করোনা কন্টিনিউয়াস, নিজেদের ঘরে রাখুন

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

সবাই চাইছেন সেনাবাহিনী নামিয়ে লোকজনকে ঘরে ফেরাতে। জনগণের কেন ঘরে থাকতে মন চায় না?

করোনার কোনো ট্রিটমেন্ট নেই। প্রতিষেধক নেই!

৩-৭ শতাংশ মৃত্যু রেট! ৯৭ শতাংশ বাঁচে বলে যাঁরা আত্মতৃপ্তি পাচ্ছেন, তাঁদের বলছি, এটা শুনতে ভালো লাগে, যদি অন্য কেউ মরে! সেই ৩-৭ শতাংশে যদি আপনি পড়ে যান, সেটা কিন্তু আপনার ও আপনার পরিবারের জন্য ১০০ শতাংশ। সেই সঙ্গে নিজের লোকজন, স্বামী, স্ত্রী, সন্তান, পিতা, মাতা, বন্ধু, প্রতিবেশি ও অপরিচিত লোককে ইনফেক্ট করবেন; তাঁদের মৃত্যুর মিছিলে সামিল করে দেবেন।

মনে হচ্ছে, কারও প্রতি আপনার রাগ জমা থাকলে, ভালো একটা বুদ্ধি তাদের ঘায়েল করতে!

যেটা বলছিলাম। এর ট্রিটমেন্ট নেই, অনেক কিছুই ট্রাই করা হচ্ছে! ওই যে ৯৭ শতাংশ? তাঁদের সিম্পটম যদি মাইল্ড হয়, কিছু করার নেই। সিম্পটম দেখা দিলেই হোম কোয়ারেন্টিন করুন! জনগণ থেকে আলাদা থাকুন! বাসায় আপনার বাবার প্রেশার, মায়ের ডায়াবেটিস, বোনের অ্যাজমা, ভাইয়ের কিডনি বিকল, দাদা সিগারেট টেনে সিওপিডি, দাদির ক্যানসার, নানার ক্যানসার, নানির উপরোক্ত সবকিছু আছে—আপনি এঁদের প্রত্যেককে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিলেন, অসচেতনতায়! হয়তো আপনি বেঁচেই গেলেন, এই লোকগুলো না–ও বাঁচতে পারেন! এঁদের থেকে কাজের লোক, গাড়িচালক, মুদিদোকানদার, কাপড়ের দোকানদার, রেস্টুরেন্টের ওয়েট্রেস, বাস বা ট্রেনের যাত্রী—সবাই এবং তাঁদের ফ্যামিলি আক্রান্ত হবে! কারও বাসায় মুমূর্ষু রোগী আছে হয়তো! নতুন বিয়ে করছেন, সেই তাঁদের হাজারো ফ্যামিলি—সব্বাই এবার করোনার রোগী! মসজিদে যাচ্ছেন, মন্দিরে, চার্চ বা প্যাগোডায়—সেখানেও শত শত মানুষকে আক্রান্ত করছেন, হয়তো হাজার ছুঁয়েছে নম্বরটা শুধু আপনার গাফিলতিতে! সে অসুখে শুধু আপনি আক্রান্ত হয়ে, দুই সপ্তাহ পর ভালো হয়ে যেতে পারতেন, তার রিপল ইফেক্ট বুঝতে পারছেন?

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

এবার আসি যারা খুব অসুস্থ তাদের কথায়, অবশ্যই হাসপাতালে নিতে হবে, আমাদের হাজারো বেডের আইসিইউ নেই! হাজারো ভেন্টিলেটর নেই— শ্বাসকষ্ট থেকে এ আরডিএস, রেস্পেরেটরি ফেইল, মরতে দেরি হবে না; কিন্তু কী ভীষণ কষ্ট নিয়ে মরবে, ধারণাই নেই আপনার! অবশ্য রোগী তখন শকে! প্রত্যেক ডাক্তার, নার্স, হেলথকেয়ারের লোক তার ছোঁয়ায় থাকবে, তাঁদের পরিবার এ রোগের ঝুঁকিতে পড়বে! চিকিৎসকেরা নিজেদের প্রটেকশন না পেলে চিকিৎসা দিতে অস্বীকার করতেই পারে! আবার সব চিকিৎসক মরে সাফ হলে, ইন্ডিয়া থেকে সব এসে ইনভেড করবে—সময়ের অপেক্ষা। অলরেডি আমাদের মেরুদণ্ড ভাঙা!

মরলে জানাজায় যাবেন, সেখানকার প্রত্যেকে করোনায় আক্রান্ত হবে।

দেখলাম, ইজতেমার আয়োজন চলছে, এর মধ্যেই একটি জনগোষ্ঠী কতটা অন্তসারশূন্য, ক্যালাস, কেয়ারলেস এবং ইরেসপনসিবল হতে পারে, সেটা আমাদের দেখে শিখতে হবে!

মাসখানেকের চাল, ডাল, তেল, মাছ, মাংস, সবজি কেনেন; এর বেশি কিনে মরে গেলে খাবে কে ভেবেছেন?

নতুন শাড়ি, জামা, জুতা, কসমেটিকস বা গয়নার সময় এটা নয়, চিকিৎসার খাতে পয়সাটা জমা রাখুন! শুধু প্রয়োজনীয় দ্রব্য বাদে, যেকোনো অপচয় রোধ করুন!

নিজে বাঁচুন, অন্যদের বাঁচান!