ছয় বছর বয়সে ভিডিও বানিয়ে গিনেস বুকে খুদে শিক্ষার্থী সিমর

  • ৬ বছর ৩৩৫ দিন বয়সে সিমর খুরানা ভিডিও গেম তৈরি করে।

  • বিশ্বের সবচেয়ে ছোট ভিডিও গেম ডেভেলপার হিসেবে নাম গিনেস বুকে।

  • মেয়ের আগ্রহের কারণে বাবা কোডিং শেখানোর শিক্ষক খোঁজেন।

বয়স মাত্র ছয় বছর। এ বয়সে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে নাম লেখিয়েছে সিমর খুরানা। বলা হচ্ছে বিশ্বের সর্বকনিষ্ঠ ভিডিওগেমার সে। কানাডার অন্টারিওতে থাকে সে। শিশুদের কী ধরনের খাবার খাওয়ানো উচিত, তা নিয়ে ভিডিও তৈরি করে সে।

ভিডিও গেম তৈরি করে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে নাম লেখিয়েছে খুদে শিক্ষার্থী সিমর খুরানা। প্রথম ভিডিও গেম তৈরির সময় সিমর খুরানার বয়স ছিল ৬ বছর ৩৩৫ দিন।

আরও পড়ুন

সিমর খুরানা ছোট বয়সেই কোডিং শেখা শুরু করে। সপ্তাহের তিন দিন ক্লাসে কোডিং শিখে সে। এ বয়সে কোডিং শেখা দেখে অনেকে অবাক হয়েছিলেন। এ বয়সে কম্পিউটার প্রোগ্রামিংয়ের জগতে তার যাত্রাও অনেকের পক্ষে বিশ্বাস করা কঠিন ছিল। কিন্তু বাবা পরশ খুরানা মেয়ের আগ্রহ দেখে একজন প্রশিক্ষক খোঁজেন কোডিং শেখানোর জন্য। পেয়েও যান জলদি।

পরশ খুরানা গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসকে বলেছেন, ইউটিউবে ভিডিও দেখে সিমর নিজেই অঙ্ক শিখেছে। কিন্ডারগার্ডেনে পড়ার সময় সে গ্রেড থ্রি’র অঙ্ক করতে পারত। সে নিজে যা পেত, তা দিয়ে নানা ধরনের গেম তৈরি করত। অনেক সময় পুরোনো কাগজ দিয়েও শিল্পকর্ম তৈরি করত।

পরশ খুরানা আরও বলেন, ‘আমার মনে হয়েছিল সে স্বাভাবিকভাবেই কোডিং ও এক্সেলে ভালো করবে তার দক্ষতার জন্য। তাকে আমি একটি ডেমো কোডিং ক্লাসে পাঠিয়েছিলাম। সে ক্লাস খুব পছন্দ করেছিল।’

আরও পড়ুন
আরও পড়ুন

সিমর প্রথম যে গেমটি তৈরি করেছিল, তার নাম ছিল ‘হেলদি ফুড চ্যালেঞ্জ’। সে এ গেমের ধারণা পায় তখন, যখন চিকিৎসক তাকে জাঙ্ক ফুড খেতে বারণ করেছিলেন। খুদে গেমার গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসকে বলে, ‘ডাক্তার আমাকে বলেছে স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে। তাই আমি স্বাস্থ্যকর খাবার এবং জাঙ্ক ফুড নিয়ে একটি গেম তৈরি করে ফেলি।’

সিমর খুরানা তার মতো শিশুদের স্বাস্থ্যকর ও অস্বাস্থ্যকর খাবারের পার্থক্য শেখাতে সাহায্য করতে চায়।

একই সঙ্গে কেন জাঙ্ক ফুড খাওয়া উচিত নয়, সে সম্পর্কেও সচেতন করে তুলতে চায় শিশুশিক্ষার্থীদের।

সিমর অঙ্ক ও কোডিং ভালোবাসে। সে ভবিষ্যতে গেম ডেভেলপার হতে চায়। গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে নাম আসায় সে খুব খুশি। ভবিষ্যতে এ রকম আরও রেকর্ডে নিজের নাম দেখতে চায় সিমর।

আরও পড়ুন