৬ষ্ঠ ও ৭ম শ্রেণির মূল্যায়ন, ৬ দফা নির্দেশনা মাউশির

মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)

নতুন কারিকুলামে ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণিতে পাঠদান চলছে। এ দুই শ্রেণির শিক্ষার্থীদের মূল্যায়নে কোনো প্রচলিত পরীক্ষা বা মডেল টেস্ট হবে না। কোন পদ্ধতিতে মূল্যায়ন হবে, তা জানিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)। ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণিতে মূল্যায়ন নির্দেশিকা সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠাবে মাউশি। নতুন কারিকুলাম অনুযায়ী, ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির বাৎসরিক সামষ্টিক মূল্যায়ন বিষয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে আগাম নির্দেশনায় জানানো হয়েছে, মূল্যায়ন পরিচালনাসংক্রান্ত নির্দেশনা ২৯ অক্টোবর প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠানো হবে।

আরও পড়ুন

এদিকে নতুন শিক্ষাক্রম অনুযায়ী, দেশের ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির বার্ষিক সামষ্টির মূল্যায়ন শুরু আগামী ৫ নভেম্বর, শেষ হবে ২৮ নভেম্বর।

মাউশি সামষ্টিক মূল্যায়ন নিয়ে ছয় দফা নির্দেশেনা দিয়েছে। গতকাল বুধবার মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর এ নির্দেশনা জারি করে। এগুলো হলো—

১. ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির বাৎসরিক সামষ্টিক মূল্যায়ন পরিচালনার জন্য বিস্তারিত নির্দেশনা ২৯ অক্টোবর সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠানো হবে।

২। নির্দেশনা মোতাবেক সব বিষয়ে বাৎসরিক সামষ্টিক মূল্যায়ন পরিচালনা করতে হবে।

৩। বাৎসরিক সামষ্টিক মূল্যায়ন নির্দেশনাতে ট্রান্সক্রিপ্ট ও রিপোর্ট কার্ডের ফরমেট এবং পরবর্তী শ্রেণিতে উত্তরণের নীতিমালা সংযুক্ত থাকবে।

আরও পড়ুন

৪। পরবর্তী শ্রেণিতে উত্তীর্ণ হওয়ার ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতির হার এবং নির্ধারিতসংখ্যক বিষয়ে পারদর্শিতার সমন্বিত ফলাফল বিবেচনা করা হবে।

৫। রিপোর্ট কার্ডে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের জন্য শিক্ষার্থীদের পারদর্শিতার বিস্তারিত বিবরণ উল্লেখ থাকবে।

৬। বাৎসরিক সামষ্টিক মূল্যায়ন নির্দেশনা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পৌঁছানোর পর ২ নভেম্বরের মধ্যে অভিভাবক সমাবেশ করে বাৎসরিক সামষ্টিক মূল্যায়ন সম্পর্কে অবহিত করে সমাবেশের তথ্য ও ছবি থানা/উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসে পাঠাতে হবে।

গত জানুয়ারি থেকে প্রথম, ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণিতে নতুন শিক্ষাক্রম চালু হয়েছে। আগামী বছর দ্বিতীয়, তৃতীয়, অষ্টম ও নবম শ্রেণিতে নতুন শিক্ষাক্রম শুরু। এরপর ২০২৫ সালে চতুর্থ, পঞ্চম ও দশম শ্রেণিতে তা চালু হবে। উচ্চমাধ্যমিকে একাদশ শ্রেণিতে ২০২৬ সালে এবং দ্বাদশ শ্রেণিতে ২০২৭ সালে নতুন শিক্ষাক্রম চালু হবে। নতুন শিক্ষাক্রমে শিক্ষার্থীদের মূল্যায়নের বড় অংশ হচ্ছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ধারাবাহিকভাবে (শিখনকালীন)। এবার বিদ্যালয়ের বার্ষিক পরীক্ষা নভেম্বরের মধ্যে শেষ করার লক্ষ্য নিয়েছে সরকার।

আরও পড়ুন