প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো এক পালায় চালানোর সিদ্ধান্ত একসঙ্গে নয়: সচিব

দেশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো এক পালায় (শিফট) চালানোর পরিকল্পনা আগেই নিয়েছিল প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। এরপর যেসব বিদ্যালয়ে পর্যাপ্তসংখ্যক ব্যবহারযোগ্য শ্রেণিকক্ষ এবং শিক্ষক রয়েছেন, সেগুলো অবিলম্বে এক পালায় চালানোর ব্যবস্থা নিতে গত মাসে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাদের নির্দেশও দিয়েছিল প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। তবে এ নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। এ অবস্থায় এখন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, একসঙ্গে নয়, স্থানীয় চাহিদা ও বাস্তবতা বিবেচনায় এটি করা হবে।

আজ মঙ্গলবার সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব ফরিদ আহাম্মদ এ বিষয়ে তাঁদের অবস্থানের কথা জানান। মন্ত্রণালয়ের সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ড নিয়ে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রণালয়ের গৃহীত বিভিন্ন কর্মকাণ্ড তুলে ধরেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন।

এক পালায় বিদ্যালয় চালানোর বিষয়ে সচিব ফরিদ আহাম্মদ বলেন, ‘এটি আমাদের লক্ষ্য। তবে সিদ্ধান্ত হবে স্থানীয় চাহিদা ও বাস্তবতা বিবেচনায়। একসঙ্গে চাপিয়ে দিয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেব না। আমরা এক শিফটের বিদ্যালয় চাই। কিন্তু স্থানীয় বাস্তবতা বিবেচনা করে নিতে হবে।’

আরও পড়ুন

বর্তমানে সারা দেশে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় আছে ৬৫ হাজার ৫৬৬টি। এর বড় অংশই দুই পালায় চলে। গত অক্টোবরে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তৎকালীন সচিব মো. আমিনুল ইসলাম খান সরকারের পরিকল্পনার কথা জানিয়ে সাংবাদিকদের বলেছিলেন, ‘শিক্ষার্থী, শ্রেণিকক্ষ ও শিক্ষকের সংখ্যা বিবেচনা করে দেশের সব বিদ্যালয়কে এক পালায় (শিফটে) আনার পরিকল্পনা করেছি। এ ব্যাপারে কাজ প্রায় ৯০ শতাংশ সমাপ্ত হয়েছে।’ তিনি আরও বলেছিলেন, এতে কোনো বিদ্যালয় বন্ধ হচ্ছে না, কোনো শিক্ষকও চাকরি হারাচ্ছেন না। সবই ঠিক থাকছে। কেবল কাজটি ভাগ করা হচ্ছে। এরপর গত জানুয়ারিতে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর তা বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেয়।

আরও পড়ুন