সাফল্যের ধারাবাহিকতায় নরসিংদীর আবদুল কাদির মোল্লা সিটি কলেজ, পাসের হার ৯৯.৭০ শতাংশ

নরসিংদীর আবদুল কাদির মোল্লা সিটি কলেজে শতকরা পাসের হার ৯৯.৭০ শতাংশছবি: কলেজের সৌজন্যে

সাফল্যের ধারাবাহিকতা ধরে রেখেছে নরসিংদীর আবদুল কাদির মোল্লা সিটি কলেজ। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় প্রকাশিত ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার ফলাফলে প্রতিষ্ঠানটি থেকে অংশ নেওয়া ১ হাজার ৬৬৩ পরীক্ষার্থীর মধ্যে কৃতকার্য হয়েছেন ১ হাজার ৬৫৮ জন। তাঁদের মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৬৯৬ জন। শতকরা পাসের হার ৯৯ দশমিক ৭০।

কলেজের প্রশাসনিক বিভাগ সূত্রে জানা যায়, আবদুল কাদির মোল্লা সিটি কলেজ ২০১২ সাল থেকে টানা তিন বছর ঢাকা বোর্ডে দ্বিতীয় স্থান অর্জন করে। ২০১৫ সাল থেকে বোর্ড কর্তৃক সেরাদের তালিকায় না হলেও নিজেদের ধারাবাহিকতা অক্ষুণ্ন রেখেছে। এ বছর উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় মোট ১ হাজার ৬৬৩ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে ৫ জন অকৃতকার্য হয়েছেন। জিপিএ–৫ পেয়েছেন ৬৯৬ জন। এর মধ্যে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে ১ হাজার ১৪১ জন অংশ নিয়ে জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৪৮০ জন। অকৃতকার্য হয়েছেন ৩ জন। ব্যবসায় শিক্ষা শাখা থেকে ১৮৩ জন অংশ নিয়ে জিপিএ–৫ পেয়েছেন ৪৩ জন, অকৃতকার্য হয়েছেন ২ জন। মানবিক শাখা থেকে ৩৩৪ জন অংশ নিয়ে শতভাগ পাসসহ জিপিএ-৫ পেয়েছেন ১৭৩ জন।

কলেজের মোট পরীক্ষার্থী ১ হাজার ৬৬৩ জন, অকৃতকার্য ৫ জন, জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৬৯৬ জন শিক্ষার্থী
ছবি: কলেজের সৌজন্যে

বিজ্ঞান বিভাগ থেকে জিপিএ-৫ পাওয়া মোস্তাক হোসেন অনিক বলেন, ‘আমাদের শিক্ষক, অভিভাবকেরা যে পরিমাণ অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন, তার তুলনায় আমরা ভালো করতে পারিনি। তবে দেশের সামগ্রিক ফলাফলের তুলনায় আমরা মোটামুটি ভালো করেছি।’

কলেজের অধ্যক্ষ হেরেম উল্লাহ আহসান বলেন, ‘আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করেছি। আমাদের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান আবদুল কাদির মোল্লার সরাসরি নির্দেশনায় নিয়মিত ক্লাস, বিশেষ ক্লাস, হোম ভিজিট, টিউটেরিয়াল, মাসিক পরীক্ষা, গাইড টিচারের মাধ্যমে সার্বক্ষণিক তত্ত্বাবধানসহ শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি আমরা কঠোর পরিশ্রম করেছি। এই প্রতিষ্ঠানের ইতিহাসে কখনো এমন ফলাফল হয়নি। এবারের ঘাটতিগুলোয় গুরুত্ব দিয়ে ভবিষ্যতে পূর্বের সাফল্যের ধারাবাহিকতায় ফিরব ইনশা আল্লাহ।’

উল্লেখ্য, প্রতিষ্ঠানটি ২০০৬ সালে প্রতিষ্ঠার পর ২০০৮ সালে প্রথম ফলাফলে পাসের হার ৯৯%, ২০০৯ সালে শতভাগ পাসসহ ঢাকা বোর্ডে পঞ্চম এবং সারা দেশে ষষ্ঠ স্থান, ২০১০ সালে শতভাগ পাসসহ ঢাকা বোর্ডে চতুর্থ স্থান, ২০১১ সালে ঢাকা বোর্ডে সপ্তম, ২০১২, ২০১৩ ও ২০১৪ সালে ঢাকা বোর্ড তথা সারা দেশে শতভাগ পাসসহ দ্বিতীয় স্থান অর্জন করে। পরবর্তী সময় শিক্ষা বোর্ড থেকে সেরাদের তালিকা প্রকাশ বন্ধ হলেও সব ক্যাটাগরিতে ২০১৫, ২০১৬, ২০১৭, ২০১৮, ২০১৯, ২০২০, ২০২১, ২০২২, ২০২৩ ও ২০২৪ সালেও দেশ সেরা ফলাফলের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রেখেছে। বিজ্ঞপ্তি