পঞ্চম শ্রেণি - বাংলা | পাঠ্যবই বহির্ভূত অনুচ্ছেদ

নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ১ ও ২ নম্বর প্রশ্নের উত্তর লেখো।

গ্রামের নাম আনন্দপুর। মামার বাড়ি। কথায় আছে, মামার বাড়ি রসের হাঁড়ি। আসলেই তাই। পড়া নেই, বাধা নেই, যেখানে খুশি ঘুরে বেড়াও, যা খুশি খাও। এই তো মামার বাড়ি। গত বছর পয়লা বৈশাখের ছুটিতে গিয়েছিলাম আনন্দপুর। সেখানে পয়লা বৈশাখে মেলা বসে। মামা বললেন, তোমাদের মেলা দেখাতে নিয়ে যাব। আমরা ছিলাম চারজন—আমি, মামাতো বোন বৃষ্টি, সোহানা আর ছোট ভাই তাজিন। মেলা বসে সকালে। আমরা একটু দেরি করেই গেলাম। মামা বেশ মজার মানুষ। কাঁধে ঝোলানো একটা ব্যাগ। তাতে থাকে ছবি আঁকার জিনিস, থাকে একটা বাঁশি। পড়েন ঢাকার চারুকলা ইনস্টিটিউটে।

মেলার একটু কাছে পৌঁছাতেই শুনতে পেলাম নাগরদোলার ক্যাঁচর ক্যাঁচর শব্দ। দেখলাম বাঁশের তৈরি কুলো, ডালা, ঝুড়ি, চালুন, মাছ ধরার চাঁই, খালুই আরও কত-কী! বসেছে বাঙি, তরমুজ, মুড়ি-মুড়কি, জিলাপি আর বাতাসার দোকান সারি সারি। আরেকটু এগোতেই দেখতে পেলাম কত রঙের, কত বর্ণের বিচিত্র সব মাটির হাঁড়ি। ফুল, পাতা, মাছের ছবি আঁকা সেসবে। রয়েছে মাটির ঘোড়া, হাতি, ষাঁড় আর নানা আকারের মাটির পুতুল। আমার চোখ পড়ল কাজ করা অপূর্ব সুন্দর মাটির হাঁড়ির দিকে। মামাকে জিজ্ঞেস করলাম—এটা কিসের হাঁড়ি? মামা বললেন, এটা শখের হাঁড়ি। শখ করে পছন্দের জিনিস এই সুন্দর হাঁড়িতে রাখা হয়। তাই এর নাম শখের হাঁড়ি। তা ছাড়া শখের যেকোনো জিনিসই তো সুন্দর।

১. নিচের শব্দগুলোর অর্থ লেখো।

শখ, নাগরদোলা, বিচিত্র, হাঁড়ি, আঁকা।

উত্তর

শখ ――― ――― ―মনের ইচ্ছা/রুচি/সাধ।

নাগরদোলা ――― ― কাঠের তৈরি দোলনা বিশেষ।

বিচিত্র ――― ――― বিভিন্নতা/মনোরম।

হাঁড়ি ――― ――― ―পাতিল/ডেকচি।

আঁকা ――― ――― চিত্রিত/অঙ্কন করা।

২. নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর লেখো।

প্রশ্ন: কে মেলায় নিয়ে গিয়েছিলেন?

উত্তর: মামা মেলায় নিয়ে গিয়েছিলেন।

প্রশ্ন: শখের হাঁড়ি কী রকম? এর নাম শখের হাঁড়ি কেন?

উত্তর: শখের হাঁড়ি দেখতে অপূর্ব সুন্দর। শখ করে পছন্দের জিনিস এই সুন্দর হাঁড়িতে রাখা হয়। তাই এর নাম শখের হাঁড়ি।

প্রশ্ন: শখের হাঁড়ি কী রকম? এর নাম শখের হাঁড়ি কেন?

উত্তর: শখের হাঁড়ি দেখতে অপূর্ব সুন্দর। শখ করে পছন্দের জিনিস এই সুন্দর হাঁড়িতে রাখা হয়। তাই এর নাম শখের হাঁড়ি।

প্রশ্ন: বৈশাখী মেলায় পাওয়া যায় এমন চারটি জিনিসের নাম লেখো।

উত্তর: বৈশাখী মেলায় পাওয়া যায় এমন চারটি জিনিসের নাম হলো: বাঁশের তৈরি কুলো, ঝুড়ি, মাছ ধরার চাঁই, মাটির হাঁড়ি ইত্যাদি।

খন্দকার আতিক, শিক্ষক, উইলস লিট্ল ফ্লাওয়ার স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ঢাকা

এই বিষয়ের প্রকাশিত পূর্বের পাঠ্যবই-বহির্ভূত অনুচ্ছেদ | পরবর্তী পাঠ্যবই-বহির্ভূত অনুচ্ছেদ