এবারের বাজেট মানবিক বাজেট: অর্থমন্ত্রী

আ হ ম মুস্তফা কামাল । ফাইল ছবি
আ হ ম মুস্তফা কামাল । ফাইল ছবি

এবারের বাজেটকে ‘মানবিক বাজেট’ বলে আখ্যায়িত করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। তিনি বলেছেন, অর্থনৈতিক উন্নয়ন নয়, এবারের বাজেটে মানুষকে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। মানুষ না থাকলে বাজেট কার জন্য? বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাস সংক্রমণ থেকে মানুষকে বাঁচাতে হবে।

আজ সোমবার জাতীয় সংসদে চলতি ২০১৯-২০ অর্থবছরের সম্পূরক বাজেটের ওপর সমাপনী বক্তব্যে অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন অর্থমন্ত্রী।

আগে ব্যয়, পরে আয়—অর্থমন্ত্রীর এমন বক্তব্যের সমালোচনা করেছেন কোনো কোনো সংসদ। এর জবাব দিতে গিয়ে অর্থমন্ত্রী বলনে, ‘বাজেট ছাড়া রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে অর্থ তোলার কোনো ব্যবস্থা নেই। অন্যবার আমরা রেভিনিউ (রাজস্ব) অর্জন করি এবং রেভিনিউ খরচ করি। এবার আমরা রেভিনিউ আগে খরচ করব। তারপর রেভিনিউ অর্জন করব। আমরা এখন খরচ না করলে মানুষ বাঁচবে কী করে? আর মানুষ বাঁচাতে না পারলে দেশ কার জন্য? দেশের বাজেট কার জন্য? কাজেই এই বিবেচনা মাথায় রেখে আমি সবাইকে অনুরোধ করব। আসুন, সবাই আমরা ঐকমত্যের ভিত্তিতে এই বাজেট যেন পরিচালনা করি। এই বছরটি একটি ভিন্ন বছর। করোনাভাইরাসের দুর্যোগ মোকাবিলা করতে হলে সবাইকে নিয়ে কাজটি করতে হবে।’

অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের এবারের বাজেটে সব ক্ষেত্রে প্রাধিকার পাচ্ছে দেশের মানুষ। দেশের মানুষকে বাঁচাতে হবে। এই করোনাভাইরাস সংক্রমণ থেকে আমাদের চেষ্টা থাকবে মানুষকে যতটা সম্ভব রক্ষা করা। আল্লাহর অশেষ রহমত থেকে আমরা সেই কাজটি করব।’

নতুন অর্থবছরের বাজেট সবার জন্য উল্লেখ করে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘সব সময় আমাদের বাজেটে অর্থনৈতিক উন্নয়নগুলোর কম্পোনেন্ট প্রাধিকার পায়। কিন্তু এবার আমরা তা করিনি। এবার মানুষকে প্রাধিকার দিয়েছি। এটা কেবল অর্থনৈতিক বাজেট নয়। এটা একদিকে অর্থনৈতিক বাজেট, পাশাপাশি মানবিক বাজেট।’

দেশে করোনা পরিস্থিতির কথা উল্লেখ করে অর্থমন্ত্রী বলেন, এ বছর বাজেটের সংযোজন-বিয়োজন বা সমন্বয়ের কারণটি সবার জানা। বৈশ্বিক মহামারি কোভিড–১৯-এর বিবেচনায় সম্পূরক বাজেটে রাজস্ব আয় ও ব্যয় কিছু সমন্বয় করা হয়েছে। জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রাও ৮ দশমিক ২ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ ২ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে। এই পুনর্নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা গেলেও তা হবে দক্ষিণ এশিয়ার সর্বোচ্চ।

মুস্তফা কামাল বলেন, সম্পূরক বাজেট করোনা দুর্যোগ মোকাবিলার জন্য স্বাস্থ্যসেবা খাত, স্বাস্থ্য চিকিৎসা বিভাগ, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগ এবং প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়কে অতিরিক্ত ৩ হাজার ৬০৫ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।