গুচ্ছে ভর্তির আবেদন ও পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা, যা বলছে জবি শিক্ষক সমিতি

প্রথম আলো ফাইল ছবি

দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সমন্বিত ভর্তি আবেদন ও পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। তবে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা চলতি শিক্ষাবর্ষে সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে চাইছেন না। বিশ্ববিদ্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করেও এই কথা জানিয়েছে শিক্ষক সমিতি।

গত শনিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের সংবাদ সম্মেলনে স্বচ্ছ নীতিমালার মাধ্যমে ভর্তি প্রক্রিয়ার ১০টি শর্তের কথা জানান শিক্ষকেরা। এর এক দিন পরই গুচ্ছ ভর্তির আবেদন ও পরীক্ষার তারিখ ঘোষণায় সন্তুষ্ট নয় শিক্ষক সমিতি। নেতারা বলছেন, কর্তৃপক্ষের পরিকল্পনা অনুযায়ী সংকট ও সমস্যাগুলোর সমাধান আসবে না।

আরও পড়ুন

আজ সোমবার প্রথম আলোকে এই বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানান জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি জাকির হোসেন। তিনি বলেন, ‘জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা এখনো গুচ্ছের বিপক্ষে। এটি একটি জগাখিচুড়ি প্রক্রিয়া। এবার বলা হচ্ছে ৭ জুলাই থেকে সব বিশ্ববিদ্যালয় প্রথম বর্ষের ক্লাস শুরু করবে। এটা কখনো সম্ভব নয়। আমাদের সন্দেহ আছে।’

আরও পড়ুন

জাকির হোসেন বলেন, ‘অন্ততপক্ষে ছয় মাস ক্ষতিগ্রস্ত হবেন শিক্ষার্থীরা। এই ছয় মাস কোনোভাবে অর্থের বিনিময়ে ফিরে পাওয়া সম্ভব নয়। অথচ ৫০০ টাকা বেশি হলেও জগন্নাথে আলাদা পরীক্ষা হলে আমরা মেধাবী শিক্ষার্থী ও এই সেশনজট থেকে বের হতে পারতাম।’

গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় শিক্ষার্থীরা
ফাইল ছবি
আরও পড়ুন

সভাপতি জাকির হোসেন বলেন, ‘২৪টি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি নিয়ে শুধু জগন্নাথের শিক্ষকেরা কথা বলছেন। অন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলো এসব নিয়ে কথা তুলছে না। অনেকে হয়তো মনে করছে, অর্থের চাহিদার জন্য এসব বলছে। আমাদের প্রতি বিরূপ মনোভাবও তৈরি হচ্ছে। কিন্তু সত্যিকার অর্থে কী ঘটছে, তা গণমাধ্যমসহ অন্যান্য জায়গায় উঠে আসছে। শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি কীভাবে বাড়ছে।’

আরও পড়ুন

জাকির হোসেন আরও বলেন, ‘গতবারও আমরা বলেছিলাম সব বিশ্ববিদ্যালয় এলেই কেবল জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষা অংশ নিবে। তবে এখন যেহেতু সিদ্ধান্ত হয়েছে, আমরা উপাচার্যের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে কথা বলব। পাশাপাশি সবাইকে গণমাধ্যমে শিক্ষার্থীদের দুর্ভোগ ও ভর্তি প্রক্রিয়ার ত্রুটিগুলো গুরুত্ব দিয়ে তুলে ধরার অনুরোধ করব।’