পরিবারকল্যাণ পরিদর্শিকা মনোনয়ন প্রক্রিয়া বাতিলের বিজ্ঞপ্তির কার্যক্রম স্থগিত

হাইকোর্ট ভবনফাইল ছবি

পরিবারকল্যাণ পরিদর্শিকার ১ হাজার ৮০টি পদে প্রশিক্ষণার্থী মনোনয়নের জন্য বিজ্ঞপ্তি দেয় পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর। এই বিজ্ঞপ্তি অনুসারে লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষার পর প্রশিক্ষণার্থী মনোনয়ন প্রক্রিয়া বাতিল করে চলতি বছরের ১৪ জানুয়ারি আরেকটি বিজ্ঞপ্তি দেয় অধিদপ্তর। এই বিজ্ঞপ্তির কার্যক্রম ছয় মাসের জন্য স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট।  

মনোনয়ন প্রক্রিয়া বাতিল করে দেওয়া বিজ্ঞপ্তির বৈধতা নিয়ে পৃথক রিটের শুনানি নিয়ে বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ সোমবার রুলসহ এ আদেশ দেন। বিভিন্ন জেলার ১৮৪ জন প্রার্থী একটি এবং ২৫ জন প্রার্থী পৃথক রিট করেন।  

আদালতে রিট আবেদনকারী ১৮৪ জন প্রার্থীর পক্ষে শুনানিতে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আহসানুল করিম ও আইনজীবী সৈয়দা নাসরিন। রিট আবেদনকারী অপর ২৫ জন প্রার্থীর পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাশ গুপ্ত।  

পরে আইনজীবী সৈয়দা নাসরিন প্রথম আলোকে বলেন, গত বছরের ১১ মে লিখিত পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করা হয়। রিট আবেদনকারীসহ ৭ হাজার ৬২১ জন উত্তীর্ণ হন। গত বছরের ২৫ মে থেকে ১৮ জুন পর্যন্ত মৌখিক পরীক্ষা হয়। তবে মৌখিক পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ না করে ১৪ জানুয়ারি লিখিত পরীক্ষায় অনিয়মের অভিযোগ তুলে মনোনয়ন প্রক্রিয়া বাতিল করে ওই বিজ্ঞপ্তি দেয়, যা বিধি সম্মত নয়।

আরও পড়ুন

১৪ জানুয়ারি দেওয়া বিজ্ঞপ্তির কার্যক্রম ছয় মাসের জন্য স্থগিত করেছেন জানিয়ে আইনজীবী সৈয়দা নাসরিন বলেন, বিষয়বস্তু ওপর স্থিতাবস্থা বজায় রাখতে আদেশ দিয়েছেন আদালত। ফলে পরিবারকল্যাণ পরিদর্শিকার ১ হাজার ৮০টি পদের বিপরীতে প্রশিক্ষণার্থী মনোনয়নের ফলাফল প্রকাশ করতে আইনগত বাধা নেই।  

আরও পড়ুন

রিট আবেদনকারীপক্ষ জানায়, পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর ২০২০ সালের ১০ মার্চ পরিবারকল্যাণ পরিদর্শিকার ১ হাজার ৮০টি পদে নিয়োগে বিজ্ঞপ্তি দেয়। নিয়োগের জন্য লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা উত্তীর্ণ হওয়ার পর নির্বাচিতদের ১৮ মাসের প্রশিক্ষণ শেষ হওয়ার পর ওই পদে নিয়োগ দেওয়া হয়ে থাকে। গত বছরের ১১ মে লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়। গত ২৫ মে থেকে গত ১৮ জুন পর্যন্ত মৌখিক পরীক্ষা নেওয়া হয়। চলতি বছরের ১৪ জানুয়ারি মনোনয়ন প্রক্রিয়া বাতিল করে বিজ্ঞপ্তি দেয়।

মনোনয়ন প্রক্রিয়া বাতিলসংক্রান্ত ১৪ জানুয়ারির ওই বিজ্ঞপ্তির বৈধতা নিয়ে এর আগে চার প্রার্থী একটি রিট করেন। এই রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে ২ জানুয়ারি হাইকোর্টের অপর একটি দ্বৈত বেঞ্চ রুল দিয়েছিলেন।

আরও পড়ুন