এসএসসি ২০২২ - ভূগোল ও পরিবেশ | অধ্যায় ২ : সৃজনশীল প্রশ্ন (২)

পুনর্বিন্যাসকৃত সিলেবাস অনুসারে

অধ্যায় ২

নিচের চিত্রটি দেখে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও

ক. সূর্যের নিকটতম নক্ষত্র কোনটি?

খ. বাসন্ত বিষুব কী? ব্যাখ্যা করো।

গ. চিত্রের ‘X’ চি​হ্নিত রেখাগুলো নির্ণয়ের সঙ্গে সেক্সট্যান্ট যন্ত্রের সম্পর্ক ব্যাখ্যা করো।

ঘ. চিত্রের ‘Y’ চি​হ্নিত রেখাগুলোর গুরুত্ব বিশ্লেষণ করো।

উত্তর

ক. সূর্যের নিকটতম নক্ষত্র প্রক্সিমা সেনটোরাই।

খ. ২১ মার্চ: ২২ ডিসেম্বরের পর থেকে পৃথিবী কক্ষপথে যতই অগ্রসর হয়, উত্তর গোলার্ধ ততই সূর্যের কাছাকাছি আসতে থাকে এবং দক্ষিণ গোলার্ধ সূর্য থেকে দূরে সরতে থাকে। ফলে উত্তর গোলার্ধে ধীরে ধীরে দিন বড় ও রাত ছোট এবং দক্ষিণ গোলার্ধে দিন ছোট ও রাত বড় হয়। অবশেষে ২১ মার্চ তারিখে পৃথিবী কক্ষপথের এমন এক স্থানে আসে, যখন সূর্য উত্তর ও দক্ষিণ মেরু থেকে সমান দূরত্বে অবস্থান করে। এই সময় ২৩ সেপ্টেম্বরের মতো পৃথিবীর সর্বত্র দিন ও রাত্রি সমান হয়। এই দিনকে বাসন্ত বিষুব বলে।

গ. চিত্রের ‘X’ চি​হ্নিত রেখাগুলো তথা অক্ষরেখা নির্ণয়ে সেক্সট্যান্ট যন্ত্র বিশ্বের যেকোনো স্থানে কার্যকর ভূমিকা রাখে।

অক্ষরেখা নির্ণয় অর্থাৎ অক্ষরেখার মান বা অক্ষাংশ নির্ণয়ে যেসব পদ্ধতি রয়েছে, তার একটি হচ্ছে সেক্সট্যান্ট যন্ত্রের সাহায্যে নির্ণয়। সেক্সট্যান্ট যন্ত্রের সাহায্যে যে স্থানের অক্ষাংশ নির্ণয় করতে হবে, সে স্থানের বিষুবলম্ব নির্ণয় করতে হয়। বিষুবলম্ব হলো সূর্য যেদিন যে অক্ষাংশে লম্বভাবে কিরণ দেয়, সে অক্ষাংশের মান। যেমন কোনো এক দিন দক্ষিণ গোলার্ধে মধ্যাহ্ন সূর্যের উন্নতি ৫০° এবং বিষুবলম্ব ১২° দক্ষিণ হলে ওই স্থানের অক্ষাংশ হবে —

অক্ষাংশ = ৯০° (মধ্যাহ্ন সূর্যের উন্নতি — বিষুবলম্ব)

= ৯০° – (৫০°– ১২°)

= ৯০°– ৩৮° = ৫২° দক্ষিণ

স্থানটি যদি উত্তর গোলার্ধে হয়, তবে উত্তরবাচক বিষুবলম্ব যোগ করতে হবে। আর যদি দক্ষিণ গোলার্ধে হয়, তবে দক্ষিণবাচক বিষুবলম্ব বিয়োগ করতে হবে।

উল্লেখ্য, দক্ষিণ গোলার্ধে ধ্রুবতারার সাহায্যে অক্ষাংশ নির্ণয় সম্ভব নয়। তাই পৃথিবীব্যাপী অক্ষাংশ নির্ণয়ে সেক্সট্যান্ট যন্ত্রের গুরুত্ব অপরিসীম।

ঘ. চিত্রের ‘Y’ চি​হ্নিত রেখাগুলো হচ্ছে দ্রাঘিমারেখা।

দ্রাঘিমারেখা ও অক্ষরেখার সাহায্যে কোনো স্থানের সঠিক অবস্থান জানা যায়। জাহাজ ও বিমান চলাচলে এ রেখাগুলোর গুরুত্ব অত্যধিক। এ ছাড়া প্রমাণ সময় বিভিন্ন দ্রাঘিমারেখা অনুযায়ী নির্ধারণ করা হয়। আবার আমরা হিসাব কষে দ্রাঘিমার পার্থক্য থেকে দুটি স্থানের সময়ের পার্থক্য বের করতে পারি। উপরন্তু, একই দ্রাঘিমায় পৃথিবীর সব স্থানে একই সময়ে মধ্যাহ্ন হয়। ফলে বিশ্বব্যাপী দ্রাঘিমারেখা সাপেক্ষেই সময় স্থির করা হয়।

তাই বলা যায়, পৃথিবীর কোনো স্থানের সঠিক অবস্থান ও সময় নির্ণয়ে দ্রাঘিমারেখাগুলোর গুরুত্ব অপরিসীম।

মো. শাকিরুল ইসলাম, প্রভাষক, ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ঢাকা

◀ ভূগোল ও পরিবেশ - সৃজনশীল প্রশ্ন (১)