এমবিবিএস-বিডিএসের ফল পুনর্নিরীক্ষণ শুরু, আবেদন যেভাবে

২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের এমবিবিএস-বিডিএস ভর্তি পরীক্ষার ফল পুনর্নিরীক্ষণ শুরু হয়েছে আজ সোমবার (১৫ ডিসেম্বর ২০২৫) থেকে। গতকাল রোববার (১৪ ডিসেম্বর ২০২৫) স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আজ থেকে এসএমএসের মাধ্যমে ১ হাজার টাকা ফি দিয়ে এ আবেদন করা যাবে। চলবে ২০ ডিসেম্বর পর্যন্ত। টেলিটক সিমের মাধ্যমে ফি জমা দিয়ে পরীক্ষার ফল পুনর্নিরীক্ষার জন্য আবেদন করা যাবে। পুনর্নিরীক্ষার ফল আবেদনকারীকে টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেড থেকে এসএমএসের মাধ্যমে যথাসময়ে জানানো হবে। এ ব্যাপারে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর কর্তৃক গঠিত কমিটির সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত বলে বিবেচিত হবে।

আরও পড়ুন

ভর্তি পরীক্ষার ফল পুনর্নিরীক্ষণ পদ্ধতি যেভাবে

টেলিটকের যেকোনো প্রিপেইড মোবাইল থেকে এসএমএস করতে হবে। প্রথম SMS: DGME<Space>RSC<Space>Roll No. লিখে পাঠিয়ে দিতে হবে 16222 নম্বরে। (যেমন DGME <Space>RSC Space>1116000) ফিরতি মেসেজে একটি PIN নম্বর আসবে।

দ্বিতীয় SMS: ফি প্রদানের জন্য প্রাপ্ত PIN নম্বর দিয়ে SMS করতে হবে DGME< Space >RSC<Space>YES<Space>PIN এবং পাঠিয়ে দিতে হবে 16222 নম্বরে ‘(যেমন: DGME<Space>RSC<Space>YES<Space>12345678)’ ফিরতি SMS-এ ফি জমা বাবদ একটি প্রাপ্তি স্বীকার SMS পাওয়া যাবে।

আরও পড়ুন
আরও পড়ুন

মেডিকেল ও ডেন্টালে পাসের হার ৬৬.৫৭%

এদিকে এ বছর মেডিকেল ও ডেন্টালে ভর্তি পরীক্ষায় ৮১ হাজার ৬৪২ জন পাস করেছেন। পাসের হার ৬৬ দশমিক ৫৭। ফলাফলে দেখা যাচ্ছে ছাত্রদের চেয়ে ছাত্রীরা বেশি পাস করেছেন।

এ বছর ভর্তি পরীক্ষায় সবচেয়ে বেশি নম্বর পেয়েছেন জাহাঙ্গীর আলম (শান্ত)। তিনি ১০০ নম্বরের মধ্যে পেয়েছেন ৯১ দশমিক ২৫ নম্বর। তাঁর রোল নম্বর ২৪১৩৬৭১। তিনি রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ কেন্দ্রে ভর্তি পরীক্ষা দিয়েছিলেন।গত ১২ ডিসেম্বর ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।

২০২৫–২৬ শিক্ষাবর্ষে সরকারি মেডিকেলে আসনসংখ্যা ৫ হাজার ১০০ ও সরকারি ডেন্টালে আসনসংখ্যা ৫৪৫। অন্যদিকে বেসরকারি মেডিকেলে আসনসংখ্যা ৬ হাজার ১ ও বেসরকারি ডেন্টালে আসনসংখ্যা ১ হাজার ৩৬০।

সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেল ও ডেন্টালে আসন মোট ১৩ হাজার ৬টি। ভর্তির জন্য আবেদন করেছিলেন ১ লাখ ২২ হাজার ৬৩২ জন। ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিলেন ১ লাখ ২০ হাজার ৪৪০ জন। ২ জন পরীক্ষাকেন্দ্র থেকে বহিষ্কৃত হয়েছিলেন। ১০০ নম্বরের পরীক্ষায় পাস নম্বর ছিল ৪০। পাস করেছেন ৮১ হাজার ৬৪২ জন, শতকরায় যা ৬৬ দশমিক ৫৭ শতাংশ। উত্তীর্ণদের মধ্যে ছাত্রী  ৫০ হাজার ৫১৪ জন। ছাত্র ৩১ হাজার ১২৮ জন।

বিএমডিসি জানিয়েছে, ভর্তি পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বর এবং এসএসসি/সমমান ও এইচএসসি/ সমমান পরীক্ষায় প্রাপ্ত জিপিএ থেকে প্রাপ্ত নম্বর যোগ করে অর্জিত স্কোরের ভিত্তিতে মেধার পছন্দক্রম অনুযায়ী ৫ হাজার ৬৪৫ প্রার্থীকে প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত করা হয়েছে। তাঁরা সরকারি মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজে ভর্তি হতে পারবেন।