৫০তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি ঘোষিত রোডম্যাপ অনুযায়ী ১ নভেম্বরে

নতুন বিসিএস দরজায় কড়া নাড়ছে। নভেম্বর মাসের শুরুতেই ৫০তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হতে পারে। এই বিসিএস ঘিরে কর্মযজ্ঞ চালিয়ে যাচ্ছে সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। বিজ্ঞপ্তি থেকে শুরু করে কীভাবে ৫০তম বিসিএস এগিয়ে নেওয়া যায়, তা নিয়ে কর্মপরিকল্পনাও ঠিক করা শুরু করেছে সরকারি কর্ম কমিশন।

পিএসসি সূত্র জানায়, সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানটির ঘোষিত রোডম্যাপ অনুযায়ী ২০২৫ সালের ১ নভেম্বর ৫০তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে। ইতিমধ্যে প্রস্তুতিও শুরু হয়েছে। স্বাধীন বাংলাদেশে ১৯৭২ সালে যাত্রা শুরু করা পিএসসির জন্য ৫০তম বিসিএসটি বিশেষ গুরুত্ব বহন করে। তাই এই বিসিএসের প্রস্তুতির কাজটিও বিশেষ গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে।

আরও পড়ুন

পিএসসির একজন দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা প্রথম আলোকে বলেন, সব থেকে বেশি চাকরিপ্রার্থী আবেদন করে সাধারণ বিসিএসে। সবশেষ ২০২৪ সালের ২৮ নভেম্বর ৪৭তম সাধারণ বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছিল। ২০২৫ সালের ১ নভেম্বরে ৫০তম সাধারণ বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশকে কেন্দ্র করে কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। তিনি বলেন, পিএসসি চাইছে ঘোষিত রোডম্যাপ অনুযায়ী ৫০তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ, প্রিলিমিনারি, লিখিত কিংবা মৌখিক পরীক্ষা সবকিছুই নির্ধারিত সময় মেনে অনুষ্ঠিত হবে।

এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক মোবাশ্বের মোনেম প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমি দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই সরকারি কর্ম কমিশনে ইতিবাচক পরিবর্তন আনার চেষ্টা করছি। ইতোমধ্যে সিভিল সার্ভিসের সাধারণ প্রার্থীদের জন্য আবেদন ফি কমানো হয়েছে। মৌখিক পরীক্ষার নম্বরও কমানো হয়েছে। ঘোষিত রোডম্যাপ অনুযায়ী বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি থেকে ফলাফল প্রকাশের চেষ্টা করছি। ৫০তম সাধারণ বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি পিএসসি ঘোষিত রোডম্যাপ অনুযায়ী অনুষ্ঠিত হবে।’

আরও পড়ুন

বিসিএসের আবেদন ফি, মৌখিক পরীক্ষার নম্বর ও মোট নম্বরের ক্ষেত্রে কয়েকটি পরিবর্তন এনেছে পিএসসি। ২০২৪ সালের ১১ ডিসেম্বর জারিকৃত প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের সাধারণ প্রার্থীদের জন্য আবেদন ফি ৭০০ টাকার পরিবর্তে ২০০ টাকা করা হয়। ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী, প্রতিবন্ধী ও তৃতীয় লিঙ্গের প্রার্থীদের জন্য আবেদন ফি ১০০ টাকার পরিবর্তে করা হয় ৫০ টাকা। এ ছাড়া বিসিএসে আবেদনের সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৩০ বছরের পরিবর্তে ৩২ বছর করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, সবশেষ অনুষ্ঠিত ৪৭তম সাধারণ বিসিএসে মোট ৩ লাখ ৭৪ হাজার ৭৪৭ জন চাকরিপ্রার্থী আবেদন করছিল। ৪৭তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী সেই মোট শূন্য ক্যাডার পদের সংখ্যা ছিল ৩ হাজার ৪৮৭। নন-ক্যাডার পদের সংখ্যা ছিল ২০১।

আরও পড়ুন