স্কুলে ভর্তির লটারি: নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের ভর্তি ৩ ধাপে, যেভাবে হবে

নতুন বছরে নতুন স্কুলে শিক্ষার্থীপ্রথম আলো ফাইল ছবি

সরকারি ও বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ২০২৬ শিক্ষাবর্ষে ডিজিটাল লটারির মাধ্যমে নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের ভর্তিপ্রক্রিয়া শুরু হবে ১৭ ডিসেম্বর। নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের ভর্তিপ্রক্রিয়া চলবে ২১ ডিসেম্বর পর্যন্ত। এ ভর্তিপ্রক্রিয়া চলবে ৩ ধাপে। ভর্তির সব কার্যক্রম ৩০ ডিসেম্বরের মধ্যে সম্পন্ন করতে হবে। বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর ২০২৫) মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর এক চিঠিতে এ তথ্য জানিয়েছে।

ফাইল ছবি

কেন্দ্রীয় ডিজিটাল লটারির অন্তর্ভুক্ত সরকারি-বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ ও প্রধান শিক্ষককে পাঠানো চিঠিতে জানানো হয়েছে, ২০২৬ শিক্ষাবর্ষে দেশের সব সরকারি ও বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে এন্ট্রি বা প্রথম থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত শূন্য আসনের বিপরীতে ডিজিটাল লটারির মাধ্যমে শিক্ষার্থী নির্বাচনপ্রক্রিয়া ১১ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হয়েছে। ডিজিটাল লটারি অনুষ্ঠান–পরবর্তী শিক্ষার্থীদের নির্বাচিত তালিকা এবং প্রথম অপেক্ষমাণ ও দ্বিতীয় অপেক্ষমাণ তালিকা ইতিমধ্যে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানে পাঠানো হয়েছে। ফলাফল শিটে নির্বাচিতদের তালিকা অনুযায়ী ১৭ থেকে ২১ ডিসেম্বরের মধ্যে ভর্তি কার্যক্রম সম্পন্ন করতে হবে। নির্বাচিত তালিকা থেকে ভর্তি কার্যক্রম শেষ করার পর আসন শূন্য থাকা সাপেক্ষে প্রথম অপেক্ষমাণ তালিকা থেকে ক্রমানুসারে ২২ থেকে ২৪ ডিসেম্বরের মধ্যে ভর্তি কার্যক্রম সম্পন্ন করতে হবে। প্রথম অপেক্ষমাণ তালিকা থেকে ভর্তি কার্যক্রম শেষ করার পর আসন শূন্য থাকা সাপেক্ষে দ্বিতীয় অপেক্ষমাণ তালিকা থেকে ক্রমানুসারে ২৭ থেকে ৩০ ডিসেম্বরের মধ্যে শিক্ষার্থী ভর্তি কার্যক্রম সম্পন্ন করতে হবে। তবে আবশ্যিকভাবে ভর্তির সব কার্যক্রম ৩০ ডিসেম্বরের মধ্যে সম্পন্ন করতে হবে।

ডিজিটাল লটারির মাধ্যমে নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের ভর্তি নেওয়ার সময় কয়েকটি বিষয় অনুসরণ করতে হবে। এগুলো হলো—

১. ২০২৬ শিক্ষাবর্ষে কেন্দ্রীয় ডিজিটাল লটারির আওতাভুক্ত সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধানেরা https://gsa.teletalk.com.bd লিংকে প্রবেশ করে প্রতিষ্ঠানের User ID ও Password দিয়ে Login করে ডাউনলোড অপশনটি Click করার পর তাঁর প্রতিষ্ঠানে আবেদনকারীদের তালিকা পেয়ে যাবেন। ডিজিটাল লটারিতে তাঁর প্রতিষ্ঠানের জন্য নির্বাচিত, প্রথম অপেক্ষমাণ ও দ্বিতীয় অপেক্ষমাণ তালিকার শিক্ষার্থীদের আবেদন–সংক্রান্ত তথ্য এই লিংক থেকে যাচাই করতে পারবেন। লিংকে তথ্যাদি টাইপ করে Submit করলে আবেদনকারী কতবার আবেদন করেছে, তা জানা যাবে। এ ক্ষেত্রে কোনো আবেদনকারী তথ্য পরিবর্তন করে একাধিকবার আবেদন করে থাকলে ডিজিটাল লটারিতে তার ভর্তির নির্বাচন বাতিল বলে গণ্য হবে। সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান তাদের ওয়েবসাইট ও নোটিশ বোর্ডে শিক্ষার্থীদের নির্বাচিত তালিকা এবং প্রথম ও দ্বিতীয় অপেক্ষমাণ তালিকা প্রদর্শন করবে।

২. ভর্তিকালীন নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের কাগজপত্র পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে যাচাই করতে হবে।

আরও পড়ুন

৩. নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের কাগজপত্র যাচাইকালীন শিক্ষার্থীর জন্মসনদের মূল কপি, জন্মসনদের অনলাইন কপি (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে অনলাইনে যাচাই করতে হবে), পিতা-মাতার জাতীয় পরিচয়পত্রের মূল কপি ভালো করে দেখতে হবে।

৪. মিথ্যা তথ্য প্রদানের মাধ্যমে কোনো শিক্ষার্থী নির্বাচিত হয়ে থাকলে (যাচাই সাপেক্ষে) তাকে ভর্তি করা যাবে না।

৫. শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে সর্বশেষ জারি করা ভর্তি নীতিমালায় যেসব কোটা সংরক্ষণের নির্দেশনা রয়েছে, ভর্তির সময় এ কোটাগুলো নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের কোটাসংশ্লিষ্ট কাগজপত্র যথাযথভাবে যাচাই করতে হবে। নির্বাচিত তালিকার মধ্য থেকে কোটার শূন্য আসন পূরণ না হলে পর্যায়ক্রমে প্রথম ও দ্বিতীয় অপেক্ষমাণ তালিকা থেকে ক্রমানুসারে কোটার শূন্য আসন পূরণ করতে হবে। এরপরও যদি কোটার শূন্য আসন পূরণ না হয়, সে ক্ষেত্রে সাধারণ নির্বাচিতদের মধ্য থেকে তালিকার ক্রমানুসারে এ শূন্য আসন পূরণ করতে হবে। কোনোভাবেই আসন শূন্য রাখা যাবে না।

৬. শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে সর্বশেষ জারি করা ভর্তি নীতিমালা অনুযায়ী ভর্তি কার্যক্রম সম্পন্ন করতে হবে।

৭. এসব নির্দেশনা অনুসরণ না করে বিধিবহির্ভূতভাবে কোনো শিক্ষার্থী ভর্তি করা হলে এবং পরবর্তীকালে তা প্রমাণিত হলে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানপ্রধান দায়ী থাকবেন।

আরও পড়ুন
আরও পড়ুন