করোনার ক্ষতি এক দশক বইতে হবে মার্কিন অর্থনীতিকে

করোনা মহামারির কারণে মার্কিন অর্থনীতিতে যে টান পড়েছে, তা এক দশক স্থায়ী হতে পারে। আজ মঙ্গলবার মার্কিন কংগ্রেশনাল বাজেট (সিবিও) অফিসের এক পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়। খবর বিবিসি অনলাইনের।

এই পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে চলতি বছর থেকে ২০৩০ সালের মধ্যে মার্কিন অর্থনৈতিক উৎপাদন ৩ শতাংশ কমবে। অর্থাৎ, প্রায় ৭ দশমিক ৯ ট্রিলিয়ন ডলারের লোকসান হবে। এই সতর্কতার মূল কারণ মহামারি ঠেকাতে নেওয়া লকডাউনের কারণে লাখ লাখ মানুষের বেকারত্ব। অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারে ইতিহাসে অন্যতম বড় তহবিল গঠন করা হলেও মন্দা ঠেকানো সম্ভব হবে না।

নির্দলীয় সংস্থা সিবিওর মনে, বেশি লোকসান এই বছর অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের তীব্র সংকোচনের কারণে হয়েছে। জানুয়ারিতে প্রকাশিত সিবিওর পূর্বাভাসে এর আভাস ছিল না।

সিবিওর পরিচালক ফিলিপ সোয়াগেল বলেন, ব্যবসা বন্ধ, সামাজিক দূরত্ব ব্যবস্থা ভোক্তা ব্যয় কমিয়েছে, একই সঙ্গে জ্বালানির দাম কমে যাওয়ায় এই খাতে মার্কিন বিনিয়োগ মারাত্নকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

সিবিওর মূল্যায়নে সাম্প্রতিক নানা আইনগত পদক্ষেপ অর্থনৈতিক অবস্থার অবনতিকে আংশিকভাবে প্রশমিত করবে।

যুক্তরাষ্ট্রের বেকারত্বের হার ১৯৩০ সালের মহামন্দাকে ছাড়িয়ে গেছে। মহামারির কারণে প্রায় ৪ মানুষ বেকার হয়ে গেছে। দেশটির শ্রম মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, এপ্রিলে দেশটির বেকারত্বের হার ১৪ দশমিক ৭ শতাংশ। মে মাসে তা ২০ শতাংশ ছাড়াতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। অথচ মার্চে দেশটিতে বেকারত্বের হার ছিল ৫০ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন অবস্থানে, মাত্র ৪ দশমিক ৪ শতাংশ।