দাখিলের অষ্টম শ্রেণিতে বৃত্তির নীতিমালা প্রকাশ

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ফাইল ছবি

২০২৫ সালের দাখিল মাদ্রাসার অষ্টম শ্রেণিতে বৃত্তির নীতিমালা প্রকাশ করা হয়েছে। নীতিমালা অনুযায়ী, এ শ্রেণিতে দুই ধরনের বৃত্তি দেওয়া হবে। প্রতিটি অনুমোদিত মাদ্রাসা থেকে শতকরা ৪০ জন শিক্ষার্থী এ পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবে। আজ বুধবার (২৯ অক্টোবর) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা বিভাগের ওয়েবসাইটে এ নীতিমালা প্রকাশ করা হয়।

জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) কর্তৃক প্রণীত মাদ্রাসার অষ্টম শ্রেণির পাঠ্যপুস্তক থেকে বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড অনুমোদিত প্রশ্নকাঠামো অনুসারে দাখিল অষ্টম শ্রেণি বৃত্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। বৃত্তি পাওয়ার জন্য প্রতি বিষয়ে ন্যূনতম শতকরা ৪০ নম্বর পেতে হবে। সর্বোচ্চ নম্বরের ভিত্তিতে শিক্ষার্থীদের কোটাভিত্তিক বৃত্তি প্রদান করা হবে।

নীতিমালায় পরীক্ষার বিষয়, নম্বর, সময় ও পাঠ্যসূচিও প্রকাশ করা হয়েছে। প্রতিটি বিষয়ে পূর্ণমান হবে ১০০ এবং পরীক্ষার সময় ৩ ঘণ্টা। বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন পরীক্ষার্থীদের জন্য অতিরিক্ত ৩০ মিনিট সময় বরাদ্দ থাকবে। পরীক্ষা হবে মোট ৪০০ নম্বরে।

আরও পড়ুন

বিষয়—

১. কুরআন মাজিদ ও তাজভীদ এবং আকাইদ ও ফিকহ (৫০‍+৫০= ১০০ নম্বর)

২. আরবি ১ম পত্র ও আরবি ২য় পত্র- (৫০‍+৫০= ১০০ নম্বর)

৩. বাংলা-১০৬ ও ইংরেজি-১০৭ (৫০‍+৫০= ১০০ নম্বর)

৪. গণিত-১০৮ ও বিজ্ঞান-১১৭ (৭০‍+৩০= ১০০ নম্বর)১

বাংলা ও ইংরেজি বিষয়ে পূর্ণমান হবে (৫০+৫০)=১০০, পরীক্ষার সময় হবে (১ ঘণ্টা ৩০ মিনিট + ১ ঘণ্টা ৩০ মিনিট)=৩ ঘণ্টা। বাংলা ও ইংরেজি বিষয়ে একই দিনে ভিন্ন ভিন্ন কোডে পরীক্ষা হবে এবং উত্তরপত্রও আলাদা হবে। গণিত ও বিজ্ঞান বিষয়ে পূর্ণমান হবে (৭০+৩০)=১০০, পরীক্ষার সময় হবে (২ ঘণ্টা ১০ মিনিট+৫০ মিনিট)= ৩ ঘণ্টা। গণিত ও বিজ্ঞান বিষয়ে একই দিনে ভিন্ন ভিন্ন কোডে পরীক্ষা হবে এবং উত্তরপত্রও আলাদা হবে।

আরও পড়ুন

বৃত্তির প্রকার ও কোটা—

* দাখিল অষ্টম শ্রেণি বৃত্তি পরীক্ষায় দুই ধরনের বৃত্তি প্রদান করা হবে: ক. ট্যালেন্টপুল ও খ. সাধারণ বৃত্তি।

* সব ধরনের বৃত্তির ৫০ শতাংশ ছাত্রদের এবং ৫০ শতাংশ ছাত্রীদের জন্য নির্ধারিত থাকবে। তবে নির্ধারিত কোটায় যোগ্য প্রার্থী পাওয়া না গেলে ছাত্রের বৃত্তি ছাত্রী দ্বারা এবং ছাত্রীর বৃত্তি ছাত্র দ্বারা পূরণ করা হবে।

***বৃত্তির নীতিমালা দেখতে এখান ক্লিক করুন

আরও পড়ুন