পিএসসিতে এনসিপির প্রতিনিধিদল, ভাইভায় ১০০ ও প্রিলি–লিখিত পরীক্ষার নম্বর প্রকাশসহ ১৫ দফা প্রস্তাব
বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) সঙ্গে বিসিএস পরীক্ষাগুলোর অগ্রগতি বিষয়ে আলোচনা করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। এ সময় বিসিএস ভাইভা পরীক্ষায় ১০০ নম্বর, প্রিলিমিনারি ও লিখিত পরীক্ষার নম্বর প্রকাশ, ৪৪তম বিসিএসের পুনঃ ফল ও ২০২৩ সালের নন–ক্যাডার বিধি সংশোধনসহ ১৫ দাবি পেশ করেছে দলটি।
আজ শনিবার বেলা ১১টায় বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি) কার্যালয়ে পিএসসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক মোবাশ্বের মোনেমের কাছে প্রস্তাবনাগুলো পেশ করে এনসিপির তিন সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল। এনসিপির প্রতিনিধিদলে ছিলেন দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ, যুগ্ম আহ্বায়ক মনিরা শারমিন ও যুগ্ম সদস্যসচিব মোহাম্মদ মিরাজ মিয়া।
হাসনাত আবদুল্লাহর ফেসবুক পোস্টে পিএসসির সঙ্গে আলোচনা ও ১৫ দাবি পেশের বিষয়টি তুলে ধরা হয়েছে।
এনসিপির ১৫ দফা প্রস্তাবনা হলো—
১. ২০২৩ সালের নন–ক্যাডার বিধি সংশোধন দ্রুত বাস্তবায়ন ও ৪৩তম বিসিএস থেকে সমন্বয় করা।
২. ৪৩তম বিসিএস নন–ক্যাডার প্রার্থীদের জন্য অধিযাচিত পদে দ্রুত সুপারিশ সম্পন্ন করা।
৩. ৪৪তম বিসিএসের পুনঃ ফল প্রকাশ ও চলতি বছরেই গেজেট প্রকাশের দাবি।
৪. চলমান (৪৩–৪৭তম) বিসিএসগুলোয় সর্বোচ্চসংখ্যক নন–ক্যাডার পদে সুপারিশের ধারা অব্যাহত রাখা।
৫. ৪৩তম বিসিএসের হেড টিচার পদে সুপারিশ পাওয়া প্রার্থীদের মেধার ভিত্তিতে নতুন সার্কুলারে যুক্ত করা।
৬. ৪৫তম বিসিএস ভাইভার হাজিরাপত্রে মার্কস আপডেট করা।
৭. স্বচ্ছতা নিশ্চিতে প্রিলিমিনারি, লিখিত ও ভাইভার মার্কস প্রকাশ করা।
৮. প্রার্থীদের জন্য চূড়ান্ত নম্বরপত্র অনলাইনে রোল ও রেজিস্ট্রেশন দিয়ে দেখার সুযোগ চালু করা।
৯. পুলিশ ভেরিফিকেশনের প্রক্রিয়া এক মাসে সম্পন্ন করা।
১০. প্রতিবছর একটি ক্যালেন্ডার ইয়ারে বিসিএস সম্পন্ন করার ব্যবস্থা।
১১. শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে স্পেশাল বিসিএসে প্যানেল সিস্টেম চালু করা।
১২. ভাইভা বোর্ডভিত্তিক মার্কসের তারতম্য কমাতে নির্দিষ্ট মূল্যায়ন ক্যাটাগরি প্রণয়ন।
১৩. প্রিলি থেকে লিখিত পরীক্ষার মধ্যে কমপক্ষে দুই মাস বা ৫০ দিনের যৌক্তিক ব্যবধান রাখা।
১৪. চূড়ান্ত ফল প্রকাশের আগে ক্রস চেক করে সম বা নিম্ন ক্যাডারে কেউ যেন নিয়োগ না পায়।
১৫. পিএসসির অধীনে অনুষ্ঠিত সব পরীক্ষা গ্রেডভিত্তিক বা ক্লাস্টার সিস্টেমে আয়োজনের দাবি।
বৈঠক শেষে প্রতিনিধিদলের সদস্যরা জানান, প্রতিটি দাবি নিয়ে পিএসসি কর্মকর্তাদের সঙ্গে বিস্তারিত আলোচনা করেছেন তাঁরা। শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবি বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন অব্যাহত থাকবে বলেও জানিয়েছেন তাঁরা।