এনটিআরসিএ জানাল লক্ষাধিক প্রার্থীর ভাগ্য নির্ধারণ কবে

দেশের বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে (এনটিআরসিএ) চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে ৬৮ হাজার ৩৯০ জন শিক্ষক নিয়োগের চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তিতে আবেদনকারী ১ লাখের বেশি নিবন্ধনধারী চাকরিপ্রার্থীর ভাগ্যে কি আছে, তা জানা যাবে এই মাসের শেষে বা সামনের মাসের প্রথম সপ্তাহে। এই সময়ের মধ্যে প্রার্থীদের পছন্দ অনুসারে স্কুল-কলেজ নির্ধারণ করে চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করবে এনটিআরসিএ। এই ফল প্রকাশ হলেই কে কোন প্রতিষ্ঠানে চাকরি পাবেন, তা জানা যাবে। গত ২৯ জানুয়ারি এসব পদে আবেদনের শেষ তারিখ ছিল।

জানতে চাইলে নাম প্রকাশ না করার শর্তে এনটিআরসিএর একজন কর্মকর্তা প্রথম আলোকে বলেন, চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তিতে আবেদন জমা পড়েছে এক লাখের বেশি। মামলাসংক্রান্ত জটিলতা কিছু আছে। সেগুলো কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করা হচ্ছে। এনটিআরসিএ চাইছে চলতি মাসের শেষে বা আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহে এই ফল প্রকাশ করতে। তবে কোন দিন ফল প্রকাশিত হবে, তা নির্দিষ্ট করে কিছু বলেননি ওই কর্মকর্তা।

প্রথম আলো ফাইল ছবি

গত বছর বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ৬৮ হাজার ৩৯০ জন শিক্ষক নিয়োগের চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)। ৬৮ হাজার ৩৯০টি শূন্য পদের মধ্যে স্কুল ও কলেজ পর্যায়ে ৩১ হাজার ৫০৮ টি শূন্য পদ রয়েছে। মাদ্রাসা, কারিগরি ও ব্যবসায় ব্যবস্থাপনা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শূন্য পদ রয়েছে ৩৬ হাজার ৮৮২টি। সব কটি এমপিওভুক্ত পদ।

এনটিআরসিএর গণবিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, বেসরকারি স্কুল-কলেজ, মাদ্রাসা, কারিগরি ও ব্যবসায় ব্যবস্থাপনা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রবেশ পর্যায়ে (এন্ট্রি লেভেল) ৬৮ হাজার ৩৯০ পদে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগের সুপারিশ পেতে আগ্রহী প্রার্থীদের জন্য ২৯ ডিসেম্বর দুপুর ১২টা থেকে ২৯ জানুয়ারি পর্যন্ত অনলাইনে আবেদন করার সুযোগ ছিল।

ছবি: প্রথম আলো

প্রত্যেক আবেদনকারী নিবন্ধন সনদ অনুযায়ী একই পর্যায়ে (স্কুল/কলেজ) একটিমাত্র আবেদন করতে পেরেছেন। একজন প্রার্থী শূন্য পদের তালিকা থেকে সর্বোচ্চ ৪০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আবেদন করতে পেরেছেন। সব আবেদনের জন্য ফি এক হাজার টাকা। ৪০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বাইরে কোনো প্রার্থী যদি তাঁর পছন্দবহির্ভূত দেশের যেকোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে চাকরি করতে ইচ্ছুক হন, তবে তাঁকে ই-অ্যাপ্লিকেশন ফরমে তারও সুযোগ ছিল।