ষষ্ঠ-নবমের দশম সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট প্রকাশ, যা যা করতে হবে

অভিভাবকদের সঙ্গে নিয়ে অ্যাসাইনমেন্ট জমা দিতে স্কুলে এসেছে শিক্ষার্থীরা
প্রথম আলো ফাইল ছবি

মাধ্যমিকের (ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণি) দশম সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট প্রকাশ করেছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)। গতকাল রোববার মাউশির এক আদেশে অ্যাসাইনমেন্ট প্রকাশ করা হয়েছে।

মাউশি বলেছে, শিক্ষার্থীকে শিক্ষা বস্থার সঙ্গে সম্পৃক্ত রাখতে ২০২০ শিক্ষাবর্ষের মতো ২০২১ শিক্ষাবর্ষের অ্যাসাইনমেন্ট বা নির্ধারিত কাজ নির্ধারণ করা হয়েছে। মাধ্যমিক পর্যায়ের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের জন্য নির্ধারণ করা দশম সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট বা নির্ধারিত কাজ প্রেরণ করা হলো। এ অবস্থায় ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণির দশম সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট বা নির্ধারিত কাজ সব শিক্ষার্থীদের প্রদান ও গ্রহণের ক্ষেত্রে সরকার কর্তৃক ঘোষিত স্বাস্থ্যবিধি–সংক্রান্ত বিধিনিষেধ যথাযথভাবে অনুসরণপূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।

গরমে স্কুলে অ্যাসাইনমেন্ট জমা দিয়ে হাতপাখা দিয়ে বাতাস করতে করতে বাড়ি ফিরছে শিক্ষার্থীরা। কাঁচারিবাজার, রংপুর, ৩ জুন
ছবি: মঈনুল ইসলাম

সরকারের কঠোর বিধিনিষেধে শিক্ষার্থীদের সুবিধাজনক সময়ে অ্যাসাইনমেন্ট গ্রহণ ও জমা দেওয়ার সুযোগ দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর।

শিক্ষা অধিদপ্তর বলছে, করোনা অতিমারির কারণে যেসব কোনো এলাকায় বিধিনিষেধ বা লকডাউন চললে ওই সব এলাকার আঞ্চলিক পরিচালক, উপপরিচালক, জেলা-উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা, স্থানীয় প্রশাসন ও প্রতিষ্ঠান প্রধানদের সঙ্গে আলোচনা করে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ক্ষেত্রবিশেষে বিতরণ করা অ্যাসাইনমেন্ট জমার তারিখ পুনর্নির্ধারণ করতে পারবেন। যেসব শিক্ষার্থী যথাসময়ে অ্যাসাইনমেন্ট গ্রহণ করতে পারবে না, তাদের পরে সুবিধাজনক সময়ে প্রতিষ্ঠানপ্রধানেরা অ্যাসাইনমেন্ট গ্রহণ ও জমার সুযোগ দেবেন। স্বাস্থ্যবিধি কোনোভাবেই উপেক্ষা করা যাবে না। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তা ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে বলেছে শিক্ষা অধিদপ্তর।

মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা (মাউশি)
ছবি: সংগৃহীত

অ্যাসাইনমেন্ট মূল্যায়ন নির্দেশনায় শিক্ষা অধিদপ্তর বলছে, করোনার কারণে ২০২০ সালের ১৮ মার্চ থেকে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে স্বাভাবিক শ্রেণি কার্যক্রম বন্ধ থাকায় ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীরা নির্ধারিত পাঠ্যসূচি অনুযায়ী শিক্ষা কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করতে পারেনি এবং তাদের মূল্যায়ন করা যায়নি। শিক্ষা মন্ত্রণালয় এর বিকল্প হিসেবে বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণ করেছে।