বিসিএস লিখিত পরীক্ষার সিলেবাস প্রকাশ

বাংলাদেশ বিষয়াবলিতে মুক্তিযুদ্ধ এবং এর পটভূমি অংশে ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন, ১৯৫৪ সালের নির্বাচন, ছয় দফা আন্দোলন, গণ–অভ্যুত্থান, ১৯৭০ সালের নির্বাচন, ১৯৭১ সালের অসহযোগ আন্দোলন, বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ, মুজিবনগর সরকারের গঠন ও এর কার্যাবলি, জাতিসংঘে বৃহৎ শক্তিগুলোর ভূমিকা, পাকিস্তান সেনাবাহিনীর আত্মসমর্পণ, স্বাধীন বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধুর প্রত্যাবর্তন এবং বাংলাদেশ থেকে ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী প্রত্যাহার—বিষয়ে ৫০ নম্বরের প্রশ্ন এবার নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছে।
সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)
ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি) বিসিএসের লিখিত পরীক্ষার সিলেবাস প্রকাশ করেছে। গত ২৬ আগস্ট পিএসসির ওয়েবসাইটে এ সিলেবাস প্রকাশ করা হয়।

সিলেবাসটি সবশেষ হালনাগাদ করা হয় ২৩ আগস্ট। নতুন সিলেবাসে একটি উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন আনা হয়েছে। বাংলাদেশ বিষয়াবলিতে ২০০ নম্বরের পরীক্ষায় মুক্তিযুদ্ধ এবং এর পটভূমি অংশে নির্দিষ্টভাবে ৫০ নম্বরের প্রশ্ন থাকবে।

রাজধানীর একটি কেন্দ্রে বিসিএস পরীক্ষা চলছে
প্রথম আলো ফাইল ছবি

মোট ৯০০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষা হবে। এর মধ্যে বাংলা প্রথম পত্র (১০০), বাংলা দ্বিতীয় পত্র (১০০), ইংরেজি (২০০), বাংলাদেশ বিষয়াবলি (২০০), আন্তর্জাতিক বিষয়াবলি (১০০), গাণিতিক যুক্তি (৫০), মানসিক দক্ষতা (৫০), সাধারণ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ১০০ নম্বর।

বাংলাদেশ বিষয়াবলিতে মুক্তিযুদ্ধ এবং এর পটভূমি অংশে ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন, ১৯৫৪ সালের নির্বাচন, ১৯৬৬ সালের ছয় দফা আন্দোলন, ১৯৬৮-৬৯ সালের গণ–অভ্যুত্থান, ১৯৭০ সালের সাধারণ নির্বাচন, ১৯৭১ সালের অসহযোগ আন্দোলন, বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ, মুজিবনগর সরকারের গঠন ও এর কার্যাবলি, জাতিসংঘে বৃহৎ শক্তিগুলোর ভূমিকা, পাকিস্তান সেনাবাহিনীর আত্মসমর্পণ, স্বাধীন বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধুর প্রত্যাবর্তন এবং বাংলাদেশ থেকে ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী প্রত্যাহার—এসব বিষয় থেকে ৫০ নম্বরের প্রশ্ন এবার নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছে।

গত ১ আগস্ট ৪১তম বিসিএসের প্রিলিমিনারির ফলাফল প্রকাশ করে পিএসসি। এ বিসিএসে ২১ হাজার ৫৬ জন উত্তীর্ণ হয়েছেন।

মাস্ক পরে সারি বেঁধে কেন্দ্রে ঢুকছেন বিসিএস পরীক্ষার্থীরা।

২০১৯ সালের ২৭ নভেম্বর ৪১তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে পিএসসি। এতে বিভিন্ন পদে ২ হাজার ১৩৫ জন কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া হবে। বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী সবচেয়ে বেশি নেওয়া হবে শিক্ষা ক্যাডারে। এ ক্যাডারে ৯১৫ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে। এর মধ্যে বিসিএস শিক্ষায় ৯০৫ জন ও কারিগরি শিক্ষা বিভাগে ১০ জন প্রভাষক নেওয়া হবে। শিক্ষার পর বেশি নিয়োগ হবে প্রশাসন ক্যাডারে। প্রশাসনে ৩২৩ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে।

পুলিশে ১০০ জন, বিসিএস স্বাস্থ্যে সহকারী সার্জন ১১০ জন ও সহকারী ডেন্টাল সার্জন ৩০ জন নেওয়া হবে। ৪১তম বিসিএসে পররাষ্ট্রে ২৫ জন, আনসারে ২৩ জন, অর্থ মন্ত্রণালয়ের সহকারী মহাহিসাবরক্ষক (নিরীক্ষা ও হিসাব) ২৫ জন, সহকারী কর কমিশনার (কর) ৬০ জন, সহকারী কমিশনার (শুল্ক ও আবগারি) ২৩ জন ও সহকারী নিবন্ধক হিসেবে ৮ জন নেওয়া হবে। পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগে পরিসংখ্যান কর্মকর্তা ১২ জন, রেলপথ মন্ত্রণালয়ে সহকারী যন্ত্র প্রকৌশলী ৪ জন, সহকারী ট্রাফিক সুপারিনটেনডেন্ট ১ জন, সহকারী সরঞ্জাম নিয়ন্ত্রক ১ জন, সহকারী প্রকৌশলী (সিভিল) ২০ জন, সহকারী প্রকৌশলী (যান্ত্রিক) হিসেবে ৩ জনকে নেওয়া হবে।

তথ্য মন্ত্রণালয়ের সহকারী পরিচালক বা তথ্য কর্মকর্তা বা গবেষণা কর্মকর্তা ২২ জন, সহকারী পরিচালক (অনুষ্ঠান) ১১ জন, সহকারী বার্তা নিয়ন্ত্রক ৫ জন, সহকারী বেতার প্রকৌশলী ৯ জন, স্থানীয় সরকার বিভাগে বিসিএস জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলে সহকারী প্রকৌশলী ৩৬ জন, সহকারী বন সংরক্ষক ২০ জন। ৪১তম বিসিএসে সহকারী পোস্টমাস্টার জেনারেল পদে ২ জন, বিসিএস মৎস্যে ১৫ জন, পশুসম্পদে ৭৬ জন, কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা ১৮৩ জন ও বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ৬ জন, বিসিএস বাণিজ্যে সহকারী নিয়ন্ত্রক ৪ জন। পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ৪ জন, বিসিএস খাদ্যে সহকারী খাদ্য নিয়ন্ত্রক ৬ জন ও সহকারী রক্ষণ প্রকৌশলী ২ জন, বিসিএস গণপূর্তে সহকারী প্রকৌশলী (সিভিল) ৩৬ জন ও সহকারী প্রকৌশলী (ই/এম) হিসেবে ১৫ জন কর্মকর্তাকে এ বিসিএসে নিয়োগ দেওয়া হবে।

**বিসিএসের লিখিত পরীক্ষার সিলেবাস পেতে ক্লিক করুন এখানে