আদর্শ শিক্ষক সম্মাননা ও প্রয়াতদের স্মরণ

এথিকস ক্লাবের যুগপূর্তি উপলক্ষে জাতীয় জাদুঘরের প্রধান মিলনায়তনে একটি বিশেষ অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। এখানে ১১ জন শিক্ষককে আদর্শ শিক্ষক সম্মাননা দেওয়া হয়।ছবি: প্রথম আলো

আদর্শ শিক্ষকেরা আলো ছড়ান। সে আলোয় আলোকিত হয় দেশ। এই শিক্ষকদের মধ্যে বেশির ভাগেরই ত্যাগ আড়ালেই থেকে যায়। এই শিক্ষকদের ১২ বছর ধরে সম্মাননা দিয়ে আসছে এথিকস ক্লাব। ক্লাবের যুগপূর্তি উপলক্ষে জাতীয় জাদুঘরের প্রধান মিলনায়তনে গত ২৫ জানুয়ারি একটি বিশেষ আয়োজন করা হয়। এখানে ১১ জন শিক্ষককে আদর্শ শিক্ষক সম্মাননা দেওয়া হয়। দেশে ২৫ জানুয়ারি এথিকস ডে বা নৈতিকতা দিবস উদ্​যাপন করা হচ্ছে ১২ বছর ধরে। 

জাতীয় সংগীত ও দেশাত্মবোধক গান পরিবেশনের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু হয়। আদর্শ শিক্ষকদের হাতে সম্মাননা তুলে দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের সাবেক অধ্যাপক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম। ঘোষণাপত্র পাঠ করেন এথিকস ক্লাব বাংলাদেশের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী দিলারা আফরোজ খান। সঞ্চালনা করেন এথিকস ক্লাব বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি এম ই চৌধুরী শামীম।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বলেন, ‘আমরা শিক্ষার্থীদের দক্ষ, মূল্যবোধসম্পন্ন নৈতিক মানুষ হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছি। নৈতিকতা বোধ মানুষের সংখ্যা বাড়লে আমরা আমাদের দেশটা যেভাবে চাই সেভাবে গড়ে তুলতে পারব। জাতীয় নৈতিকতা দিবস পালনের ব্যাপারে আমাদের সভা হয়েছে। এটিতে এথিকস ক্লাবের উদ্যোক্তাদের সম্পৃক্ত করা হবে।’

আদর্শ শিক্ষকেরা আলো ছড়ান। সে আলোয় আলোকিত হয় দেশ। এই শিক্ষকদের মধ্যে বেশির ভাগেরই ত্যাগ আড়ালেই থেকে যায়।

আলো ছড়ানো শিক্ষকেরা

অনুষ্ঠানে যাঁদের ‘আদর্শ শিক্ষক সম্মাননা’ দেওয়া হয় তাঁরা হলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক অরুণ কুমার বসাক, ভারতেশ্বরী হোমসের সাবেক অধ্যক্ষ প্রতিভা মুৎসুদ্দি, বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক হায়াৎ মামুদ, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক আইনুন নিশাত, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ফকরুল আলম, খুলনা জিলা স্কুলের সাবেক প্রধান শিক্ষক মো. নুরুল আলম, ৫৫ নম্বর সোনাকান্দা সরকারি প্রাথমিক বালিকা বিদ্যালয়, নারায়ণগঞ্জের প্রধান শিক্ষক সাবেরা খানম, কলসিন্দুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ময়মনসিংহের প্রধান শিক্ষক মিনতি রানী, ধলুয়াপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়, ময়মনসিংহের শিক্ষক মিল্টন মানখিন ও বান্দরবান বৌদ্ধ অনাথালয় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পাইনুমা মারমা। 

আদর্শ শিক্ষক সম্মাননা অনুষ্ঠানে গত বছরের আদর্শ শিক্ষক নির্বাচিত হয়েছিলেন জামিলুর রেজা চৌধুরী। সম্মাননা গ্রহণ করেন তাঁর স্ত্রী সেলিনা চৌধুরী। এ ছাড়া প্রতিভা মুৎসুদ্দির পক্ষে সম্মাননা গ্রহণ করেন কুমুদিনী ট্রাস্টের পরিচালক সম্পা সাহা।

নৈতিকতা যেন শব্দে সীমাবদ্ধ না থাকে

অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ বলেন, ‘নৈতিকতা যেন শব্দের মধ্যে সীমাবদ্ধ না থাকে। নৈতিক শিক্ষা দিয়ে পৃথিবী, দেশ ও জাতি গড়ে তুলতে যেন আমরা সজাগ থাকি।’ 

আদর্শ শিক্ষক হিসেবে নিজেকে মূল্যায়ন করতে গিয়ে অধ্যাপক আইনুন নিশাত বলেন, ‘আমি আদর্শ শিক্ষক কি না জানি না। তবে শিক্ষার্থীদের সব সময় আন্তরিকতার সঙ্গে পড়িয়েছি।’ নারায়ণগঞ্জের শিক্ষক সাবেরা খানম বলেন, ‘শিক্ষার মাধ্যমে যেন বিবেক–বুদ্ধি প্রতিষ্ঠা পায়, নৈতিক শিক্ষা নেওয়া হয় সেদিকেও নজর দিতে হবে।’

বান্দরবানের শিক্ষক পাইনুমা মারমা বলেন, শিক্ষকতা পেশাকে মনের আনন্দে গ্রহণ করতে হবে। প্রত্যন্ত অঞ্চলে গিয়ে শিক্ষকতা করার মানসিকতা থাকতে হবে শিক্ষকদের। খুলনা জিলা স্কুলের সাবেক প্রধান শিক্ষক মো. নুরুল আলম, ‘সন্তানের চেয়ে ছাত্র বড়। এ জন্য আমি স্কুলে শিক্ষকতা করেছি। অন্তত ৫০ জন ছেলেকে ভালো মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে পেরেছি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক ফকরুল আলম বলেন, শিক্ষকতা ভালো লাগার দিক।’ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সাদেকা হালিম বলেন, শিক্ষকেরা গুণগতমান রক্ষা করে পাঠদান করতে পারছেন কি না, সেটা এখন প্রশ্নবিদ্ধ। শিক্ষকসমাজও দুর্বৃত্তায়িত হয়েছে। আদর্শ শিক্ষকদের অনেক সংগ্রাম করতে হচ্ছে কর্মস্থলে। এথিকস ক্লাব বাংলাদেশের আয়োজনে স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নির্মাণ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারীদের মধ্য থেকে ১০ জনকে পুরস্কার দেওয়া হয়। এ ছাড়া অনুষ্ঠানে আন্তবিশ্ববিদ্যালয়, আন্তস্কুল ও জাতীয় বারোয়ারি বিতর্ক প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের পুরস্কার দেওয়া হয়।

শিক্ষকদের ১২ বছর ধরে সম্মাননা দিয়ে আসছে এথিকস ক্লাব।

নৈতিকতা দিবস ঘোষণার আবেদন

আয়োজকেরা বলেন, তাঁরা ১২ বছর ধরে প্রতিবছরই নৈতিকতা দিবস পালন করে আসছেন। দীপু মনি পররাষ্ট্রমন্ত্রী থাকতে তাঁরা আন্তর্জাতিকভাবে নৈতিকতা দিবস পালনের জন্য তাঁর মাধ্যমে জাতিসংঘে আবেদন করেন। জাতিসংঘ তিনটি পর্যবেক্ষণ দিয়ে তা সরকারিভাবে আবেদনের পরামর্শ দেয়। তারা জানুয়ারির শেষভাগের কোনো এক দিনকে নৈতিকতা দিবস হিসেবে প্রস্তাবের পরামর্শ দেন। এথিকস ক্লাব প্রথম সাত বছর ১ জানুয়ারি এবং পরে পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী পাঁচ বছর ধরে ২৫ জানুয়ারি সাংগঠনিকভাবে নৈতিকতা দিবস পালন করে আসছে। কারণ এই দিন আন্তর্জাতিক কোনো দিবস পালনের অস্তিত্ব লক্ষ্য করা যায়নি। এ অবস্থায় তাঁরা প্রথমে বাংলাদেশে রাষ্ট্রীয়ভাবে ২৫ জানুয়ারিকে নৈতিকতা দিবস ঘোষণা করে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে তা পালনের প্রস্তাব করছে। একই সঙ্গে সরকারের পক্ষ থেকে বিশেষ করে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে একে আন্তর্জাতিক এথিকস দিবস ঘোষণার জন্য জাতিসংঘে আবেদন করার জোর দাবি জানায়।

এথিকস ক্লাবের যুগপূর্তি উপলক্ষে জাতীয় জাদুঘরের প্রধান মিলনায়তনে গত ২৫ জানুয়ারি একটি বিশেষ আয়োজন করা হয়। এখানে ১১ জন শিক্ষককে আদর্শ শিক্ষক সম্মাননা দেওয়া হয়
ছবি: সংগৃহীত

প্রতিষ্ঠাতাদের কথা

বিশ্বায়নের অভিঘাতে কিছু পুরোনো সংকটের সমাধান হলেও নতুন নতুন সংকট সামনে আসছে। তাতে নৈতিকতাসম্পর্কিত আলোচনা আবার নতুন মাত্রা নিয়ে শুরু হয়েছে। নৈতিকতা কী, এর আবশ্যক ভিত্তি, ব্যক্তি ও সমাজজীবনে নৈতিকতা কতটা অপরিহার্য, এসব প্রশ্ন সামনে আসছে। দেখা যাচ্ছে, সংকটের তীব্রতা বৃদ্ধির সঙ্গে নৈতিক বিচ্যুতির একটি যোগসূত্র আছে। তাই নৈতিকতার সংকট থেকে উত্তরণের জন্য মানুষের নৈতিক জাগরণ অপরিহার্য।

বাঙালি জীবনের বিভিন্ন সংকট-মুহূর্তেও চিন্তাশীল মানুষেরা নৈতিকতা নিয়ে আলোচনায় অবতীর্ণ হয়েছেন। এখন প্রায় সবার কাছেই, সব ক্ষেত্রে নৈতিকতা চর্চার প্রয়োজন বড় হয়ে দেখা দিয়েছে। বাংলাদেশের মানুষ আজ বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতোই নানা সংকটে জর্জরিত। রাজনৈতিক অবিশ্বাস, অর্থনৈতিক বৈষম্য, পরিবেশ বিপর্যয়, আর্থিক সন্ত্রাস, সাংস্কৃতিক ও মানবিক মূল্যবোধের অবক্ষয় মানুষের জীবনকে দুর্বিষহ করে তুলছে। এতে আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলেও বাংলাদেশের অবস্থা নাজুক হয়ে যেতে পারে। ফলে সরকারি উচ্চ পর্যায় থেকে তৃণমূল পর্যন্ত জাতীয়ভাবে নৈতিকতার পুনরুজ্জীবন নিয়ে ভাববার সময় এসেছে।

এম ই চৌধুরী শামীম, প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি, এথিকস ক্লাব বাংলাদেশ সোসাইটি

স্বাধীন বাংলাদেশের গর্বিত মানুষেরা অগ্রসর হতে চেয়েছে। লক্ষ্য ছিল সুখী-সুন্দর বাংলাদেশ। যেখানে সৎ ও যোগ্য মানুষ পাবেন তাঁর প্রাপ্য স্থান। দারিদ্র্যমুক্ত ও মানবিক সমাজ নির্মিত হবে। মানুষ ভেদাভেদ ভুলে সুশাসনে প্রীত হবে। অথচ প্রত্যাশার প্রাপ্তি ঘটেনি। সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে বিস্তৃত হয়েছে দুর্নীতি। জাতি প্রত্যাশিত গন্তব্য থেকে এখন অনেক দূরে। মানবিকতাশূন্য নেতিবাচক ধ্যান-ধারণা দ্বারা আক্রান্ত হয়েছে সম্ভাবনাময় তরুণসমাজ। নেশায় আসক্তি, লাভ ও লোভের সীমাহীন স্বার্থান্ধ হিসাব, দেশপ্রেমহীন জীবনাচরণ এবং দেশমাতৃকাকে অবহেলা ও উপেক্ষা করে সমৃদ্ধির প্রত্যাশায় দেশত্যাগের প্রবণতাও প্রবল হয়েছে। মানুষের প্রতি মানুষের যে দায়িত্ব বা কর্তব্য, তা পালন করা হচ্ছে না। কিন্তু কেনো আমরা এমন ভাঙনের মুখোমুখি এসে দাঁড়ালাম? উত্তর, আমরা নৈতিকভাবে কাম্য সুদৃঢ় অবস্থানে নেই। আমরা কল্যাণ ও সুন্দরের সাধনায় নিবেদিত নই। আমরা শ্রেয়র ভাবনায় যথার্থ মনোযোগী হইনি। এ অবস্থা থেকে উত্তরণ প্রয়োজন।

আমরা মনে করি কেবল পাঠ্যপুস্তক ও মুখস্থনির্ভর শিক্ষাব্যবস্থায় কোনোভাবেই সৎ, দেশপ্রেমিক ও উন্নত মানবিক গুণাবলিসম্পন্ন মানুষ নির্মাণ সম্ভব নয়। প্রচলিত শিক্ষাব্যবস্থায় সনদনির্ভর চাকরিপ্রত্যাশী মানুষ সৃষ্টি সম্ভব হলেও তা দিয়ে জাতিকে কাঙ্ক্ষিত গন্তব্যে নিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়।

দিলারা আফরোজ খান রূপা, প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী, এথিকস ক্লাব বাংলাদেশ সোসাইটি

অপর দিকে সর্বস্তরে দুর্নীতির কারণে দেশের সম্পদ নিঃশেষ হচ্ছে। দুর্নীতিতে নিমজ্জিত দেশপ্রেমহীন কিছু ব্যক্তির প্রভাবে দুর্নীতির প্রাতিষ্ঠানিকীকরণের পথ ধরে এখন তার সামাজিকীকরণ ঘটছে। হতাশাগ্রস্ত তারুণ্য ধাবিত হচ্ছে বিভ্রান্তির পথে। সামাজিক ও সামষ্টিক ভাবনার পরিবর্তে ব্যক্তির মধ্যে বিচ্ছিন্নতাবোধ তৈরি হচ্ছে। এ অবস্থায় প্রয়োজন শুভবুদ্ধিসম্পন্ন, সৎ, দেশপ্রেমিক, নৈতিকতাসম্পন্ন মানবিক মানুষের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টা, যা অধোগতিকে রোধ করতে পারে। এজন্য একটি সার্বিক ও দীর্ঘমেয়াদি সামাজিক আন্দোলন প্রয়োজন। এ আন্দোলন দেশকে উপহার দেবে একটি সৎ, দেশপ্রেমিক, নৈতিকতাবোধসম্পন্ন, মুক্তবুদ্ধিসম্পন্ন, অসাম্প্রদায়িক, নৈতিক ও মানবিক নতুন প্রজন্ম।

পূর্বোক্ত সত্য স্বীকার করে নিয়ে বলতে চাই, আমরা হতাশ নই। আমরা সুস্থ ও সুন্দরভাবে বাঁচতে চাই। মূল্যবোধের অভাবহেতু মুমূর্ষু মানবিকতা রক্ষা করার জন্য আমরা সংগ্রাম করতে চাই। আমরা নীতি, নৈতিকতা, মূল্যবোধ, মানবিকতা ও দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হতে চাই। আমরা একটি প্রজন্ম নির্মাণ করতে চাই, যারা শ্রেয় মূল্যবোধসম্পন্ন হবে এবং সমৃদ্ধ বাংলাদেশ নির্মাণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। আমরা একটি মুক্তবুদ্ধিসম্পন্ন, সচেতন, সৎ, দেশপ্রেমিক ও মানবিক দৃষ্টিসম্পন্ন নতুন প্রজন্ম গড়ে তুলতে চাই।

সৌজন্যে

জাতীয় রাজনীতি ও প্রশাসনে নেতৃত্বের সংকট দেখা দিয়েছে। ভবিষ্যতে এ সংকট আরও প্রকট হতে

 পারে। এ অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য সৎ ও যোগ্য নেতৃত্ব গড়ে তোলা প্রয়োজন। এ কাজ সহজসাধ্য নয়। কঠিন, বিশাল ও দীর্ঘ সাধনালব্ধ এ কাজ করার মানসে আমরা গঠন করেছি এথিকস ক্লাব বাংলাদেশ। দেশের সর্বস্তরে নৈতিকবোধসম্পন্ন, মুক্তবুদ্ধিসম্পন্ন ও অসাম্প্রদায়িক উচ্চ মানবিক মূল্যবোধসম্পন্ন জাতীয় সংস্কৃতি গড়ে তুলতে এবং সমাজের সর্বত্র গণতান্ত্রিক চর্চা শক্তিশালী করার ঐকান্তিক প্রচেষ্টা গ্রহণ করবে এথিক্‌স ক্লাব বাংলাদেশ। 

বিস্তারিত জানতে: www.ethicsclub.org