বৈশ্বিক মান নিশ্চিত করতেই সব আয়োজন
বৈশ্বিক মানের শিক্ষা—এ ভাবনা নিয়ে ১৯৯৪ সালে স্টামফোর্ড কলেজ গ্রুপের যাত্রা শুরু করেছিলেন ড. এম এ হান্নান ফিরোজ। ২০০২ সালে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের অনুমোদন নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ। এখন ঢাকার এই বিশ্ববিদ্যালয়ের স্লোগান—উই ব্রিং আউট দ্য বেস্ট ইন ইউ। শিক্ষার্থীরা যেন তাঁদের সেরাটা দিতে পারেন, সেই লক্ষ্যে সহায়তা করতে চায় এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।
স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশে শিক্ষার মান নিশ্চিত করতে পূর্ণকালীন শিক্ষক রয়েছেন ২৪২ জন। এ ছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়সহ বেশ কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নামী শিক্ষকেরা অতিথি শিক্ষক হিসেবে ক্লাস নেন। ক্লাসরুমের পড়ালেখার পাশাপাশি ক্যাম্পাসে ১২টি আধুনিক কম্পিউটার ল্যাবসহ আছে ৪টি তড়িৎ ও ইলেকট্রনিকস ল্যাব, ৫টি ফার্মাসি ও মাইক্রোবায়োলজি ল্যাব, ৭টি পুরকৌশল ল্যাব, ১০টি ডিজাইন ও ড্রয়িং ল্যাব, ল্যাঙ্গুয়েজ ল্যাব এবং ৫টি ভিডিও এডিটিং ল্যাব। শিক্ষার্থীরা যেন প্রয়োজনে ব্যবহার করতে পারেন, সে জন্য আছে পেশাদার ক্যামেরাসহ আনুষঙ্গিক যন্ত্রপাতি। প্রধান পাঠাগারসহ আরও ৫টি সেমিনার লাইব্রেরি মিলিয়ে ৫০ হাজারের বেশি বই ও ৪ হাজার জার্নাল রয়েছে। ‘মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধু’ কর্নার এই লাইব্রেরিকে দিয়েছে একটি অনন্য আঙ্গিক।
স্টামফোর্ডে ছয়টি সেন্টার আছে। জাপান ল্যাঙ্গুয়েজ সেন্টারে জাপানে পড়তে আগ্রহী শিক্ষার্থীরা জাপানি ভাষা শিখতে পারেন। পেশাসংক্রান্ত পরামর্শ ও অন্যান্য সহায়তা দেয় প্লেসমেন্ট সেন্টার। এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ে স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটি রিসার্চ সেন্টার, ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড রিসার্চ, সেন্টার ফর সাউথ এশিয়া পলিসি রিসার্চ এবং সেন্টার ফর কন্টিনিউয়িং এডুকেশন, কনসাল্টিং অ্যান্ড রিসার্চ রয়েছে। পড়ালেখা ও গবেষণার পাশাপাশি খেলাধুলা ও অন্যান্য সহশিক্ষা কার্যক্রমে শিক্ষার্থীদের উৎসাহ দেওয়া হয়। যার ফলে ২০১৮ ও ২০২০ সালে বঙ্গবন্ধু ইউল্যাব ফেয়ার প্লে কাপ আন্তবিশ্ববিদ্যালয় ক্রিকেট প্রতিযোগিতার শিরোপা জিতেছে স্টামফোর্ড।
প্রাক্তন ও বর্তমান শিক্ষার্থীদের কথা
মৃত্যুঞ্জয় আচার্য্য
পিএইচডি রিসার্চ ফেলো, মলিক্যুলার অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টাল বায়োলজি ডিপার্টমেন্ট, সিজুওকা ইউনিভার্সিটি, জাপান
অণুজীববিজ্ঞানের প্রতি ভালোবাসা থেকেই এই বিশ্ববিদ্যালয়ে আমার পথচলা শুরু ২০০৬ সালে। পড়াশোনা শেষ করে একই বিভাগে শিক্ষক হিসেবে শুরু করেছিলাম কর্মজীবন। বর্তমানে আমি জাপানে পিএইচডি করছি। আমার মতো অনেক ছাত্রকে তৈরি করেছে স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ।
বেনজির আবরার
ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার, সেলস মার্কেটিং, জিফোরএস বাংলাদেশ
আমি স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটির বিবিএ ৫৪তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ছিলাম। আমি আমার বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে গর্ব করি। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার মান যেমন দেশের উচ্চশিক্ষায় ভূমিকা রাখছে, ঠিক একইভাবে দেশের একটা বড় অংশকে মানবসম্পদে রূপান্তর করছে। স্টামফোর্ডের সবচেয়ে সুন্দর বিষয় আমাদের সিদ্ধেশ্বরী ক্যাম্পাস, ঢাকা শহরে এত সুন্দর প্রাকৃতিক পরিবেশে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আর নেই।
তানিন তানহা
শিক্ষার্থী, ফিল্ম অ্যান্ড মিডিয়া
করোনায় আমরা অনেক খারাপ সময় পার করেছিলাম। আমি তো ভেবেছিলাম আর কোনো দিন হয়তো কারও সঙ্গে দেখা হবে না। এই কঠিন সময়ের মধ্যেও আমার বিশ্ববিদ্যালয় আমাকে অনলাইনে ক্লাস করতে সুযোগ করে দিয়েছে এবং এই সময়টাতে মনোযোগ দিয়ে ক্লাসগুলোতে অংশগ্রহণ করতে পেরেছি। তাই আমি আমার শিক্ষক এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে কৃতজ্ঞ।