সব ক্ষারই ক্ষারক, কিন্তু সব ক্ষারক ক্ষার নয়

প্রথম আলো ফাইল ছবি

বিজ্ঞান: সংক্ষিপ্ত উত্তর–প্রশ্ন

প্রশ্ন: এনার্জি সেভিং বাল্ব ব্যবহার করা হয় কেন?

উত্তর: সাধারণ বাল্বের তুলনায় এনার্জি সেভিং বাল্ব ব্যবহার সুবিধাজনক। কারণ, সাধারণ বাল্বের তুলনায় এ ধরনের বাল্ব বেশি দিন টিকে এবং এতে বিদ্যুৎ বিল কম আসে। ফলে খরচের সাশ্রয় হয়। এই বাল্ব চালনা করতে কম শক্তির দরকার হয়। জীবাশ্ম জ্বালানির ওপর নির্ভরতা কমে, ফলে পরিবেশের ওপর বিরূপ প্রতিক্রিয়া পড়ার সম্ভাবনা কমে। বেশি দিন টিকে বলে কম পরিত্যক্ত হয় এবং ময়লা-আবর্জনা ব্যবস্থাপনাও সুবিধা হয়। এসব কারণেই সাধারণ বাল্বের তুলনায় এনার্জি সেভিং বাল্ব ব্যবহার করা সুবিধাজনক।

প্রশ্ন: বৈদ্যুতিক মিস্ত্রিরা পায়ে শুষ্ক জুতা পরিধান করেন কেন?

উত্তর: তড়িৎ সংযোগ দেওয়ার সময় প্লাস্টিকের শুষ্ক জুতা ব্যবহার করলে মানুষের বৈদ্যুতিক শক খাওয়ার ভয় থাকে না। বৈদ্যুতিক সংকেতের জন্য যে মেইন তার দুটি থাকে, এর একটি তার জীবন্ত থাকে। অর্থাৎ ওই তারে তড়িৎ ভোল্টেজ থাকে। কেউ যদি খালি পায়ে মাটির সঙ্গে সংস্পর্শে থেকে জীবন্ত তার স্পর্শ করে, তাহলে সে বৈদ্যুতিক ‘শক’ অনুভব করবে। অর্থাৎ তার মধ্য দিয়ে তড়িৎ প্রবাহিত হবে। প্লাস্টিকের শুষ্ক জুতা ব্যবহার করলে মাটির সঙ্গে শরীরে কোনো স্পর্শ থাকে না। আবার প্লাস্টিক নিজেই বিদ্যুৎ অপরিবাহী বলে শক লাগে না। এ কারণেই বৈদ্যুতিক মিস্ত্রিরা পায়ে শুষ্ক জুতা পরিধান করেন।

প্রশ্ন: ‘উন্নত সমাজব্যবস্থা বিদ্যুৎ ছাড়া ভাবা যায় না’—ব্যাখ্যা করো।

উত্তর: একটি দেশ কতটুকু উন্নত, সেটি বোঝার মাপকাঠি হিসেবে শক্তি বা বিদ্যুতের ব্যবহারকে বিবেচনা করা হয়। একটি দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়ন অনেকাংশে নির্ভর করে বিদ্যুতের উৎপাদন, সরবরাহ ও ব্যবহারের ওপর। শিক্ষা, যোগাযোগ, শিল্প ও অবকাঠামোগত উন্নয়ন ইত্যাদি সব ক্ষেত্রে বিদ্যুতের অবদান রয়েছে। কাজেই বিদ্যুতের উৎপাদন ও ব্যবহার ছাড়া আমরা উন্নত সমাজব্যবস্থা ও এর বিকাশ ভাবতেই পারি না।

আরও পড়ুন

প্রশ্ন: ‘সব ক্ষারই ক্ষারক, কিন্তু সব ক্ষারক ক্ষার নয়’—এ কথার ব্যাখ্যা দাও।

উত্তর: ক্ষারক হলো মূলত ধাতব অক্সাইড বা হাইড্রোক্সাইড। যেসব ক্ষারক পানিতে দ্রবীভূত হয়, তাদের ক্ষার বলে। যেসব ক্ষারক পানিতে অদ্রবণীয়, তাদের শুধু ক্ষারক বলে, ক্ষার নয়। কিন্তু ক্ষারগুলো বিশেষ ধরনের ক্ষারক। সুতরাং বলা যায়, সব ক্ষারই ক্ষারক; কিন্তু সব ক্ষারক ক্ষার নয়।

যেমন: NaOH বিশেষ ধরনের ক্ষারক। কেননা NaOH পানিতে OH আয়ন দেয় ও দ্রবীভূত হয় এবং অম্লকে প্রশমিত করে। বিক্রিয়াটি হলো–

NaOH + HCl –NaCl + H2O।

অন্যদিকে Al(OH)3 ক্ষারক হলে পানিতে অদ্রবণীয় হওয়ায় Al(OH)3 ক্ষার নয়। বিক্রিয়াটি হলো—Al(OH)3+ H2O-) পানিতে অদ্রবণীয়।

প্রশ্ন: অম্লের বৈশিষ্ট্য কী?

উত্তর: অম্লের বৈশিষ্ট্য হলো:

১. অম্লের অণুতে এক বা একাধিক হাইড্রোজেন পরমাণু বিদ্যমান।

২. এটি পানিতে হাইড্রোজেন আয়ন দান করে।

৩. এটি ক্ষারের সঙ্গে বিক্রিয়া করে লবণ ও পানি উৎপন্ন করে।

*লেখক: মোহাম্মদ আক্তার উজ জামান, প্রভাষক, সরকারি রূপনগর মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ঢাকা