২৫৯৮ জনকে নিয়োগের সুপারিশ পিএসসির

বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি) মাধ্যমিক স্কুলের সহকারী শিক্ষক ও নন–ক্যাডার পদে ২ হাজার ৫৯৮ জনকে চাকরির জন্য সুপারিশ করেছে। আজ মঙ্গলবার বিকেলে বিশেষ সভায় বসেছিল পিএসসি। সেই সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়। বিশেষ সভায় ৪০ তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষার ফল দেওয়ার বিষয়ে নিয়েও আলোচনা হয়েছে।

আজই মাধ্যমিক স্কুলের সহকারী শিক্ষক ও নন–ক্যাডার পদে ২ হাজার ৫৯৮ জনকে নিয়োগের ফল প্রকাশ করা হবে। পিএসসির ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে এ ফল।

সভায় শেষে পিএসসির একজন সদস্য প্রথম আলোকে বলেন, মাধ্যমিক স্কুলের সহকারি শিক্ষক পদে ২ হাজার ১৫৫ জন নিয়োগ পাচ্ছেন। আর ৩৮ তম বিসিএস থেকে ৪৪৩ জনকে নন-ক্যাডারে (১ ম শ্রেণির পদ) নিয়োগের জন্য সুপারিশ করা হয়েছে।

সহকারী শিক্ষকেরা সবাই দশম গ্রেডে নিয়োগ পাবেন।

দেশের ৩১৯ সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক–সংকট আছে। সর্বশেষ ২০১১ সালে শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হয়। এরপর থেকে বিসিএসের নন-ক্যাডার থেকে সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হচ্ছিল। তবে বিসিএস নন-ক্যাডার থেকে স্কুলগুলোর জন্য বিষয়ভিত্তিক পর্যাপ্ত শিক্ষক পাওয়া যাচ্ছিল না। এ ছাড়া বিসিএসের নন-ক্যাডার থেকে যাঁরা শিক্ষক পদে নিয়োগ পেয়ে আসেন, তাঁদের বেশির ভাগই পরে অন্য চাকরিতে চলে যান। এতে বিদ্যালয়গুলোয় শিক্ষক–সংকট থেকেই যায়।

পরে ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বর মাসে সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে লিখিত পরীক্ষা হয়। এই বছরের নভেম্বর লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশ হয়। চলতি বছরে মৌখিক পরীক্ষা নেওয়া হয়। এখন লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের তালিকা প্রকাশ করে তাঁদের নিয়োগ দিতে সুপারিশ করছে পিএসসি।