এটিইও পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁস ও অনিয়মের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন ও মানববন্ধন
সহকারী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা (এটিইও) নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁস ও অনিয়মের প্রতিবাদে পরীক্ষা বাতিল এবং পুনঃপরীক্ষার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টায় জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার পদে বিভাগীয় পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দ’ ব্যানারে এ কর্মসূচি পালিত হয়েছে।
মো. রিয়াজুল ইসলামের সভাপতিত্বে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করা হয়। লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, ‘৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫ (বিএসএস সূত্রে) জানা যায় যে “উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার পদে ১৯০% কমন সাজেশন” দেওয়ার নামে প্রতারণার অভিযোগে মতিউর রহমান নামের একজনকে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ-সিআইডি গ্রেপ্তার করে।’ সিআইডির অতিরিক্ত ডিআইজি জাহিদুল ইসলাম জানান, এ ঘটনায় জড়িত চক্রের অন্যান্য সদস্যকেও শনাক্ত ও গ্রেপ্তারের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। তবু ১২ সেপ্টেম্বর নির্ধারিত তারিখে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। পরীক্ষা শেষে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে Zahid Khan (All Exam Helper) নামের একটি ফেসবুক পেজ থেকে পরীক্ষার আগের রাত ২টা ৬ মিনিটে প্রশ্নপত্র ফাঁসের প্রমাণ পাওয়া যায়, যা প্রশ্নপত্রের সঙ্গে হুবহু মিলে যায়। বিষয়টি ছড়িয়ে পড়লে, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫ তারিখে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের সাইবার অ্যান্ড ক্রাইম বিভাগ এক অভিযানে স্বাধীন মিয়া নামের একজনকে গ্রেপ্তার করে।'
পরীক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়, আবেদনপ্রক্রিয়ার দুর্বলতার সুযোগে বহিরাগত প্রার্থীরাও পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছেন। এতে বৈধ প্রার্থীদের ন্যায্য প্রতিযোগিতা ব্যাহত হয়েছে। এ ছাড়া পিএসসি কর্তৃক নির্ধারিত সিলেবাস অনুসরণ করা হয়নি বলেও অভিযোগ করেন তাঁরা।
এদিকে দুপুর ১২টায় একই ব্যানারে প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচিও পালন করা হয়। মানববন্ধনে বক্তারা পরীক্ষা বাতিল না হলে আইনি পদক্ষেপ গ্রহণের হুঁশিয়ারি দেন। বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি (শাহিন-লিপি) সাধারণ সম্পাদক খায়রুন নাহার লিপি তাঁর বক্তব্যে বলেন, ‘এর আগে ২০১৬ সালে অনুষ্ঠিত এটিইও পরীক্ষায় অনিয়মের অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও পরীক্ষা বাতিল করা হয়নি। কিন্তু ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫–এর পরীক্ষায় যে অনিয়ম, প্রশ্নপত্র ফাঁস ও দুর্নীতি সংঘটিত হয়েছে, তা মেধাভিত্তিক প্রতিযোগিতা ও ন্যায়বিচার মারাত্মকভাবে ক্ষুণ্ন করেছে। প্রকৃত যোগ্য প্রার্থীদের বঞ্চিত হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। আমরা উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা পদে পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী প্রার্থীদের পক্ষ থেকে পরীক্ষা বাতিল ও পুনঃপরীক্ষার জোর দাবি জানাচ্ছি।’
সহকারী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা নিয়োগে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে ১২ সেপ্টেম্বর।