ব্রিটিশ কাউন্সিলের উদ্যোগে টেকসই স্থাপত্য নিয়ে গবেষণা, পরিচালনায় বেঙ্গল ইনস্টিটিউট ফর আর্কিটেকচার, ল্যান্ডস্কেপস অ্যান্ড সেটেলমেন্টস

বেঙ্গল ইনস্টিটিউটের গবেষণা দলের আমন্ত্রণে বেঙ্গল ইনস্টিটিউটে গিয়েছিলেন ব্রিটিশ কাউন্সিল বাংলাদেশের ডিরেক্টর প্রোগ্রামস ডেভিড নক্স এবং ব্রিটিশ কাউন্সিল বাংলাদেশে কর্মরত আর্টস দলছবি: ব্রিটিশ কাউন্সিল/বেঙ্গল ইনস্টিটিউটের সৌজন্য

বাংলাদেশের টেকসই স্থাপত্য (Sustainable architecture) নিয়ে একটি গবেষণাধর্মী উদ্যোগ নিয়েছে ব্রিটিশ কাউন্সিল। ব্রিটিশ কাউন্সিলের অর্থায়নে পরিচালিত গবেষণাটি পরিচালনার জন্য এ বছরের মার্চ মাসে বেঙ্গল ইনস্টিটিউট ফর আর্কিটেকচার একটি প্রতিযোগিতামূলক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে নির্বাচিত হয়।

গবেষণায় নিযুক্ত দলটি এখন মাঠপর্যায়ে দেশজুড়ে বিদ্যমান টেকসই ও জলবায়ুসহনশীল স্থাপত্যচর্চা এবং এ–সংক্রান্ত পদ্ধতিগুলোর নথিভুক্তকরণ ও সংক্ষিপ্ত বিবরণ প্রস্তুত করার লক্ষ্যে কাজ করছে। এই উদ্দেশ্যে এসব প্রকল্পের স্থপতি, স্থাপত্য তত্ত্বাবধায়ক ও ব্যবহারকারীদের সাক্ষাৎকারভিত্তিক তথ্য বিশ্লেষণ করে, স্থাপত্যচর্চার অন্তর্নিহিত বৃহত্তর প্রেক্ষাপট তুলে ধরার মাধ্যমে চর্চাগুলোর প্রায়োগিক ব্যবহারবিধি উপস্থাপন করা হবে।

বাংলাদেশে টেকসই স্থাপত্যবিষয়ক গবেষণার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়ে ব্রিটিশ কাউন্সিল বাংলাদেশের ডিরেক্টর প্রোগ্রামস ডেভিড নক্স বলেছেন, পরিবেশ ও অর্থনীতির জন্য টেকসই স্থাপত্য বর্তমানে আরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে। কারণ, এটি সৃজনশীলতা, উদ্ভাবন ও ব্যবহারিক রূপরেখার এক অসাধারণ সমন্বয়। এটি জলবায়ুসহনশীলতাকে সমর্থন করতে পারে, সেই সঙ্গে ব্যবসা ও কর্মসংস্থানের জন্য নতুন অর্থনৈতিক সুযোগ তৈরি করতে পারে।

আরও পড়ুন

বেঙ্গল ইনস্টিটিউট ফর আর্কিটেকচার, ল্যান্ডস্কেপস অ্যান্ড সেটেলমেন্টসের মহাপরিচালক অধ্যাপক কাজী খালিদ আশরাফ বলেন, ‘বাংলাদেশে টেকসই স্থাপত্যচর্চা একসময় আমাদের দৈনন্দিন জীবনের অংশ ছিল। কিন্তু সময়ের পরিবর্তন আর পরিবেশগত চ্যালেঞ্জের কারণে সেসব চর্চাকে আবার নতুন করে ভাবা ও পুনরুজ্জীবিত করা জরুরি হয়ে পড়েছে। পাশাপাশি কমিউনিটিভিত্তিক উদ্যোগ আর পেশাদার পর্যায়ে যে সব নতুন উদ্ভাবন হচ্ছে, সেগুলো চিহ্নিতকরণও সমান গুরুত্বপূর্ণ।’

আরও পড়ুন

অধ্যাপক কাজী খালিদ আশরাফের নেতৃত্বে এ উদ্যোগের নকশা ও নির্দেশনা প্রদানকারী গবেষণা দলে রয়েছেন বেঙ্গল ইনস্টিটিউট ফর আর্কিটেকচার, ল্যান্ডস্কেপস অ্যান্ড সেটেলমেন্টসের পরিচালক স্থপতি নুসরাত সুমাইয়া; যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অব ওয়েস্টমিনস্টারের সিনিয়র রিসার্চ ফেলো অধ্যাপক রিপিন কালরা; ঢাকার সেন্টার ফর অ্যাডভান্সড স্টাডিজের নির্বাহী পরিচালক ড. আতিকুর রহমান এবং ঝিনাইদহ ও ঢাকার স্থপতি ও ল্যান্ডস্কেপ–বিষয়ক স্থপতি খোন্দকার হাসিবুল কবির।

বিজ্ঞপ্তি

আরও পড়ুন