আমাদের রঙিন দিনগুলো

ক্যাম্পাস–জীবনের মতো রঙিন আর অসাধারণ মুহূর্ত নাকি একজন শিক্ষার্থীর জীবনে খুব একটা আসে না। বিশ্ববিদ্যালয়ে যখন পা দিই, তখন সবকিছুই ছিল অপরিচিত। মাথার ভেতর নানা চিন্তা নিয়ে এই ক্যাম্পাসে পা রাখা। আহ্‌ছানউল্লা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যায়ের জায়গাটা খুব বড় নয়, আবার খুব ছোটও নয়। ক্যাম্পাসের আনাচকানাচ তো বটেই, মুখগুলোও আমাদের চেনা।

প্রথম যেদিন ক্লাস করতে যাই, মূল ফটকের কাছেই শুনতে পেলাম ‘মামা, আইডি কার্ড গলায় ঝুলান।’ না ঝোলানো পর্যন্ত ভেতরে ঢুকতে দেবে না। তড়িৎ প্রকৌশল ক্লাসে ঢুকে চিরাচরিত ছবির সঙ্গে খুব একটা মিল পাইনি। যাদের সঙ্গে পরিচয় হলো, তখনো বুঝিনি, অল্প পরিচয়েই বন্ধুত্ব গড়ে উঠবে।

বন্ধুত্বের সঙ্গে গড়ে ওঠে একেকটা জায়গার নাম। রেডেক্স, জুড়ি রুম কিংবা হাওয়া ভবনে চলে আড্ডা। শত ল্যাব, কুইজ ও অ্যাসাইনমেন্টের ভিড়েও ক্যাম্পাসটা কখনো অপ্রিয় হয়ে যায়নি। এখন জন্মদিন হলে সবাই মিলে বাদামতলায় কেক কাটি, আর যার জন্মদিন, তার মাথায় ডিম ভাঙি! পরীক্ষার সময়গুলোতে রনি মামার দোকানে ভিড় তো লেগেই থাকে। ক্যানটিনের চা, শিঙাড়া, টিটি গ্রাউন্ডে ক্যারম খেলা, কখনো ক্লাসে পেছনের দরজা দিয়ে বেরিয়ে যাওয়া—সবই দৈনন্দিন জীবনের অংশ হয়ে গেছে।

পড়াশোনার একঘেয়েমি দূর করতে প্রতিটি সেমিস্টারের শেষে উৎসব হয়। যেখানে গান, নাচ, সবই চলে। পড়াশোনার মধ্যে খেলাধুলাও হয় চোখে পড়ার মতো। ছেলেদের ফুটবল কিংবা ক্রিকেটের পাশাপাশি মেয়েদের ইনডোর গেমস আছে। তা ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাবগুলো আয়োজন করে বিভিন্ন প্রতিযোগিতা। আছে বিতর্ক বা ছবি তোলার সংগঠন। অনেক আবেগ, অনুভূতি আন্তরিকতা, আর ভালোবাসা মিশে আছে এই আহ্‌ছানউল্লা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের দেয়ালে দেয়ালে। প্রতিবছর মেধাবী ছাত্রছাত্রীরা এই ক্যাম্পাস থেকে বেরিয়ে দেশে-বিদেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য সুনাম নিয়ে আসছে। নতুনেরা তাই একবার ঘুরে যেতে পারো আমাদের ক্যাম্পাস।

তৃতীয় বর্ষ, তড়িৎ ও ইলেক্ট্রনিকস প্রকৌশল বিভাগ, আহ্‌ছানউল্লা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়