ডেভেলপমেন্ট কমিউনিকেশনে চাকরি করতে চাইলে
ডেভেলপমেন্ট খাতে বিশেষ করে ডেভেলপমেন্ট কমিউনিকেশনসে ক্যারিয়ার করতে চাইলে শারীরিক ও মানসিক ফিটনেস জরুরি।
এই খাতে কাজ করতে হলে যেতে হয় দূরদূরান্তে, রোদে, বৃষ্টিতে, পাহাড়-জঙ্গলে। মাইলের পর মাইল হাঁটতে হয়, কখনো কমিউনিটির গল্প তুলতে, কখনো ক্রাইসিস নিয়ে কাজ করতে, কখনো বা হাই লেভেল মিশন কাভার করতে। তাই যদি ভাবেন যে শুধু এসি রুমে বসে কাজ করবেন, আর সবখানে ফোর-হুইলারে যাওয়া-আসা করবেন, তাহলে এই ক্যারিয়ার আপনার জন্য না।
তবে শুধু শরীর ফিট থাকলেই হবে না, লাগবে মানসিক শক্তিও। এই ধরেন, বান্দরবানের কোনো রিমোট জায়গায় কাজ করতে গেলেন, যেখানে নেটওয়ার্কও নেই। সারা দিন পর একটুখানি সিগন্যাল পাওয়া মাত্রই ঢাকার অফিস থেকে মেসেজ—কালকের মধ্যে একটা ক্রাইসিস সলভ করতে হবে। এই মুহূর্তে আপনি অফিসের হয়ে বান্দরবানে, নাকি ঘুরতে মালয়েশিয়ায়, তা কারও মাথাব্যথা না। তাই মানসিকভাবে প্রস্তুত না থাকলে এমন পরিস্থিতিতে ভেঙে পড়া স্বাভাবিক। পাশাপাশি নতুন আইডিয়া, স্টোরিটেলিং বা ক্যাম্পেইনের জন্য দরকার পজিটিভ মাইন্ডসেট। তাই যদি ডেভেলপমেন্ট সেক্টরে কাজ করতে চান, আজ থেকেই নিজের যত্ন নেওয়া শুরু করুন, শরীর আর মন ফিট না থাকলে এই দিকে পা না বাড়ানোই ভালো।
এই সেক্টরে ক্যারিয়ার গড়তে হলে দরকার তিনটি এইচ: হেড, হার্ট ও হ্যান্ড অর্থাৎ মাথা, মন আর হাত।
মাথা:ডেভেলপমেন্ট সেক্টরে কাজ মানেই সময়োপযোগী পরিকল্পনা আর সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা। তাই জানতে হবে আমার আশপাশে কী ঘটছে, দেশের বাইরে কী চলছে। এর মানে এই নয় যে সাধারণ জ্ঞানের বই নিয়ে বসে থাকতে হবে! বরং রিলস-এ সময় কম দিয়ে, সময় কাজে লাগাতে হবে। দেশি-বিদেশি নিউজ পোর্টাল নিয়মিতভাবে পড়তে হবে। পাশাপাশি মিশতে হবে মানুষের সঙ্গে, তৈরি করতে হবে স্ট্রং নেটওয়ার্ক।
মন: এই সেক্টরের মূলেই আছে মানুষ আর তার চারপাশের পরিবেশ। এখানে কাজ করতে হলে মানুষের প্রতি সহানুভূতি থাকা জরুরি।
হাত: মন আর মাথা থাকলেই হবে না, দরকার দক্ষতা। এই সেক্টর অনেক বড়, সেখানে আপনার জায়গা কোথায়, সেটা খুঁজে বের করতে হবে। ক্লাসরুম থেকে শেখার বাইরে আরও অনেক কিছু শিখতে হয়। আমার ক্ষেত্রে যেমন কমিউনিকেশন, আউটরিচ ও ক্যাম্পেইন এই জায়গাগুলোতেই আমি নিজের অবস্থান গড়ে তুলেছি। অন্য কিছু পারি না, কিন্তু আফসোসও নেই। কারণ, আমি যেটা করি, সেটা ভালোবেসে করি। কাজটি যদি উপভোগ করেন, সেটি হয় প্যাশন। জোর করে করলে সেটা স্ট্রেস। এখন আপনি স্ট্রেস নেবেন নাকি প্যাশন, সেটা আপনার হাতে।