পঞ্চম শ্রেণি – বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় | অধ্যায় ৪ : বর্ণনামূলক প্রশ্ন (৩-৪)
পঞ্চম শ্রেণির পড়াশোনা
বর্ণনামূলক প্রশ্ন
৩। প্রশ্ন: বৃহৎ শিল্প ও ক্ষুদ্র শিল্পের মধ্যে পার্থক্য কী?
উত্তর: বাংলাদেশের অর্থনীতিতে বৃহৎ শিল্প ও ক্ষুদ্র শিল্পের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। নিচে এদের পার্থক্য দেওয়া হলো:
বৃহৎ শিল্প:
১. বাংলাদেশের কিছু কিছু কারখানায় বিপুল পরিমাণে পণ্য উত্পাদিত হয়। এদের বৃহৎ শিল্প বলে।
২. বৃহৎ শিল্পের মধ্যে রয়েছে সার, সিমেন্ট, ওষুধ, কাগজ, চিনিশিল্প ইত্যাদি।
৩. বৃহৎ শিল্পকারখানা আধুনিক কালের শিল্প। যার প্রসার আধুনিক যন্ত্রপাতির উন্নতির সঙ্গে ঘটেছে।
৪. বৃহৎ শিল্পে অধিক শ্রমিক কাজ করতে পারেন বলে বেশি কর্মসংস্থানের সুযোগ থাকে।
৫. দেশের চাহিদা মিটিয়ে এসব শিল্পে উত্পাদিত সামগ্রীর একটা অংশ বিদেশে রপ্তানি হয়।
ক্ষুদ্র শিল্প:
১. আবার অন্যদিকে কিছু কিছু কারখানায় অল্প পরিমাণে পণ্য স্থানীয়ভাবে উত্পাদিত হয়। এদের ক্ষুদ্র শিল্প বলে।
২. ক্ষুদ্র শিল্পের মধ্যে রয়েছে কাঠশিল্প, কাঁসাশিল্প, মৃৎশিল্প, রেশমশিল্প, তাঁতশিল্প, তামাকশিল্প, চামড়াশিল্প প্রভৃতি।
৩. কিছু কিছু ক্ষুদ্র শিল্প আমাদের প্রাচীন শিল্প। যেমন তাঁতশিল্প বহুকালের, বাংলার মানুষ এ শিল্পের সঙ্গে নিজেদের জড়িয়ে রেখেছে।
৪. ক্ষুদ্র শিল্প ক্ষুদ্র পরিসরে অল্প মূলধনে পরিচালিত হয় বলে এখানে কমসংখ্যক লোকের কর্মসংস্থানের সুযোগ থাকে।
৫. ক্ষুদ্র শিল্পে উত্পাদিত পণ্য দেশের চাহিদার অনেকাংশ মেটাতে সক্ষম হয়।
৪। প্রশ্ন: অর্থকরী ফসল কাকে বলে? বাংলাদেশের প্রধান দুটি অর্থকরী ফসলজাত পণ্যের ব্যবহার লেখো।
উত্তর: যেসব কৃষিপণ্য বিদেশে রপ্তানি করে বৈদেশিক মুদ্রা উপার্জন করা হয়, সেগুলোকে অর্থকরী ফসল বলে। বাংলাদেশের প্রধান অর্থকরী কৃষিপণ্য হচ্ছে পাট, চা ও তামাক।
পাট: পাট বাংলাদেশের প্রধান অর্থকরী কৃষিপণ্য। পাট ও পাটজাত দ্রব্য রপ্তানির মাধ্যমে বাংলাদেশ প্রতিবছর বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করে। এ দেশের বিপুলসংখ্যক মানুষ পাট চাষ ও ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত। ফলে বাংলাদেশের মানুষের অর্থনৈতিক জীবনের বড় অংশ পাটের ওপর নির্ভরশীল।
চা: বাংলাদেশের অর্থনীতিতে চা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বাংলাদেশের সিলেট ও চট্টগ্রামে চা বেশি উত্পন্ন হয়। তবে বর্তমানে দিনাজপুর ও পঞ্চগড় জেলায়ও চা চাষ হচ্ছে। বাংলাদেশের চায়ের বিশেষ সুনাম থাকায় বিদেশে এর চাহিদা রয়েছে। চা রপ্তানি করে বাংলাদেশ অনেক বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করে।
রাবেয়া সুলতানা, শিক্ষক, বিয়াম ল্যাবরেটরি স্কুল, ঢাকা