হাতি আর শিয়ালের গল্প
৪। প্রশ্ন: বনের পশুদের ওপর অশান্তি নেমে আসার কারণ কী?
উত্তর: অনেক অনেক আগে বনে বনে ছিল পশুদের রাজত্ব। হাজার রকমের প্রাণী আর অসংখ্য পাখপাখালি ভরা বন। কোথাও কোনো ঝামেলা ছিল না। বেশ শান্তিতেই কাটছিল বনের পাখি আর প্রাণীদের দিনগুলো। কিন্তু একদিন তাড়া খেয়ে মস্ত একটা হাতি এই শান্ত বনে ঢুকে পড়ে। এই হাতির শরীর যেমন বিশাল, তেমনি মেজাজটাও দারুণ তিরিক্ষি। বনে ঢুকেই দুষ্টু হাতিটার সে কী তুলকালাম কাণ্ড! খুব জোরে গলা ফাটানো প্রচণ্ড হুংকারে থরথর করে কেঁপে ওঠে সমস্ত বন। নিরীহ একটা হরিণকে তো শুঁড়ে জড়িয়ে দূরে ছুড়ে ফেলে দিল। ছোট্ট একটা পিঁপড়াও তার কাছ থেকে রেহাই পায়নি। পায়ের তলায় পিষে মেরে ফেলে পিঁপড়াকে। এভাবে হাতির আগমন ও অত্যাচারের কারণে শান্ত বনের পশুদের ওপর অশান্তি নেমে আসে।
৫। প্রশ্ন: গল্পে মুক্ত স্বাধীন বলতে কী বোঝানো হয়েছে?
উত্তর: গল্পে মুক্ত স্বাধীন বলতে হাতির অত্যাচার থেকে নিজেদের রক্ষা করে নিরাপদ থাকাকে বোঝানো হয়েছে। দীর্ঘদিন হাতির নানা অত্যাচারে বনের পশুরা শান্তিতে ঘুমাতে পারেনি। শিয়াল কৌশলে হাতিকে নদীতে ডুবিয়ে কুপোকাত করে। অত্যাচারী হাতির শাস্তিতে বনের সব প্রাণী আনন্দ-উল্লাসে মেতে উঠে বলেছিল,
‘আর দেখব না হাতির ছায়া
আমরা এখন মুক্ত স্বাধীন
নাচছি সবাই তা-ধিন-তা-ধিন।
৬। প্রশ্ন: শিয়াল হাতিকে শাস্তি না দিলে বনের পশু-পাখিদের কী হতো ব্যাখ্যা করো।
উত্তর: শিয়াল কৌশল করে হাতিকে শাস্তি না দিলে বনের পশুপাখিরা শান্তিতে থাকতে পারত না। সারাক্ষণ ভয়ে তটস্থ থাকত। কখন কাকে ধরে হাতি শুঁড়ে তুলে আছাড় দেয়। কখন কাকে পায়ের নিচে পিষে ফেলে। হাতির ভয়ে সবাই সারাক্ষণ শঙ্কিত থাকত, স্বাধীনভাবে কোনো প্রাণী বনে চলাফেরা করতে পারত না।
খন্দকার আতিক, শিক্ষক, উইল্স লিট্ল ফ্লাওয়ার স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ঢাকা