হিটলার কেমন ছিলেন—অষ্টম শ্রেণির অ্যাসাইনমেন্টের প্রশ্নে বিতর্ক

ছবি: সংগৃহীত

আমেরিকার জর্জিয়া অঙ্গরাজ্যের রাজধানী আটলান্টার একটি বেসরকারি স্কুলের শিক্ষার্থীদের জার্মানির নাৎসি নেতা অ্যাডলফ হিটলারের-থিমযুক্ত অ্যাসাইনমেন্ট দেওয়া হয়েছিল। এরপর সমালোচনার মুখে পড়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি। অ্যাসাইনমেন্টে অ্যাডলফ হিটলারের বৈশিষ্ট্য মূল্যায়ন করতে বলা হয়েছিল। দ্য মাউন্ট ভার্নন নামের স্কুলের অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্টে দেওয়া প্রশ্ন নিয়েই শুরু হয়েছে সমালোচনা।

স্কুলে দেওয়া অ্যাসাইনমেন্ট নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা। এটাকে বিরক্তিকরও বলেছেন অনেকে।

আরও পড়ুন

দ্য নিউইয়র্ক পোস্টের খবরে বলা হয়েছে, হিটলারের নামে অ্যাসাইনমেন্ট দিয়েছে স্কুলটি। অ্যাসাইনমেন্টে উল্লিখিত প্রশ্ন নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক। অ্যাসাইনমেন্টে শিক্ষার্থীদের অ্যাডলফ হিটলারের কিছু বৈশিষ্ট্য মূল্যায়ন করতে বলা হয়েছিল। এর একটি প্রশ্ন ছিল, ‘তুমি কীভাবে হিটলারকে সমস্যা সমাধানকারী হিসেবে মূল্যায়ন করবে?’ আরও একটি প্রশ্ন ছিল এমন যে ‘তুমি কীভাবে হিটলারকে নৈতিক সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী হিসেবে মূল্যায়ন করবে?’

আরও পড়ুন
নাৎসি নেতা অ্যাডলফ হিটলার
ফাইল ছবি: রয়টার্স

অষ্টম শ্রেণির মতো ক্লাসের শিক্ষার্থীদের এমন প্রশ্ন করা নিয়ে বিতর্কে যোগ দিয়েছেন অনেকেই। এক শিক্ষার্থী প্রশ্নগুলোকে ‘সমস্যা’ বলে মন্তব্য করেছে। কারণ, এই প্রশ্নগুলোর উত্তর দেওয়ার জন্য যে অপশনগুলো দেওয়া হয়েছিল, তা কঠিন ছিল। অপশনগুলো হলো ‘প্রমাণের অভাব’, ‘প্রত্যাশার কাছাকাছি’, ‘প্রত্যাশা পূরণ হয়েছে’ এবং ‘প্রত্যাশা বেশি’।

এ প্রক্রিয়া নিয়ে অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা প্রশ্ন তুলেছেন, এ ধরনের উদ্যোগ কি যৌক্তিক?

মাউন্ট ভার্নন স্কুলের অধ্যক্ষ ক্রিস্টি লান্ডস্ট্রম বলেছেন যে স্কুল ইহুদি-বিদ্বেষের নিন্দা করে। অ্যাসাইনমেন্টের উদ্দেশ্য ছিল, কীভাবে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের বাস্তব ঘটনা সম্পর্কে শিক্ষার্থীদের জ্ঞান বৃদ্ধি করা যায় এবং ভার্সাই চুক্তির ক্ষেত্রে অ্যাডলফ হিটলারের পরিস্থিতি বুঝতে সাহায্য করে। এই ঘটনার পরপরই তিনি স্কুলের অন্য সদস্যদের কথা বলেছেন এবং তাঁরাও এই অ্যাসাইনমেন্ট সমর্থন করেছেন। যদিও অধ্যক্ষের কথায়, ‘হিটলার এবং সেই সময়ের ঘটনা আলোচনা করা কঠিন এবং বেদনাদায়ক ব্যাপার।’

ছবি: সংগৃহীত
আরও পড়ুন

পয়সার দুই পাশই দেখা দরকার

একজন শিক্ষার্থী বলেছে, তার বিশ্বাস, স্কুলের উদ্দেশ্য সমালোচনামূলক চিন্তাভাবনাকে উৎসাহিত করা। সামগ্রিকভাবে সে মনে করে প্রতিটি পরিস্থিতিতে মুদ্রার উভয় দিকটাই দেখা জরুরি। বিশ্ব ইতিহাসে যা ঘটেছে, তার সবকিছু তুলনা করা গুরুত্বপূর্ণ, তা ভালো বা খারাপ, যা–ই হোক না কেন।

আরও পড়ুন
আরও পড়ুন