৪৪তম বিসিএসে তৃতীয় পরীক্ষক কত খাতা দেখবেন, তা নির্ধারণ ১৫ জানুয়ারির পর
৪১ ও ৪৩তম বিসিএসের নিয়োগপ্রক্রিয়া শেষ করে অনেকটাই ভারমুক্ত হয়েছে সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। এখন সাংবিধানিক এই প্রতিষ্ঠানটি ৪৪তম বিসিএসের কার্যক্রম দ্রুতই শেষ করতে চায়। সে জন্য নানা উদ্যোগ গ্রহণ করেছে পিএসসি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পিএসসির একজন সদস্য প্রথম আলোকে বলেন, ৪৪তম বিসিএসের কার্যক্রমে এখন গতি দেওয়া হবে। এই বিসিএসের লিখিত পরীক্ষার খাতা দেখছেন দ্বিতীয় পরীক্ষকেরা। এই কার্যক্রম ১৫ জানুয়ারির মধ্যে শেষ করার পরিকল্পনা আছে। এরপর নির্ধারণ হবে কত খাতা তৃতীয় পরীক্ষকের কাছে যাবে। সাধারণত প্রথম পরীক্ষক ও দ্বিতীয় পরীক্ষকের দেওয়া নম্বরের পার্থক্য ২০ শতাংশের বেশি হলে তৃতীয় পরীক্ষকের কাছে সেই খাতা পাঠানো হয়। তৃতীয় পরীক্ষক নম্বর চূড়ান্ত করেন।
৪৪তম বিসিএসের অগ্রগতি আরও দ্রুত হওয়ার কথা জানিয়ে ওই সদস্য প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমাদের হাতে ৪১ ও ৪৩তম বিসিএসের বেশ কিছু কাজ ছিল। আমরা তা শেষ করে ওই দুই বিসিএসের চূড়ান্ত ফল দিয়েছি। এখন ৪৪তম বিসিএস আমাদের নজরে আছে। দ্রুতই শেষ করা হবে এই বিসিএস।’
৪৪তম বিসিএস পরীক্ষায় মোট ৩ লাখ ৫০ হাজার ৭১৬ জন চাকরিপ্রার্থী আবেদন করেছিলেন। ২০২১ সালের ৩০ ডিসেম্বর ৪৪তম বিসিএসের অনলাইন আবেদন শুরু হয়। আবেদনের শেষ সময় ছিল ৩১ জানুয়ারি। পরে তা বাড়িয়ে ২ মার্চ নির্ধারণ করে পিএসসি।
এরপর ২০২২ বছরের ২৭ মে প্রিলিমিনারি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার ২৫ দিনের মধ্যে ফলাফল প্রকাশের মাধ্যমে রেকর্ড করে পিএসসি। প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় ১৫ হাজার ৭০৮ পরীক্ষার্থী পাস করেন।
সাধারণত প্রথম পরীক্ষক ও দ্বিতীয় পরীক্ষকের দেওয়া নম্বরের পার্থক্য ২০ শতাংশের বেশি হলে তৃতীয় পরীক্ষকের কাছে সেই খাতা পাঠানো হয়। তৃতীয় পরীক্ষক নম্বর চূড়ান্ত করেন।
৪৪তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এই বিসিএসে বিভিন্ন ক্যাডারে ১ হাজার ৭১০ জন কর্মকর্তা নেওয়া হবে। এর মধ্যে প্রশাসন ক্যাডারে ২৫০ জন, পুলিশ ক্যাডারে ৫০, পররাষ্ট্র ক্যাডারে ১০, আনসার ক্যাডারে ১৪, নিরীক্ষা ও হিসাবে ৩০, কর ক্যাডারে ১১, সমবায়ে ৮, রেলওয়ে পরিবহন ও বাণিজ্যিকে ৭, তথ্যে ১০, ডাকে ২৩, বাণিজ্যে ৬, পরিবার পরিকল্পনায় ২৭, খাদ্যে ৩, টেকনিক্যাল ক্যাডারে ৪৮৫ ও শিক্ষা ক্যাডারে ৭৭৬ জন নেওয়া হবে।