চাকরিপ্রার্থীদের সুখবর দিল জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়
সরকারি চাকরিতে মোট শূন্য পদের সংখ্যা ৩ লাখ ৬৯ হাজার ৪৫১। এর মধ্যে প্রথম শ্রেণিতে (৯ম গ্রেড ও তদূর্ধ্ব) শূন্য ৫৫ হাজার ৩৮৯টি। দ্বিতীয় শ্রেণিতে (১০ম গ্রেড) ৪৯ হাজার ১৪২টি, তৃতীয় শ্রেণিতে (১১ থেকে ১৬তম গ্রেড) ১ লাখ ৭৭ হাজার ৭৭৯টি ও চতুর্থ শ্রেণিতে (১৭ থেকে ২০তম গ্রেড) ৮৭ হাজার ১৪১টি পদ শূন্য রয়েছে।
করোনাভাইরাস সংক্রমণের কারণে চাকরি পরীক্ষা বারবার পিছিয়েছে বা স্থগিত হয়েছে। এতে ক্ষতি হয়েছে লাখো চাকরিপ্রার্থীর। এবার তাঁদের জন্য ভালো খবর আসছে। কারণ, পূর্বের নির্দেশ অনুযায়ী সরকারি চাকরিতে প্রবেশের ক্ষেত্রে বয়সে ছাড়ের ভিত্তিতে সরাসরি নিয়োগের শূন্য পদ দ্রুত পূরণের নির্দেশনা দিয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
বৃহস্পতিবার (২ সেপ্টেম্বর) মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলোকে এ নির্দেশনা দিয়ে চিঠি পাঠিয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। চিঠিতে বিভিন্ন ক্যাটাগরির সরকারি চাকরিতে (বিসিএস ছাড়া) সরাসরি নিয়োগের শূন্য পদগুলো দ্রুত সময়ের মধ্যে পূরণের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বলা হয়েছে।
চিঠিতে আরও বলা হয়, বিভিন্ন ক্যাটাগরির সরকারি চাকরিতে (বিসিএস ছাড়া) প্রবেশকালে সর্বোচ্চ বয়সসীমা অতিক্রান্ত প্রার্থীদের আবেদনের সুযোগ দিতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ১৯ আগস্ট পত্রের মাধ্যমে আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রকাশিতব্য বিজ্ঞপ্তিতে প্রার্থীদের সর্বোচ্চ বয়সসীমা ২০২০ সালের ২৫ মার্চ নির্ধারণ করে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়/বিভাগকে নির্দেশনা দেয়।
এর আগে ১৯ আগস্ট করোনাভাইরাসের কারণে নিয়োগ প্রক্রিয়া আটকে থাকায় ক্ষতিগ্রস্ত প্রার্থীদের চাকরিতে প্রবেশের ক্ষেত্রে বয়সে ২১ মাসের ছাড় দিয়ে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলোকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল।
১৯ আগস্টের নির্দেশনার চিঠি অনুযায়ী, ২০২০ সালের ২৫ মার্চের পর থেকে যাঁদের চাকরিতে প্রবেশের সর্বোচ্চ বয়স ৩০ বছর পার হয়েছে বা হচ্ছে, তাঁরা ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত জারি করা নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে আবেদনের জন্য যোগ্য হবেন। চাকরিপ্রার্থীদের করোনার কারণে বয়সের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ২১ মাসের ছাড় দিয়েছে সরকার।
বর্তমানে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩০ বছর, মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের ক্ষেত্রে ৩২ বছর। প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির চাকরিতে সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) মাধ্যমে নিয়োগ দেওয়া হয়। তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির পদগুলোতে নিয়োগের দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট সরকারি দপ্তরের।
করোনার প্রথম দফায় সাধারণ ছুটির কারণে ক্ষতিগ্রস্ত চাকরিপ্রার্থীদের বয়সের ক্ষেত্রে ছাড় দেয় সরকার। তখন গত বছরের ২৫ মার্চের পর যাঁদের বয়স ৩০ বছর পূর্ণ হয়েছিল, তাঁদের পরবর্তী পাঁচ মাস, অর্থাৎ আগস্ট পর্যন্ত সরকারি চাকরিতে আবেদনের সুযোগ দেওয়া হয়। কিন্তু গত এপ্রিল থেকে ফের কঠোর বিধিনিষেধের কারণে মন্ত্রণালয়, বিভাগ কিংবা সংস্থাগুলো চাকরির জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে পারেনি।
সরকারি চাকরিতে শূন্য পদ কত?
সরকারি চাকরিতে মোট শূন্য পদের সংখ্যা ৩ লাখ ৬৯ হাজার ৪৫১। এর মধ্যে প্রথম শ্রেণিতে (৯ম গ্রেড ও তদূর্ধ্ব) শূন্য ৫৫ হাজার ৩৮৯টি। দ্বিতীয় শ্রেণিতে (১০ম গ্রেড) ৪৯ হাজার ১৪২টি, তৃতীয় শ্রেণিতে (১১ থেকে ১৬তম গ্রেড) ১ লাখ ৭৭ হাজার ৭৭৯টি ও চতুর্থ শ্রেণিতে (১৭ থেকে ২০তম গ্রেড) ৮৭ হাজার ১৪১টি পদ শূন্য রয়েছে। গত বছর জাতীয় সংসদে সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে শূন্য পদের পরিসংখ্যান তুলে ধরে এসব তথ্য জানান জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন। তিনি ওই দিন বলেন, সরকারি অফিসে শূন্য পদে লোক নিয়োগ একটি চলমান প্রক্রিয়া। পদ পূরণের লক্ষ্যে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।