ষষ্ঠ শ্রেণির রেজিস্ট্রেশন চলছে, যেভাবে করতে হবে

ছবি: সংগৃহীত

ষষ্ঠ শ্রেণিতে রেজিস্ট্রেশন পদ্ধতি চালু হয়েছে। অষ্টম ও নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি প্রথমবারের মতো ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশন করতে হচ্ছে। প্রাথমিক থেকে মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়াসহ সার্বিক তথ্য জানতে এ উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। ১ নভেম্বর শুরু হওয়া এ রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রম চলবে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত। প্রত্যেক শিক্ষার্থীর জন্য ফি নির্ধারণ করা হয়েছে ৫৮ টাকা।

নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে ষষ্ঠ শ্রেণিতে রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া চলছে। এর মাধ্যমে মাধ্যমিকের এন্ট্রি শ্রেণির শিক্ষার্থীদের তথ্য শিক্ষা বোর্ডগুলোর কাছে থাকবে। অষ্টম ও নবমে রেজিস্ট্রেশনের সময় এ তথ্য ব্যবহার করা হতে পারে।

আরও পড়ুন

যেভাবে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে

ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের রেজিস্ট্রেশন–সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের ষষ্ঠ শ্রেণির রেজিস্ট্রেশন ফি ৫৮ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। ঢাকা বোর্ডের ওয়েবসাইটে প্রতিষ্ঠানের ইআইআইএন ও পাসওয়ার্ড দিয়ে লগইন করে রেজিস্ট্রেশনের ফরম পূরণ করা যাবে। সোনালী সেবার মাধ্যমে রেজিস্ট্রেশন ফি পরিশোধ করতে হবে। শিক্ষানীতি অনুযায়ী ৯ বছর পূর্ণ না হলে বা ১৫ বছরের বেশি বয়সের কেউ ষষ্ঠ শ্রেণিতে রেজিস্ট্রেশন করতে পারবে না। রেজিস্ট্রেশনে শিক্ষার্থীদের জন্মনিবন্ধন সনদ থাকতে হবে। পাঠদানের অনুমতিবিহীন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো নিজ স্কুলের মাধ্যমে রেজিস্ট্রেশনের সুযোগ পাবে না।

শিক্ষা বোর্ড জানিয়েছে, শিক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশনের তথ্য আপলোড করার জন্য নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের সমন্বয়ে তিন সদস্যবিশিষ্ট কমিটি গঠন করতে হবে।

আরও পড়ুন

এরপর চূড়ান্ত তালিকা ফাইনাল সাবমিটের আগে কমিটির সদস্যরা ভর্তি ফরম ও সনদের সঙ্গে মিলিয়ে তথ্য নিশ্চিত করবেন। পরবর্তী সময়ে ফাইনাল সাবমিট দিতে হবে। চূড়ান্ত তালিকা প্রিন্ট করে প্রতিষ্ঠানে সংরক্ষণ করতে হবে। শিক্ষার্থীর তথ্যে ভুল হলে প্রতিষ্ঠানের প্রধানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ১ থেকে ১০ নভেম্বর পর্যন্ত অনলাইনে রেজিস্ট্রেশনের ফরম পূরণ করতে পারবে প্রতিষ্ঠানগুলো।

আরও পড়ুন

শিক্ষা বোর্ড জানিয়েছে, ব্যাংকে টাকা জমা দেওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ইএসআইএফ পূরণ করতে হবে।

নির্ধারিত তারিখের মধ্যে শিক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশন করতে ব্যর্থ হলে বা এ কারণে শিক্ষার্থীর কোনো সমস্যা হলে এর দায়দায়িত্ব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধানকে বহন করতে হবে।