প্রাথমিকের তৃতীয় ধাপে ৬ হাজার ৫৩১ পদে নিয়োগের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগ পরীক্ষায় সুপারিশ ও নিয়োগপত্র পাওয়া ৬ হাজার ৫৩১ জন নিয়োগের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন। আজ সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে এ দাবি জানান তাঁরা।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়েছে, প্রাথমিকের প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপের চূড়ান্ত নিয়োগ কার্যক্রম শেষ হলেও তৃতীয় ধাপের নিয়োগ আটকে আছে। ৬ হাজার ৫৩১ জনের নিয়োগ কার্যক্রম ছয় মাসের জন্য স্থগিত করেন হাইকোর্ট। ইতিমধ্যে চেম্বার জজ আদালত, আপিল বিভাগ এবং হাইকোর্টে তিনটি শুনানির পরও কোনো সুরাহা হয়নি। আমাদের মধ্যে অনেকে অন্য সরকারি চাকরি করত। প্রাথমিকের চাকরিতে যোগ দেওয়ার জন্য অন্য চাকরি থেকে অব্যাহতি নিয়ে এখন বেকার তাঁরা। চূড়ান্ত সুপারিশ পাওয়ার পরও যোগদান করতে না পেরে ৬ হাজার ৫৩১টি পরিবার সামাজিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন হতে হচ্ছে। আমাদের মানবেতর জীবনযাপন করতে হচ্ছে।
সুপারিশপ্রাপ্ত সহকারী শিক্ষক কাজল রায় বলেন, আইনি জটিলতা যাতে সৃষ্টি না হয়, সে জন্য আইন মন্ত্রণালয় ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের মতামত নিয়ে ফলাফল প্রকাশ করা হলেও আমাদের এখন যোগদান করতে দেওয়া হচ্ছে না কেন? আমরা কোনো টালবাহানা মেনে নেব না। আমরা এখন দ্রুত যোগদান চাই।
২০২৩ সালের ১৪ জুন এ ধাপের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয় এবং লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় গত ২৯ মার্চ। এ ধাপের লিখিত পরীক্ষার ফল ২১ এপ্রিল প্রকাশ করা হয় ১২ জুন ভাইভা শেষ হয়। গত ১১ নভেম্বর প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক ৫ ডিসেম্বর জেলা শিক্ষা অফিস এবং ৮ ডিসেম্বর স্কুল পদায়ন–সম্পর্কিত নিয়োগ আদেশ জারি করা হয়। নিজ নিজ জেলা সিভিল সার্জনে মেডিকেল টেস্ট এবং জেলা শিক্ষা অফিসে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমাদানও সম্পন্ন করা হয়েছে। অনেক জেলার কিছু কিছু উপজেলায় চূড়ান্ত সুপারিশপ্রাপ্তরা যোগদানপত্রও হাতে পেয়েছেন।