস সহায়ক।

১৯টি পদের পরীক্ষা ১০ ফেব্রুয়ারি সকাল ১০টায় শুরু হবে। অফিস সহায়ক বাদে বাকি পদগুলোর পরীক্ষা তোপখানা রোডের সেগুনবাগিচা হাইস্কুলে অনুষ্ঠিত হবে। অফিস সহায়ক পদের পরীক্ষা রাজধানীর কাকরাইলের উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুল অ্যান্ড কলেজে অনুষ্ঠিত হবে।

আরও পড়ুন

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাস করা চাকরিপ্রার্থী আরিফুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, অনেক প্রতিষ্ঠান নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে আর পরীক্ষা নেওয়ার বিষয়ে তেমন উদ্যোগী হয় না। বছরের পর বছর আবেদন পড়ে থাকে। চাকরিপ্রার্থীদের সঙ্গে এমন আচরণ কোনোভাবেই কাম্য নয়। বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের কত দিনের মধ্যে পরীক্ষা নিতে হবে, সে বিষয়ে সরকারি নির্দেশনা জারি করা উচিত।