ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটির সমাবর্তন অনুষ্ঠিত

ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটির সমাবর্তনে সনদ হাতে স্বর্ণপদকজয়ীরা। গতকাল সাভারের আশুলিয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব ক্যাম্পাসে।  ছবি: বিজ্ঞপ্তি
ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটির সমাবর্তনে সনদ হাতে স্বর্ণপদকজয়ীরা। গতকাল সাভারের আশুলিয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব ক্যাম্পাসে। ছবি: বিজ্ঞপ্তি

ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটির ষষ্ঠ সমাবর্তন অনুষ্ঠানে ১ হাজার ৮০০ শিক্ষার্থী সনদ গ্রহণ করেছেন। গতকাল শনিবার সাভারের আশুলিয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব ক্যাম্পাসে এই সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি ও চ্যান্সেলরের প্রতিনিধি হিসেবে সভাপতিত্ব করেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী। অনুষ্ঠানে ইউনিভার্সিটির চারটি অনুষদ থেকে সর্বোচ্চ সিজিপিএপ্রাপ্ত মোট নয়জন শিক্ষার্থীকে স্বর্ণপদক দেওয়া হয়।

এ বছর সমাবর্তন বক্তা ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের বাংলাদেশ দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স জোয়ান ওয়াগনার। তিনি সব শিক্ষার্থীকে বৈশ্বিক নাগরিক হয়ে ওঠার আহ্বান জানান।

বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান কাজী শহীদুল্লাহ। অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটির বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান লিয়াকত হোসেন মোগল। স্বাগত বক্তব্য দেন ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটির উপাচার্য সহিদ আকতার হুসাইন। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটির কলা অনুষদের ডিন তাহমিনা আহমেদ।

২০১৬ সালের ফল সেমিস্টার থেকে শুরু করে এ বছরের সামার সেমিস্টার পর্যন্ত মোট ২ হাজার ৯৭২ জন শিক্ষার্থী গ্র্যাজুয়েশন সম্পন্ন করেছেন ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটি থেকে। এখন বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রায় সাড়ে তিন হাজার শিক্ষার্থী অধ্যয়ন করছেন।

এ বছর চ্যান্সেলর গোল্ড মেডেল পান ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের শিক্ষার্থী নওশীন রহমান ও শ্রাবণী সরকার। চার অনুষদ থেকে¯স্নাতক ডিগ্রিপ্রাপ্ত চারজন পান ভাইস চ্যান্সেলর গোল্ড মেডেল। তাঁরা হলেন ইংরেজি বিভাগের দেবিকা সিনহা গার্গি, ব্যবসায় প্রশাসনের মো. নাজমুল ইসলাম, প্রকৌশল ও কারিগরি বিভাগের মো. তারেক ও আইন বিভাগের মাসুমা দিল আফরোজ। স্নাতকোত্তর ডিগ্রিপ্রাপ্ত তিনজনকে দেওয়া হয় চেয়ারম্যানস গোল্ড মেডেল। তাঁরা হলেন ইংরেজি বিভাগের সাদিয়া আফরিন, ব্যবসায় প্রশাসনের অনন্যা ইসলাম এবং আইন বিভাগের নুশেরা তাজরিন।