কিউএস তালিকা, বিশ্বসেরা ৫ ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ কোনগুলো

ছবি: সংগৃহীত

ভালো সুযোগ, ব্যক্তিগত উন্নতিসহ নানা কারণে হাজারো শিক্ষার্থী বিদেশে পড়তে যেতে চান। অপরিচিত বিষয়কে জানা, ভিন্ন সংস্কৃতির সঙ্গে পরিচিত হওয়া এবং বৈশ্বিক দৃষ্টিভঙ্গি অর্জনের সম্ভবনার জন্যই অনেকেই বিদেশে পড়তে যেতে চান। এ আগ্রহ থেকে বিশ্বের শীর্ষ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর খোঁজখবর নেওয়া শুরু করেন অনেকে।
যুক্তরাজ্যভিত্তিক শিক্ষা ও গবেষণাপ্রতিষ্ঠান কোয়াককোয়ারেলি সায়মন্ডসের (কিউএস) তালিকা অনুযায়ী বিশ্বের সেরা যে পাঁচ ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় খোঁজেন শিক্ষার্থীরা, এগুলো হলো ম্যাসাচুসেটস ইনিস্টিটিউট অব টেকনোলজি (এমআইটি), স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়, কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়, অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ও ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়।

১. ম্যাসাচুসেটস ইনিস্টিটিউট অব টেকনোলজি

যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম শীর্ষ এই বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদন করার জন্য স্যাট (SAT) বা এসিটি (Act) দিতে হবে।

স্নাতক পর্যায়ে বিদেশে পড়তে যাওয়ার জন্য যাঁদের প্রথম পছন্দ যুক্তরাষ্ট্র বা কানাডা, স্যাট তাঁদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি পরীক্ষা। যুক্তরাষ্ট্রের বেশির ভাগ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির আবেদনের সঙ্গে স্যাট স্কোর জমা দেওয়া বাধ্যতামূলক। Critical reading, math, writing—এই তিনটি অংশে ভাগ করা হয়েছে ৩ ঘণ্টা ৪৫ মিনিটের স্যাট পরীক্ষাকে। প্রতি অংশে ৮০০ করে মোট ২৪০০ নম্বরের পরীক্ষা নেওয়া হয়।

এমআইটিতে যেসব বিষয় পড়ানো হয়—

  • অ্যারোনটিকস এবং অ্যাস্ট্রোনটিকস

  • কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং

  • ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড কম্পিউটার সায়েন্স

  • ম্যাটেরিয়ালস সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং

  • নিউক্লিয়ার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং

  • বায়োলজিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং

  • সিভিল অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল ইঞ্জিনিয়ারিং

  • ইনস্টিটিউট অব মেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড সায়েন্স

  • মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং

আরও পড়ুন

২. স্ট্যানফোর্ড ইউনির্ভাসিটি

আমেরিকার স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের এমন একটি পরিবেশ তৈরি করা হয়, যেখানে শিক্ষার্থীরা সৃজনশীলতার বিকাশ ঘটাতে পারেন এবং আন্তবিভাগীয় নানা শিক্ষা গ্রহণ করতে পারেন।

আন্ডারগ্র্যাজুয়েটদের জন্য অর্থনৈতিক সহয়তা

স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের টিউশন ফি প্রদানে শিক্ষাসহয়তা দিয়ে থাকে। প্রতি স্নাতক প্রোগ্রামের জন্য গ্র্যাজুয়েট রেকর্ড এক্সামিনেশন বা জিআরই দিতে হয়। যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতকোত্তর কিংবা পিএইচডি পর্যায়ে উচ্চশিক্ষায় আগ্রহী প্রার্থীদের জন্য জিআরই খুব গুরুত্বপূর্ণ। জিআরই পরীক্ষার স্কোর ৩৪০। জিআরই পরীক্ষার আলাদা নির্দেশিকা রয়েছে।

ছবি: সংগৃহীত

৩. কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়

যুক্তরাজ্যের কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগটি এ বিশ্ববিদ্যালয়ের সবচেয়ে পুরোনো ও সমন্বিত একটি বিভাগ। স্নাতকের শিক্ষার্থীদের জন্য এ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইঞ্জিনিয়ারিং প্রোগ্রামটি চার বছর মেয়াদে দুটি ডিগ্রি প্রদান করে। একটি বিএ, অন্যটি এম ইঞ্জিনিয়ারিং। প্রোগ্রামের প্রথম দুই বছর শিক্ষার্থীরা একটি অভিন্ন পাঠ্যক্রমের পড়াশোনা করেন। পাঠ্যক্রমের মধ্যে রয়েছে মেকানিক্যাল ও স্ট্রাকচারাল ইঞ্জিনিয়ারিং, ম্যাটেরিয়াল সায়েন্স, ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং এবং ইনফরমেশন ইঞ্জিনিয়ারিং।

কেমব্রিজে আছে বৃত্তি, আবেদন কবে

এই উচ্চশিক্ষার প্রতিষ্ঠানে বেশির ভাগ স্কলারশিপের আবেদনের মেয়াদ ডিসেম্বরে শেষ হয়। যদি কারও জানুয়ারি থেকে কোর্স শুরু হয়, তবে কমপক্ষে ১৮ মাসের খরচের ব্যবস্থা করতে হয় নিজেকে। কারণ, বৃত্তির অর্থ পরে দেওয়া হয়।

আরও পড়ুন

৪. অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়

এ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইঞ্জিনিয়ারিং সায়েন্স বিভাগে চার বছর মেয়াদে কোর্সের মাধ্যমে মাস্টার অব ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রি প্রদান করা হয়। এ কোর্সের আওতায় শিক্ষার্থীরা প্রথম দুই বছর অভিন্ন ও আবশ্যক বিষয়গুলো পড়েন এবং তৃতীয় ও চতুর্থ বছরে ছয়টি প্রকৌশল বিষয়ের মধ্যে একটিতে দক্ষতা আর্জনের সুযোগ পায়। বিষয়গুলো হলো—
• বায়োমেডিকেল
• কেমিক্যাল
• সিভিল
• ইলেকট্রনিক
• ইনফরমেশন
• মেকানিক্যাল।

আবেদনের যোগ্যতা

ওপরের বিষয়গুলোতে আবেদনের জন্য প্যাট টেস্ট বা ফিজিকস অ্যাডমিশন টেস্টে পাস করতে হবে। আবেদনের শেষ তারিখ ১৬ অক্টোবর ২০২৩।

আরও পড়ুন

৫. ক্যালিফোর্নিয়া ইউনির্ভাসিটি

ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে ৪০টির মতো গবেষণাকেন্দ্র রয়েছে। বিদেশি শিক্ষার্থীদের আবেদন ফি ১৫৫ ডলার এবং বার্ষিক টিউশন ফি ২৬ হাজার ৮০২ ডলার। শিক্ষার্থীদের আর্থিক সহায়তার জন্য আবেদন করতে হয়। শিক্ষার্থীদের দেওয়া তথ্যানুসারে তাঁদের আর্থিক সহায়তা নির্ধারণ করা হয়। ভিসা পাওয়ার আগে শিক্ষার্থীদের প্রমাণ করতে হবে যে যুক্তরাষ্ট্রে পড়াশোনার জন্য তাঁর কাছে পর্যাপ্ত অর্থ রয়েছে।

ক্যালিফোর্নিয়ার একাডেমিক প্রোগামগুলো হলো—

  • বায়োমেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং

  • কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং

  • সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড কনস্ট্রাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং ম্যানেজমেন্ট

  • কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড কম্পিউটার সায়েন্স

  • ইলেকট্রনিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং

  • মেকানিক্যাল অ্যান্ড অ্যারোস্পেস ইঞ্জিনিয়ারিং

  • বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ওয়েরসাইটে বিস্তারিত আরও তথ্য পাওয়া যাবে।

আরও পড়ুন