পেনশন প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন জাককানইবি শিক্ষক সমিতি

ছবি: বিজ্ঞপ্তি

গত ১৩ মার্চ অর্থ মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপনে সব স্বশাসিত, স্বায়ত্তশাসিত, রাষ্ট্রায়ত্ত, সংবিধিবদ্ধ বা সমজাতীয় সংস্থা এবং তার অধীন অঙ্গপ্রতিষ্ঠানসমূহে আগামী ১ জুলাই, ২০২৪ সাল ও তৎপরবর্তী সময়ে নতুন যোগদানকৃত সব চাকরিজীবীকে সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থাপনার আওতাভুক্ত করা হয়েছে। এ প্রজ্ঞাপন জারির ফলে সারা দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মধ্যে তীব্র অসন্তোষ সৃষ্টি হয়েছে। এর প্রতিবাদে আজ রোববার (২৬ মে) জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভার আয়োজন করেছে।

আরও পড়ুন
আরও পড়ুন

সারা দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির বিভিন্ন প্রতিবাদ কর্মসূচির অংশ হিসেবে এ মানববন্ধনে অংশ নেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বস্তরের শিক্ষকেরা। এ পেনশন ব্যবস্থাপনার আওতায় পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের চরম বৈষম্যের শিকার হবেন বলে মত প্রকাশ করেন শিক্ষকেরা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বায়ত্তশাসনের ক্ষেত্রে এ ধরনের প্রজ্ঞাপন কাম্য নয় জানিয়ে প্রতিবাদ সভায় বক্তারা বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়ে স্বায়ত্তশাসন প্রদান করে যে শিক্ষা ও গবেষণার গুরুত্বকে প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন, এ প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ে সেই স্বপ্ন বাস্তবায়ন চরমভাবে বাধাগ্রস্ত হবে; কারণ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের অর্থনৈতিক বৈষম্য কোনোভাবেই শিক্ষা ও গবেষণা সহায়ক হতে পারে না। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের শিক্ষা ও গবেষণায় একনিষ্ঠভাবে মনোনিবেশ করতে না পারলে উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশ গঠনের স্বপ্ন অধরা থেকে যাবে। এই বৈষম্যমূলক প্রজ্ঞাপনের ফলে মেধাবীরা শিক্ষকতায় নিরুৎসাহিত হবেন বলে মনে করেন শিক্ষকেরা।

আরও পড়ুন

প্রতিবাদ সভায় বক্তারা বৈষম্যমূলক প্রজ্ঞাপন অবিলম্বে প্রত্যাহার করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মাঝে সৃষ্ট ক্ষোভ ও অসন্তোষ নিরসনের দাবি জানান। এ ছাড়া পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের জন্য স্বতন্ত্র বেতন কাঠামোর দীর্ঘদিনের দাবির প্রতি সমর্থন জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মর্যাদাকে সমুন্নত করার জোর দাবি জানান তাঁরা। বৈষম্যমূলক পেনশনসংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন দেশের টেকসই উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে বলে মনে করেন কবি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি।

মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক তুষার কান্তি সাহা, সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলামসহ বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকেরা বক্তব্য দেন এবং অবিলম্বে এই পেনশন প্রজ্ঞাপন বাতিল করার জোর দাবি জানান। বিজ্ঞপ্তি

আরও পড়ুন