অস্ট্রেলিয়া আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের দিল সুখবর, অগ্রাধিকারে দক্ষিণ–পূর্ব এশিয়া

প্রথম আলো ফাইল ছবি

অস্ট্রেলিয়া সরকার ২০২৬ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের সংখ্যা বাড়াচ্ছে। এই বছরের চেয়ে আগামী বছর অর্থাৎ ২০২৬ সালে দেশটি ৯ শতাংশ বেশি বিদেশি শিক্ষার্থী নেবে। এই সুযোগে বিশেষ অগ্রাধিকার পাচ্ছেন দক্ষিণ–পূর্ব এশিয়ার আবেদনকারী শিক্ষার্থীরা।

নতুন এই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, আগামী বছর ২ লাখ ৯৫ হাজার বিদেশি শিক্ষার্থী অস্ট্রেলিয়ায় উচ্চশিক্ষার ভর্তির সুযোগ পাবেন। গত সোমবার অস্ট্রেলিয়া সরকারের পক্ষ থেকে এ ঘোষণা দেওয়া হয়। ২০২৫ সালের ২ লাখ ৭০ হাজার শিক্ষার্থীর তুলনায় এ সংখ্যা ২৫ হাজার বেশি।

অস্ট্রেলিয়া সরকারের পুনর্গঠিত অভিবাসন কৌশলের অংশ হিসেবে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এর লক্ষ্য শিক্ষা খাতের টেকসই প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত করা এবং আবাসন ও অবকাঠামোগত চাপ কমিয়ে আনা।

আগামী বছর ২৫ হাজার বেশি শিক্ষার্থী অস্ট্রেলিয়ায় উচ্চশিক্ষার সুযোগ পাবেন
ফাইল ছবি
আরও পড়ুন

বিশেষ অগ্রাধিকার পাচ্ছেন দক্ষিণ–পূর্ব এশিয়ার আবেদনকারীরা

শিক্ষামন্ত্রী জেসন ক্লেয়ার বলেন, এই নীতি আন্তর্জাতিক শিক্ষার বিকাশ, শিক্ষার্থীদের সেবা, বিশ্ববিদ্যালয় ও জাতীয় স্বার্থকে সমুন্নত রাখার জন্য নেওয়া হয়েছে। নতুন নীতিতে দক্ষিণ–পূর্ব এশিয়ার আবেদনকারীদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। এটি অস্ট্রেলিয়ার কূটনৈতিক সম্পর্ক জোরদার ও চীনের ওপর নির্ভরতা কমানোর কৌশলের একটি অংশ। আর শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেড়ে যাওয়ার ফলে অগ্রাধিকার পাবেন দক্ষিণ–পূর্ব এশীয় দেশগুলোর আবেদনকারী শিক্ষার্থীরা।

সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, যেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান দক্ষিণ–পূর্ব এশিয়া থেকে বেশি শিক্ষার্থী ভর্তির উদ্যোগ নেবে, তাদের বাড়তি কোটার ক্ষেত্রে সুবিধা দেওয়া হবে। ইন্টারন্যাশনাল এডুকেশন অ্যাসিস্ট্যান্ট মিনিস্টার জুলিয়ান হিল বলেছেন, দক্ষিণ–পূর্ব এশিয়া থেকে শিক্ষার্থী আনা দীর্ঘমেয়াদি আঞ্চলিক সম্পৃক্ততার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

*অস্ট্রেলিয়া বিদেশি শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৯ শতাংশ বাড়িয়ে ২ লাখ ৯৫ হাজারে উন্নীত করবে।
*দক্ষিণ–পূর্ব এশিয়ার আবেদনকারী শিক্ষার্থীরা অগ্রাধিকার পাবেন।
*এখনো চীন ও ভারতের শিক্ষার্থীদের অন্যতম জনপ্রিয় গন্তব্য অস্ট্রেলিয়া।
আরও পড়ুন

ভর্তির কোটা বণ্টন ও নতুন শর্ত

২ লাখ ৯৫ হাজার শিক্ষার্থীর মধ্যে প্রায় দুই–তৃতীয়াংশ বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য বরাদ্দ এবং বাকি এক–তৃতীয়াংশ ভোকেশনাল এডুকেশন অ্যান্ড ট্রেনিংয়ের জন্য বরাদ্দ থাকবে।

উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর শীর্ষ সংস্থা ইউনিভার্সিটিজ অস্ট্রেলিয়া সরকারের এ পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছে। সংস্থাটির সিইও লুক শিহি বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়গুলো যেভাবে শিক্ষা খাতে প্রবৃদ্ধির দাবি জানিয়েছে, সরকার তেমনভাবেই তা বাস্তবায়ন করেছে। এটি একটি যুক্তিসংগত পদক্ষেপ।’

অস্ট্রেলিয়ার অর্থনীতিতে আন্তর্জাতিক শিক্ষার অবদান উল্লেখযোগ্য। ২০২৪ সালে এ খাত থেকে দেশটির আয় হয়েছে ৫১ বিলিয়ন অস্ট্রেলিয়ান ডলার, যা দেশের সবচেয়ে বড় পরিষেবা রপ্তানি খাতে পরিণত হয়েছে।

২০২৪ সালে অস্ট্রেলিয়ার সরকার শিক্ষার্থীদের ভিসা ফি দ্বিগুণের বেশি করেছে। আর চীন ও ভারতের শিক্ষার্থীদের এখনো অন্যতম জনপ্রিয় গন্তব্য অস্ট্রেলিয়া।

তথ্যসূত্র: রয়টার্স ও ইকোনমিক টাইমস

আরও পড়ুন
আরও পড়ুন