সেনাবাহিনীতে যোগ দেওয়ার স্বপ্ন যাঁদের

ফাইল ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে যাঁরা ক্যারিয়ার গড়তে চান, তাঁদের জন্য সুবর্ণ সুযোগ। দেশের সব জেলা থেকে ৯০তম বিএমএ দীর্ঘমেয়াদি কোর্সে কমিশন্ড অফিসার নেবে সেনাবাহিনী। নারী-পুরুষ উভয়েই আবেদন করতে পারবেন। ইতিমধ্যে অনলাইনে আবেদন শুরু হয়েছে। সেনাবাহিনীতে পেশা গড়ার স্বপ্ন যাঁদের, তাঁরা আবেদন করতে পারেন। ৯০তম বিএমএ কোর্সে কয়েক ধাপে চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত প্রার্থীরা তিন বছরের প্রশিক্ষণ শেষে কমিশন্ড অফিসার (সেকেন্ড লেফটেন্যান্ট) হিসেবে নিয়োগ পাবেন।

আবেদনের যোগ্যতা

আগ্রহী প্রার্থীদের মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক সার্টিফিকেট বা সমমান পরীক্ষায় যেকোনো একটিতে জিপিএ-৫ ও অন্যটিতে জিপিএ-৪.৫০ পেয়ে উত্তীর্ণ হতে হবে। ইংরেজি মাধ্যমে হলে ও লেভেলে ছয়টি বিষয়ের মধ্যে তিনটিতে এ গ্রেড, তিনটিতে বি গ্রেড এবং এ লেভেলে দুটি
বিষয়েই ন্যূনতম বি গ্রেড পেয়ে উত্তীর্ণ হতে হবে। অথবা ও লেভেলে ছয়টি বিষয়ের মধ্যে দুটিতে এ গ্রেড, তিনটিতে বি গ্রেড ও একটিতে সি গ্রেড এবং এ লেভেলে দুটি বিষয়ের মধ্যে একটিতে এ গ্রেড ও একটিতে বি গ্রেড পেয়ে উত্তীর্ণ হতে হবে।

২০২২ সালের এইচএসসি বা এ লেভেল পরীক্ষার্থীরা আবেদন করতে পারবেন। এ ক্ষেত্রে প্রার্থীদের অবশ্যই এসএসসি জিপিএ-৫ বা ও লেভেলে ছয়টি বিষয়ের মধ্যে তিনটিতে এ গ্রেড, তিনটিতে বি গ্রেড বা সমমান ফলাফল থাকতে হবে। নির্বাচিত প্রার্থীদের এইচএসসি বা এ লেভেল পরীক্ষায় অংশগ্রহণের পরই আইএসএসবিতে অংশগ্রহণ করতে পারবেন। উভয় মাধ্যমের ক্ষেত্রে বিএমএ যোগদানের আগে অবশ্যই এইচএসসি বা এ লেভেল পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হতে হবে।

অন্যান্য যোগ্যতা

প্রার্থীকে অবশ্যই অবিবাহিত হতে হবে। ২০২৩ সালের ১ জুলাই তারিখে বয়স ১৭ থেকে ২১ বছরের মধ্যে হতে হবে। সশস্ত্র বাহিনীতে কর্মরত প্রার্থীদের জন্য বয়স ১৮ থেকে ২৩ বছর। পুরুষ প্রার্থীদের জন্য উচ্চতা ৫ ফুট ৪ ইঞ্চি, বুকের মাপ স্বাভাবিক ৩০ ও প্রসারণ ৩২ ইঞ্চি, ওজন ৫৪ কেজি। নারী প্রার্থীদের জন্য উচ্চতা ৫ ফুট ২ ইঞ্চি, বুকের মাপ স্বাভাবিক ২৮ ও প্রসারণে ৩০ ইঞ্চি, ওজন ৪৭ কেজি।

যেভাবে আবেদন

আগ্রহী প্রার্থীরা এই ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে হোম পেজের ওপরে ডান কোনায় ‘অ্যাপ্লাই নাউ’ অপশনে ক্লিক করে বিএমএ দীর্ঘমেয়াদি কোর্সে আবেদন করতে পারবেন। অনলাইনে আবেদন করতে কোনো অসুবিধা হলে ওয়েবসাইটে দেখানো কাস্টমার সাপোর্ট নম্বরে (+৮৮০১৭১৩১৬১৯৭৯) সরাসরি যোগাযোগ করা যাবে। আবেদনকারী প্রার্থীদের টেলিটক, ট্রাস্ট ব্যাংক টি-ক্যাশ, ভিসা বা মাস্টার কার্ড, বিকাশ, রকেট ইত্যাদির মাধ্যমে এক হাজার টাকা আবেদন ফি জমা দিতে হবে। আগামী ৭ অক্টোবর পর্যন্ত আবেদন করা যাবে।

নির্বাচনপদ্ধতি

কমিশন্ড অফিসার পদে কয়েক ধাপে প্রার্থী নির্বাচন করা হয়। প্রাথমিক নির্বাচনী (স্বাস্থ্য ও মৌখিক) পরীক্ষা আগামী ১৬-২৭ অক্টোবর পর্যন্ত বিভিন্ন সেনানিবাসে অনুষ্ঠিত হবে। প্রাথমিক নির্বাচনী পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের বাংলা, ইংরেজি, সাধারণ গণিত এবং সাধারণ জ্ঞান বিষয়ে লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হবে। লিখিত পরীক্ষা আগামী ১৭ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হবে। লিখিত পরীক্ষায় যোগ্য প্রার্থীদের ঢাকা সেনানিবাসে অবস্থিত আন্তঃবাহিনী নির্বাচন পর্ষদের (আইএসএসবি) পরীক্ষার জন্য নির্ধারিত তারিখে উপস্থিত হতে হবে। পরীক্ষা বা সাক্ষাৎকারের তারিখ আইএসএসবির ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে। এই পরীক্ষা চার দিনের এবং সব খরচ সরকারের। আইএসএসবি পরীক্ষার পর প্রার্থীদের চূড়ান্ত স্বাস্থ্য পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হবে। চূড়ান্ত স্বাস্থ্য পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলে চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করা হয়।

বিএমএ প্রশিক্ষণ ও নিয়োগ

চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত প্রার্থীদের বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমিতে (বিএমএ) তিন বছরের প্রশিক্ষণ নিতে হবে। বিএমএতে প্রশিক্ষণের সময় স্নাতক ডিগ্রি সম্পন্ন করবেন (ব্যাচেলর অব সোশ্যাল সায়েন্স ইন সিকিউরিটি স্টাডিজ)। প্রশিক্ষণ শেষে কমিশন্ড অফিসার হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত হবেন (সেকেন্ড লেফটেন্যান্ট)।

বিস্তারিত জানতে

বিস্তারিত তথ্য ও যোগাযোগের জন্য পরিচালক, পার্সোনেল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন পরিদপ্তর, অ্যাডজুটেন্ট জেনারেল শাখা, সেনাবাহিনী সদর দপ্তর, ঢাকা সেনানিবাস এই ঠিকানায় যোগাযোগ করা যাবে। এই ওয়েবসাইটেও তথ্য জানা যাবে।