৪৬তম বিসিএসে আবেদন কত, জানাল পিএসসি

৪৬তম বিসিএসে আবেদনের সময় গত রোববার শেষ হয়েছে। সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি) বলছে, বিসিএসের পরীক্ষাপদ্ধতিতে পরিবর্তন, একসঙ্গে বসা বন্ধ করা ও দেখাদেখি বন্ধ করায় কিছু পরীক্ষার্থী হয়তো আবেদনের আগ্রহ হারাতে পারেন। কেননা, এখন পরীক্ষার বিষয়ে কঠোর পিএসসি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে পিএসসির একাধিক সদস্য আজ মঙ্গলবার প্রথম আলোকে বলেন, ৪৬তম বিসিএসে ৩ লাখ ২৫ হাজার ৬০৮টি আবেদন জমা পড়েছে। আবেদন কি কিছুটা কম, জানতে চাইলে পিএসসির ওই সদস্য বলেন, প্রকৃত প্রার্থীরাই আবেদন করছেন। আগে দেখাদেখি, কথা বলাবলি—এসব সুযোগ নিতে আবেদনকারীরা নানাভাবে তৎপর ছিলেন। পিএসসি সেই তৎপরতা একেবারে বন্ধ করেছে। কোনোভাবেই রেজিস্ট্রেশন করে বা টাকা জমা দিয়ে পাশাপাশি বসার সুযোগ নেই। আবার ঘাড় ঘুরালেই খাতা নেওয়ার নিয়ম করা হয়েছে। এ ছাড়া কথা বললে সঙ্গে সঙ্গেই ব্যবস্থা ও পরীক্ষকদের বেশি তৎপরতার ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। পিএসসির এসব উদ্যোগ সম্পর্কে অনেকে জেনেছেন, তাই শুধু পরীক্ষা দেওয়ার জন্য পরীক্ষা দেওয়ার নীতি থেকে বেরিয়ে আসতে চাইছেন পরীক্ষার্থীরা। এসব কারণে আবেদন কিছুটা কম এসেছে বলে মনে করেন ওই সদস্য।

আরও পড়ুন

কিছু পরীক্ষার্থী বলেন, বিসিএসের বিপুল পরিমাণ আগ্রহে ভাটা পড়েছে। এর অন্যতম কারণ সময় বেশি লাগা। একেকটি বিসিএসে গড়ে চার বছর সময় লাগে। এ সময়ে অন্য চাকরিও করা কঠিন। তাই অনেকে এ দীর্ঘ সময়ের বৃত্ত থেকে বেরিয়ে আসতে চাইছেন, তাই বিসিএসে এবারে আবেদনে আগ্রহ কম বলে মনে করা হচ্ছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাস করা তরুণ সাব্বির হোসেন বলেন, ‘বিসিএসের চাকরি পেতে অন্তত পাঁচ ধাপে নানাভাবে পরীক্ষায় অংশ নিতে হয়। দীর্ঘ সময় ধরে পরীক্ষা হয়। এই বড় সময়ে অন্য কিছু করা যায় না। তাই আমি বিসিএসের বৃত্ত থেকে বেরিয়ে ব্যাংকের চাকরির পরীক্ষা দিচ্ছি। এখানে বেতনও ভালো, সময় তুলনামূলক কম লাগে।’

আরও পড়ুন
আরও পড়ুন

গত বছরের ১০ ডিসেম্বর থেকে ৪৬তম বিসিএসের আবেদন শুরু হয়। আবেদন শেষ হওয়ার পরে ৭২ ঘণ্টা টাকা জমা দেওয়া যায়। আবেদনের জন্য প্রার্থীর বয়স ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে হতে হবে। যাঁদের জন্মতারিখ ১৯৯৩ সালের ২ নভেম্বর এবং ২০০২ সালের ২ নভেম্বরের মধ্যে, তাঁরা আবেদন করতে পারবেন। তবে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান, শারীরিক প্রতিবন্ধী প্রার্থী ও বিসিএস স্বাস্থ্য ক্যাডারের প্রার্থীদের জন্য সর্বোচ্চ বয়স ৩২ বছর।